হায়াত মাহমুদ

Barisalpedia থেকে

কড়াপুরের হায়াত মাহমুদ চন্দ্রদ্বীপ ও বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার একজন জমিদার ছিলেন। একই সাথে ব্রিটিশ বিরোধী বিদ্রোহে তিনি একজন বরিশালের এক বীর সন্তান ছিলেন।

পরিচয়

মালদার খাঁ ও তার পুত্র (?) হায়াত মাহমুদ চন্দ্রদ্বীপ রাজার সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। কথিত আছে একবার চন্দ্রদ্বীপ রাজাকে বন্দী করা হয়। হায়াত মাহমুদ বীরত্বের সাথে রাজাকে মুক্ত করে আনেন। খুব সম্ভব চন্দ্রদ্বীপ রাজাকে চাখারের মজমুদার ও মীর পরিবার বন্দী করে নিয়ে যায়। হায়াত মাহমুদ রাতের অন্ধকারে রাজাকে মুক্ত করে আনেন। রাজা তাকে সন্তুষ্ট হয়ে দুটি তালুক-জোয়ার মালদার খাঁ ও হায়াত মাহমুদ প্রদান করেন। তৌজি ১৭৪৭ ও ১৭৪৮ খারিজা তালুক হিসেবে হায়াত মাহমুদের বংশদরদের দখলে ছিল। পরগণা বুজুর্গ উমেদপুরেও হায়াত মাহমুদের তালুক ছিল।


ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ

জমিদারি সত্তেও হায়াত মাহমুদ তার বাহিনী নিয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং বরিশালের নদীপথে কোম্পানির লোকজনের যাতায়াত প্রায় বন্ধ করে দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তাই ইংরেজ কোম্পানি তাকে ডাকাত সর্দার আখ্যা দেয়। কোম্পানির সিপাহীরা তাকে ১৭৮৯ খৃৃস্টাব্দে গ্রেফতার করে। ঢাকার নায়েব নাজিম হায়াত মাহমুদকে ১৭৯০ খৃৃস্টাব্দে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়। গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস বিদ্রোহী যোদ্ধা হায়াত মাহমুদকে প্রিন্স অব ওয়েলস দ্বীপে নির্বাসন দেয় এবং তার জমিদারী কেড়ে নেয়। ১৮০৬ খৃৃস্টাব্দে তিনি মুক্তিলাভ করে কড়াপুরে ফিরে আসেন।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।