সুরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত

Barisalpedia থেকে

সুরেশচন্দ্র সেনগুপ্তের (১৯০১-১৯৯৫) জন্মস্থান আগৈলঝাড়ার গৈলা গ্রাম। তিনি ভারতের জৈব রসায়ণের গবেষণা ও শিক্ষণের ক্ষেত্রে শিষ্যপরম্পরায় এক উল্লেখ্য ঘরানার প্রবর্তক।

রাজশাহি কলেজ থেকে আই.এসসি. ও রসায়নশাস্ত্রে অনার্স-সহ বি.এসসি. পাশ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। এখান থেকে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে এম.এসসি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে সামান্য প্রদর্শক -এর চাকরিতে যোগ দেন। ওই পদে থেকে জৈব রসায়নের আর এক দিকপাল যোগেন্দ্রচন্দ্র বর্ধনের সহযোগীরূপে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী হাওয়ার্থের গবেষণাগারের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা চালিয়ে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ফিনঅ্যানথ্রিন সংশ্লেষে সফল হন এবং এই সংশ্লেষ ‘বর্ধন-সেনগুপ্ত সংশ্লেষ’ নামে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে। তাঁর গবেষণাপত্র ‘সিনথেসিস অ্যান্ড ডিহাইড্রোজেনেশন অফ সিপ্রো কম্পউন্ডস’- এর জন্য ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ডি.এসসি. ডিগ্রি পান। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজে চাকরি পান। পরাধীন দেশের একটি মফস্বল কলেজের অতি সাধারণ গবেষণাগারে তিনি যে অতি উচ্চমানের বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছেন তা এক বিরল দৃষ্টান্ত। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা করার সময়ও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তিরিশ বছর কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ ও কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের রসায়ন বিভাগের পঠনপাঠন ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থেকে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি সরকারি কলেজের কাজ থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এরপর তিনি কিছুদিন সিটি কলেজে কাজ করে বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের রসায়ন বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে কৃতী শিক্ষকের সম্মান প্রদান করে।



তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান