"শিকারপুরের উগ্রতারা মন্দির"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("হিন্দু পুরাণ অনুসারে সতীদেহ থেকে সৃষ্ট তৃতীয় শাক্তপীঠ..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
হিন্দু পুরাণ অনুসারে সতীদেহ থেকে সৃষ্ট তৃতীয় শাক্তপীঠ সুগন্ধা নামে পরিচিত। সুগন্ধার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি রয়েছে। ঐতিহাসিকেরা বরিশাল শহর থেকে তের মাইল উত্তরে প্রাচীন বাখরগঞ্জের সোন্ধা নদীর তীরে এই সুগন্ধার সন্ধান অনুমান করছেন। সে মোতাবেক সুগন্ধার সেই শাক্তপীঠ ও শাক্তপীঠে নির্মিত কালী মন্দির বরিশালের শিকারপুর গ্রামে অবস্থিত। বহুলভাবে পরিচিত শিকারপুরের উগ্রতারার মন্দির। মন্দিরটিতে একটি শবদেহের উপর দাঁড়ানো এক দেবীমূর্তি রয়েছে। তার হাতে আছে খেটক, খড়্গ, নীলপদ্ম এবং নরমুন্ডের কংকাল। মাথার উপর আছে কার্তিক, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব ও গণপতি। অনুমিত হয় মূর্তিটি বৌদ্ধতন্ত্রের উগ্রতারা ছিলো যা পরবর্তীতে হিন্দুরীতির তারায় রূপান্তরিত। হাতের নীলপদ্ম অবশ্য প্রমাণ দেয় প্রমাণ দেয় যে ইনি হিন্দুরীতির তারা দেবীই হবেন। মন্দিরটি সংস্কারকালে এর পুরনো স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
 
হিন্দু পুরাণ অনুসারে সতীদেহ থেকে সৃষ্ট তৃতীয় শাক্তপীঠ সুগন্ধা নামে পরিচিত। সুগন্ধার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি রয়েছে। ঐতিহাসিকেরা বরিশাল শহর থেকে তের মাইল উত্তরে প্রাচীন বাখরগঞ্জের সোন্ধা নদীর তীরে এই সুগন্ধার সন্ধান অনুমান করছেন। সে মোতাবেক সুগন্ধার সেই শাক্তপীঠ ও শাক্তপীঠে নির্মিত কালী মন্দির বরিশালের শিকারপুর গ্রামে অবস্থিত। বহুলভাবে পরিচিত শিকারপুরের উগ্রতারার মন্দির। মন্দিরটিতে একটি শবদেহের উপর দাঁড়ানো এক দেবীমূর্তি রয়েছে। তার হাতে আছে খেটক, খড়্গ, নীলপদ্ম এবং নরমুন্ডের কংকাল। মাথার উপর আছে কার্তিক, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব ও গণপতি। অনুমিত হয় মূর্তিটি বৌদ্ধতন্ত্রের উগ্রতারা ছিলো যা পরবর্তীতে হিন্দুরীতির তারায় রূপান্তরিত। হাতের নীলপদ্ম অবশ্য প্রমাণ দেয় প্রমাণ দেয় যে ইনি হিন্দুরীতির তারা দেবীই হবেন। মন্দিরটি সংস্কারকালে এর পুরনো স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
 
   
 
   
 
+
[[চিত্র:Image 44.jpg]]
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।

১৩:১২, ২৩ মার্চ ২০১৬ তারিখের সংস্করণ

হিন্দু পুরাণ অনুসারে সতীদেহ থেকে সৃষ্ট তৃতীয় শাক্তপীঠ সুগন্ধা নামে পরিচিত। সুগন্ধার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি রয়েছে। ঐতিহাসিকেরা বরিশাল শহর থেকে তের মাইল উত্তরে প্রাচীন বাখরগঞ্জের সোন্ধা নদীর তীরে এই সুগন্ধার সন্ধান অনুমান করছেন। সে মোতাবেক সুগন্ধার সেই শাক্তপীঠ ও শাক্তপীঠে নির্মিত কালী মন্দির বরিশালের শিকারপুর গ্রামে অবস্থিত। বহুলভাবে পরিচিত শিকারপুরের উগ্রতারার মন্দির। মন্দিরটিতে একটি শবদেহের উপর দাঁড়ানো এক দেবীমূর্তি রয়েছে। তার হাতে আছে খেটক, খড়্গ, নীলপদ্ম এবং নরমুন্ডের কংকাল। মাথার উপর আছে কার্তিক, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব ও গণপতি। অনুমিত হয় মূর্তিটি বৌদ্ধতন্ত্রের উগ্রতারা ছিলো যা পরবর্তীতে হিন্দুরীতির তারায় রূপান্তরিত। হাতের নীলপদ্ম অবশ্য প্রমাণ দেয় প্রমাণ দেয় যে ইনি হিন্দুরীতির তারা দেবীই হবেন। মন্দিরটি সংস্কারকালে এর পুরনো স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Image 44.jpg


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।