পটুয়াখালী মুক্ত দিবস, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১

Barisalpedia থেকে

২৭ নভেম্বর পানপট্টির যুদ্ধের পর কমান্ডার নুরুল হুদা ও আবদুর রব বাউফল ও গলাচিপা থানা দখল করে। এদিকে গাজী দেলওয়ার বেটি নামে একটি বিদেশী জাহাজ দখল করেন। নৌবাহিনীর শাহজাহান বেটি যুদ্ধ জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করেন। সুবেদার হাতেম, গাজী দেলওয়ার, মোয়াজ্জম খেপুপাড়া থানা আক্রমণ করেন এবং সারারাত যুদ্ধের পর থানার দারোগা আত্মসমর্পণ করে। সুবেদার হাতেম ১৩ ডিসেম্বর কুয়াকাটার নিকট পাক-সেনাদের জাহাজ এম এল বারকী আক্রমণ করেন ৩৭ জন পাকসেনা বন্দি করে এবং অনেক অস্ত্র উদ্ধার করেন। যশোর পতনের পর পাক সেনারা একজন লেফটেন্যান্টের নেতৃত্বে পালিয়ে কুয়াকাটা পৌঁছে। সকল পাক সেনাকে ২৫ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সিরাজ উদ্দীন আহমেদের সাথে সাথে বন্দি সেনাদের পটুয়াখালীতে সাক্ষাৎ হয়। আলতাফ হায়দার ও হারুন-অর-রশিদ ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখে মির্জাগঞ্জ থানা দখল করেন। যশোর ক্যান্টনমেন্ট পতনের পরে পাক সেনারা পালাতে থাকে। মেজর ইয়মিন ৬ ডিসেম্বর পটুয়াখালী শহর ত্যাগ করে বরিশাল চলে যায়। ৭ ডিসেম্বর নুরুল হুদার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পটুয়াখালী শহর দখল করে। পটুয়াখালীবাসী ২৬ এপ্রিলের বেদনা ভুলে হাজারো কণ্ঠে স্লোগান দিল-জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয় পটুয়াখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫