জীবনানন্দ দাশের বাড়ি ধানসিড়ি

Barisalpedia থেকে

জীবনানন্দ দাশের বাড়ি ‘ধানসিড়ি’ বরিশাল শহরের বগুড়া রোডে (বর্তমানে জীবনানন্দ দাশ সড়ক) প্রায় দেড় একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। উল্লেখ্য বাড়িটির নাম ধানসিড়ি ছিল না। নাম ছিল ‘সর্বানন্দ ভবন’। এ বাড়ির নাম ‘ধানসিড়ি’ রেখেছেন এর বর্তমান মালিকেরা।

বর্তমানে বাড়িটিতে জীবনানন্দের সময়ের সেই গোলপাতার ঘর এবং পুকুরের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। সেই জমির বৃহদংশ দখল করে সেখানে গড়ে উঠেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সরকারি বাসভবন (কোয়ার্টারস)। কিঞ্চিৎ দখল করেছে সিটি করপোরেশনের পাম্পহাউস। বাকি প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ওপর তিনটি বসতঘরে বসবাস করছে তিনটি পরিবার। এই তিন পরিবারের পূর্বসূরি আবদুর রাজ্জাক প্রথমে কবির পিসি স্নেহলতা দাশের দেওয়া আমমোক্তারনামা এবং পরবর্তী সময়ে তৎকালীন সিএসপি অরুণ কুমার দত্ত চৌধুরীর বদান্যতায় কবিবাড়ির প্রায় দেড়শ' শতাংশ জমি নিলামে খরিদ করেন। আবদুর রাজ্জাকের দখল থেকে পরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবং তৎকালীন পৌরসভা জমির বৃহদংশ অধিগ্রহণ করে নেয়। বাকি অংশে তিনটি সেমিপাকা ঘরে বসবাস করছেন আবদুর রাজ্জাকের তিন ছেলে ও তাদের পরিবার। তিন ছেলের একজন জলিল ফারুকের নিকট থেকে জানা যায় যে, জনাব আবদুর রাজ্জাককে প্রথমে আমমোক্তারনামা দিয়েছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশের পিসি স্নেহলতা দাশ। পরবর্তী সময়ে এই আমমোক্তারনামা টিকতে নাও পারে ভেবে তৎকালীন সিএসপি (জেলা প্রশাসক) অরুণ কুমার দত্ত চৌধুরী কবির পুরো সম্পত্তি নিলাম ডাকেন। ১৯৫৮ সালে ওই নিলাম কিনে নেন তার বাবা আবদুর রাজ্জাক। সে হিসেবে আমমোক্তারনামা এবং নিলাম খরিদ দুই দিক দিয়েই তারা ওই জমির বৈধ মালিক।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় (২০০৬-২০০৮) কবির নিশ্চিহ্ন বাড়িতে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে 'জীবনানন্দ অঙ্গন' করা হয়। এ ভবনের নিচতলায় একটি পাঠাগার এবং দ্বিতীয় তলায় আছে একটি হলরুম।


তথ্যসূত্র: বালাদেশ প্রতিদিনের ১৫ আগস্ট ২০১৪ তারিখের প্রতিবেদন।