কার্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত

Barisalpedia থেকে
জন্ম ৬ আগস্ট ১৮৮৪। মৃত্যু ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫)। জন্মস্থান ফুল্লশ্রী, গৌরনদী, বরিশাল। পিতা বিশিষ্ট চিকিৎসক ও নাট্যকার মহেশচন্দ্র। সাহিত্যিক। কুচবিহার কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। আইন পড়া ছেড়ে তৎকালীন জাতীয় দৈনিক ‘নবশক্তি’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। তারপর একই সঙ্গে ‘দেবালয়’ প্রতিষ্ঠানের ও ‘দেবালয়’ মাসিকপত্রের সম্পাদকের কাজ করেন। কিছুকাল ‘বিশ্বকোষ’- এর লেখকগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এবং Society For the Resuscitation of Oriental Literature, হিন্দুস্থান বীমা কোম্পানি ও ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এক সময় ‘বার্ষিক শিশুসাথী’ সম্পাদনার ভারও তাঁর উপর ন্যস্ত ছিল। কলকাতা ইউনিভার্সিটি প্রেসের সুপারিনটেন্ডেন্টের কার্যভার গ্রহন করেন। পরে ইউনিভার্সিটির অফিস-সুপারিনটেন্ডেন্ট ও কয়েকবার সাময়িকভাবে অ্যাসিন্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের কাজ করে অবসর নেন। সাহিত্যক্ষেত্রে শিশু সাহিত্য রচনার জন্য প্রতিষ্ঠালাভ করেন। এই বিভাগে তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা: ‘সাবিত্রী’, ‘তাই তাই’, ‘ফুলঝুরি’, ‘চরকাবুড়ী’, ‘তেপান্তরের মাঠ’, ‘তে-রাত্রিরের তাইরে নাইরে না’, ‘এবেলা ও বেলার গল্প’, ‘য়্যাং-ব্যাং’, ‘ঝলমল’ প্রভৃতি। মিলটনের  Lycidas কবিতার অনুবাদ করেন। দেশপ্রেমাত্মক কাব্যগ্রন্থ ‘আমার দেশ’ ও ‘পূজা’। এ ছাড়া ‘মালঞ্চের ফুল’, ‘বিষের হাওয়া’, ‘হিমালয়ের হিমতীর্থে’ প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন। ‘ইতিহাসের পড়া’ ও ‘ভূ-পরিচয়’ তাঁর দু-খানি স্কুলপাঠ্য বই। 

তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।