ঊনবিংশ শতকে বরিশালের সুপারির বাণিজ্য

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১২:৩৩, ৭ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত সংস্করণে ("প্রাচীনকাল হতে বরিশালে প্রচুর সুপারি উৎপন্ন হতো। অক্টোব..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

প্রাচীনকাল হতে বরিশালে প্রচুর সুপারি উৎপন্ন হতো। অক্টোবর মাসে সুপারি পাকে এবং শীতকাল পর্যন্ত সুপারির ব্যবসা চলে। দৌলতখাঁ, আমতলী, পাতারহাট, নলছিটি, নীলগঞ্জ, গালুয়া, ভাণ্ডারিয়া প্রভৃতি স্থান সুপারির ব্যবসাকেন্দ্র ছিল। বর্মী ও চীনারা সুপারি ক্রয়ের জন্য নলছিটি আসত। বার্মার মগরা নলছিটির এক পাড়ায় বাস করত। নলছিটি বন্দরে চীনা ও মগ ব্যবসায়ীদের কবর আছে। বরিশালের বিভিন্ন বন্দর হতে সুপারি কলকাতা, চট্টগ্রাম ও রেঙ্গুনে রপ্তানিহতো। বার্মার লোকরা সুপারি জাল দিয়ে এ প্রকার রং তৈরি করত। সুপারী ‘ঘা’ হিসেবে গণনা করা হয়। সুপারি দু’প্রকারের ছিল- টাটি ও মগই। পাকা সুপারি শুকিয়ে টাটি করা হয়। সুপারি পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে শুকানো হয়। এ সুপারি মগাই বলা হয়।


সুপারি হতে বছরে প্রায় বর্তমানে মূল্যে দেড়’শ কোটি টাকা উর্ধে আয় হতো। সুপারি সবচেয়ে বড় বাগান ছিল ভোলা ও মেহেন্দিগঞ্জে। ১৯০৭ খৃৃস্টাব্দে জেলায় মোট ৩৫,০০০,০০০ সুপারি, ২৫,০০,০০০ নারিকেল এবং ১০,০০,০০০ খেজুর গাছ ছিল। হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জে ৫০,০০,০০০, ঝালকাঠিতে ৩৫,০০,০০০, পিরোজপুরে ৩০,০০,০০০, ভোলায় ৩০,০০,০০০, বোরহানউদ্দিন ২০,০০,০০০, পটুয়াখালীতে ২০,০০,০০০, বাকেরগঞ্জে ২০,০০০ সুপারি গাছ ছিল। মেহেন্দিগঞ্জ ও শাহবাজপুরের সুপারি সবচেয়ে বড় ছিল। ১৯০০ খৃৃস্টাব্দে এক হাজার বা এক মণ সুপারির দাম ছিল ৮ টাকা। বরিশালে হতে প্রায় ৮,০০,০০০ মণ সুপারি রপ্তানি করা হতো। দুই-তৃতীয়াংশ সুপারি কলকাতায় রপ্তানি হতো। ১৮৯৪ খৃৃস্টাব্দে এক প্রকার রোগে হাজার সুপারি গাছ মরে যায়।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।