অরুণচন্দ্র গুহ

Barisalpedia থেকে

জন্ম ১৪ মে ১৮৯২। মৃত্যু ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৩। জন্মস্থান: বরিশাল। আদি পৈতৃক নিবাস ঢাকা। পিতা কৈলাসচন্দ্র। অগ্নিযুগের বিপ্লবী, যুগান্তর দলের নেতা ও শ্রীসরস্বতী প্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯১৫খ্রি. বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারত-জার্মান অস্ত্রসংগ্রহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এড়াতে আত্মগোপন করেন। ১৯১৬ খ্রি. ধরা দেন। ১৯১৮ খ্রি. তাঁকে ৩ ধারায় গ্রেপ্তার করে দু-বছর রাখা হয়। মুক্তিলাভের পর তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯২৩ খ্রি. বেঙ্গল অর্ডিন্যান্সে ধরা পড়ে ১৯২৮ খ্রি. মুক্তি পান। স্বদেশি আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য মনোরঞ্জন গুপ্ত ও শৈলেন গুহরায়ের সঙ্গে মিলিতভাবে শ্রীসরস্বতী প্রেস প্রতিষ্ঠা করেন (১৯২৩)। তার আগে ১৯২২ খ্রি. ‘সারথি’ পত্রিকা এবং ১৯২৮ খ্রি. ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রামনাত্মক সম্পাদকীয় ও অন্যান্য নিবন্ধের জন্য তাঁকে আবার ১৯৩০ খ্রি. গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৩৮ খ্রি. মুক্তিলাভের পর অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে অ্যাড হক কমিটি গঠিত হলে তার সভাপতির পদ লাভ করেন। এ সময়ের মধ্যে প্রকাশ করেন ‘মন্দিরা’(১৯৩৮) ও ইংরেজি পত্রিকা ‘ফরওয়ার্ড’ (১৯৩৯)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪১ খ্রি. পর্যন্ত আটক থাকেন। মুক্তি পেয়ে ওই বছরই ভারতীয় গণপরিষদের সভ্য নির্বাচিত হয়ে সুদক্ষ পার্লামেন্টেরিয়ান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। দেশবিভাগের পর ১৯৫২, ১৯৬২ ও ১৯৬৭ খ্রি. নির্বাচনে লোকসভার সদস্য হন। ১৯৫৩ খ্রি. কেন্দ্রীয় অর্থদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন ও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কৃষিঋণ দানের ব্যবস্থা করায় কৃতিত্ব দেখান। ১৯৫৭ খ্রি. বিরোধের ফলে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৩ খ্রি. থেকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। রচিত গ্রন্থ: ‘দেশ পরিচয়’, ‘সৃষ্টি ও সভ্যতা’, ‘চন্দ্রগুপ্ত’, ‘রূপকথা’, ‘বিজয়ী প্রাচ্য’, ‘বিদ্রোহী প্রাচ্য’, ‘চীনের যুব জাগরণ’, ‘কংগ্রেসের পথ’, ‘জীবনের বসন্ত’(গল্প সংকলন), First spark of Revolution from 1880-1920’, `India’s Struggle of a Century from 1921-1946’ প্রভৃতি ‘প্রজ্ঞানানন্দ জনসেবা সঙ্ঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন।