শ্যামপুর যুদ্ধ, বাকেরগঞ্জ, ১৯৭১
এমপি মোজাম্মেল হক সিকদার, বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি খান আলতাফ হোসেন ভুলু, নৌ-বাহিনীর নাসিরউদ্দিন, সেনাবাহিনীর বজলুর রহমান, লাল মজুমদার, বাবু মিয়া, প্রমুখের নেতৃত্বে বাকেরগঞ্জ থানার মুক্তিযোদ্ধাগণ সংগঠিত হন। তাঁরা শ্যামপুরের জমিদার নাঠু বাবুর বাড়িতে ও স্কুলে ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেন। ১৫ নভেম্বর ভারত থেকে বিমানবাহিনীর জহিরুদ্দীন একটি দল নিয়ে শ্যামপুর পৌঁছেন। ১৬ নভেম্বর ৬ নম্বর পাঞ্জাব রেজিমেন্ট হঠাৎ শ্যামপুর আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী তাদের আক্রমণ প্রতিহত করে। তুমুল যুদ্ধ চলে। মন্টু তার এলএমজি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটতে সাহায্য করে। সেদিন এলএমজি না থাকলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হতেন। শ্যামপুর যুদ্ধে মঙ্গলসির শাহজাহান ও কর্ণকাঠির আর্মি মোতালেব, কাদের ও রশীদ শহীদ হন। মোতালেব মুক্তিযুদ্ধকালে পুত্রসন্তান লাভ করেন। কিন্তু তিনি তার সন্তানকে দেখে যেতে পারেননি।
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।