রুদ্রনারায়ণ রায়

Barisalpedia থেকে

রুদ্রনারায়ণ রায় ছিলেন রায়েরকাঠিতে জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা। শ্রীরামের পুত্র রাজা রুদ্রনারায়ণ স্বপ্নে দেখলেন পিরোজপুরের দামোদর নদীর উত্তর তীরে এক বৃক্ষমূলে জগদম্বার পাষাণময়ী দশভুজা মূর্তি প্রোথিত আছে। রুদ্রনারায়ণ সিদ্ধেশ্বরী বা কালী মূর্তি উদ্ধার করে উক্ত স্থানে স্থাপন করেন। সেখানে তিনি রাজধানী নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেন। তিনি দক্ষিণ রাঢ়ীয় রায় বংশের কায়স্থ সন্তান। রায় বংশ জঙ্গল কেটে আবাদ সৃষ্টি করে। তাই তাদের নামানুসারে গ্রামের নাম হয় রায়েরকাঠি।

রায়েদের ধর্মগুরু রূপরাম চক্রবর্তী পাঁচজন নমঃশূদ্রের মুণ্ডু দ্বারা কালী মূর্তি স্থাপন করেন। রুদ্রনারায়ণ অর্থ দিয়ে পাঁচজন চণ্ডালকে ক্রয় করে তাদের মুণ্ডু দিয়ে এই পূজার আয়োজন করেছিলেন। রুদ্রনারায়ণ ১৬৫৮ খৃৃস্টাব্দে বাংলা ১১৬৫ সনের বৈশাখ মাসে মন্দির নির্মাণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে কালী মূর্তি স্থাপন করেন। চন্দ্রদ্বীপ রাজা ঢাকার সুবাদারের নিকট এ নির্মম হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সুবাদার রুদ্রনারায়ণকে ঢাকায় কারাদণ্ড দেন। এক ব্যাঘ্র শিকার করে তিনি মুক্তি লাভ করেন। রুদ্রনারায়ণ লুৎফাবাদের গোপাল কৃষ্ণ মিরবহরকে এবং বাইশারী গ্রামের পূর্ব আবাদকারী শ্রীমন্ত রায় ও অনন্ত রায়কে নিষ্কর ভূমি দান করেন। তিনি শেষ জীবনে কাশী গমন করে মৃত্যুবরণ করেন।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।