রফিকুল ইসলাম, বীরবিক্রম, হাবিলদার
শহীদ হাবিলদার রফিকুল ইসলাম বীরবিক্রম ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সেকান্দার আলী, মাতা মাসুমা খাতুন। তিনি ষাটের দশকের শেষভাগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে লাহোর থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় দ্বিতীয় বেঙ্গলে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের ঘুর্ণিঝড়ের পর বাড়ি এসেছিলেন। তাঁর স্ত্রী বন্যায় সন্তানসহ ভেসে যাচ্ছিলেন-সংগ্রাম করে বেঁচে যান। বন্যার পরে রফিকুল ইসলামের সাথে স্ত্রী ও সন্তানের দেখা হয়নি। তিনি অধিনায়ক মেজর সফিউল্লার ও ক্যাপ্টেন নাসিমের অধীনে যুদ্ধ করেছেন। তিনি তখন হাবিলদার। তার সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলেন এসএম নাসিম। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করেছেন। আখাউড়া পতনের পর চান্দুরা অভিমুখে চলছেন ব্রিগেড কমান্ডার মেজর কে এম শফিউল্লাহ। হঠাৎ পাকবাহিনী তাদের আক্রমণ করে। শফিউল্লাহ মৃত্যুর মুখোমুখি। তাকে রক্ষার জন্য রফিক শত্রুদের প্রচ-ভাবে আক্রমণ করেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মেজর শফিউল্লাহ বেঁচে যান। শহীদ রফিককে চান্দুরায় দাফন করা হয়। যুদ্ধে অসীম সাহসের জন্য তাকে সরকার বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করে। গেজেটে তার ক্রমিক নম্বর ৪৮। তার স্ত্রী মমতাজ ও পুত্র ফিরোজ আহমদ দৌলতখান উপজেলার লেজপাতা গ্রামে পিতার বাড়িতে বাস করছেন।
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।