ভোলায় বৃটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন
১৯২১ খৃৃস্টাব্দে ভোলায় হিন্দু-মুসলমান একত্রে খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেয়। উকিল দক্ষিণারঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বারিকানাথ ঘোষ, উকিল কালিদা কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, উকিল শ্যামাচরণ চক্রবর্তী, উকিল আব্দুল বারী, উকিল চুনীলাল সেন, উকিল পরেশনাথ কর, উকিল কেদারনাথ সেন, মোক্তার গুরুনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ ৩ মাসের জন্য আইন ব্যবসা ছেড়ে দেন এবং অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন। জমিদার গিরীন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী ভুবন মোহন সরকার, রাধা বল্লভ সাহা, বিপ্লবী বিপিন চন্দ্র চক্রবর্তী, মনোজ কুমার কাহালী, সরোজ কুমার কাহালী, আলী নগরের আবদুল মিয়া, গঙ্গাপুরের নূর আহমেদ সিকদার ও চান মিয়া, ফজলুর রহমান তালুকদার, মানিক গ্রামের ইসহাক তালুকদার প্রমুখ খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। ভোলায় একটি জাতীয় বিদ্যালয় ও একটি জাতীয় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। চাঁদপুরের বিপিন চক্রবর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং চট্টগ্রামের মৌলভী মুসা মাদ্রাসার প্রধান নিযুক্ত হন। ভোলার জাতীয় বিদ্যালয়টি ১৯২৯ খৃৃস্টাব্দে হাইস্কুলে পরিণত হয়। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে অনেকে কারাবরণ ও সাজাপ্রাপ্ত হন। ভোলায় মহিলা কর্মীরাও আন্দোলনে এগিয়ে আসেন। চুনীলাল সেনগুপ্তের স্ত্রী সুরবালা সেনগুপ্তের নেতৃত্বে মহিলারা অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯২১ খৃৃস্টাব্দে দক্ষিণারঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় উকিল সভাপতি এবং অমূল্য মুখোপাধ্যায়কে সম্পাদক করে ভোলায় কংগ্রেস গঠন করা হয়।
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।