সুলতানী আমলে চন্দ্রদ্বীপের শাসনব্যবস্থা

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১১:১৬, ২০ জুলাই ২০১৭ পর্যন্ত সংস্করণে ("চন্দ্রদ্বীপ কখনো গৌড়ের সুলতানী শাসনের অধীনও ছিল না আবা..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

চন্দ্রদ্বীপ কখনো গৌড়ের সুলতানী শাসনের অধীনও ছিল না আবার সেন রাজাদের অধীনও ছিল না। তবে চন্দ্রদ্বীপের শাসন ও জীবন ব্যবস্থায় সেন ও সুলতানী উভয় শাসন ব্যবস্থার অনুসরণ দেখা যায়।

১২০৩ হতে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ- এই ৩৭৩ বছর চন্দ্রদ্বীপ গৌড়ের সুলতানী শাসন হতে বিচ্ছিন্ন ছিল। মাঝে মাঝে চন্দ্রদীপের উত্তরভাগ গৌড়ের সুলতানদের অধীনে ছিল। তবে সেখানে তাদের কোন প্রতিনিধি ছিল না। চন্দ্রদ্বীপ রাজা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে রাজ্য শাসন করতেন। চন্দ্রদ্বীপ রাজা সেন ও সুলতানী উভয় শাসন ব্যবস্থা অনুসরণ করতেন। দেওয়ান, কোতোয়াল, আমির, মির, বকশী, পাইক প্রভৃতি কর্মচারী রাজ্যের শাসন পরিচালনা করত। হোসেনশাহী আমলে বাকলার উত্তরাংশ ফতেহাবাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কসবা নগরে প্রশাসনিক ও বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। কসবার শাসনকর্তাকে ‘শারই লসকর’ বলা হতো। চন্দ্রদ্বীপ রাজাদের সেনাবাহিনীতে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের লোক ছিল। নেয়ামত খাঁ পরমানন্দ বসুর একজন উজির ছিলেন। শাসনক্ষেত্রে ধর্মের প্রভাব ছিল অত্যধিক। ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ও বৈদ্য উচ্চ রাজপদে আসীন হতো।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।