রাজাপুর উপজেলা

Barisalpedia থেকে

বাখরগঞ্জ গেজেটিয়ার ১৯৮৪ অনুযায়ী ১৯১৫ সালে বরিশাল সদর দক্ষিণ মহকুমায় রাজাপুর থানা সৃষ্টি হয়। আবার বাংলাপিডিয়ামতে থানাটি সৃষ্টি হয়েছে ১৯২০ সালে। ৭/১১/১৯৮৩ তারিখে থানাটি উপজেলায় উন্নীত হয়। এই উপজেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঘটনার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নি¤œরূপ। উল্লেখ্য, নি¤œলিখিত প্রত্যেক ব্যক্তি, ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঘটনা নিয়ে অত্র বরিশালপিডিয়ায় একটি করে স্বতন্ত্র নিবন্ধ রয়েছে।

গালুয়া ইউনিয়নের বিখ্যাত ব্যক্তিগণ

১. সৈয়দ হাতেম আলী (১৯০৭- ২৮ মার্চ ১৯৭৪), ওরফে হাতেম মীরা; সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল- এর প্রতিষ্ঠাতা; গ্রাম: গালুয়া। ২. আজিজুল হক শাজাহান (১৯৩৩- ১৫ নভেম্বর ২০১৪), লেখক এবং শেরে বাংলার সহকারী একান্ত সচিব; গ্রাম: গালুয়া।


সাতুরিয়া ইউনিয়নের বিখ্যাত ব্যক্তিগণ

১. শেখ শাহাবুদ্দিন (১৬২৮ - ১৭৪৫), সাতুরিয়ার জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও ইসলামী সাধু পুরুষ। গ্রাম: সাতুরিয়া। ২. মেহেরুন্নেছা (ঊনবিংশ শতক), সাতুরিয়ায় পোস্ট অফিস, স্কুল ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং বরিশাল সদর হাসপাতালের অন্যতম জমিদাতা, গ্রাম: সাতুরিয়া। ৩. মুহাম্মদ ইয়াকুব মিয়া (১৯২৮ - ১৯৭১), এ কে ফজলুল হক গভর্নর থাকাকালে তাঁর একান্ত সচিব ও শহীদ বুদ্ধিজীবী; গ্রাম: সাতুরিয়া।


শুক্তাগড় ইউনিয়নের বিখ্যাত ব্যক্তিগণ

১. বনমালী চক্রবর্তী (১২ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৫ - ১৬ এপ্রিল ১৯৫৭), কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজ ও কাশী হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষ; গ্রাম: শুক্তাগড় । ২. অমরেন্দ্র ঘোষ (৫ ফেব্রুয়ারি ১৯০৭ - ১৪ জানুয়ারি ১৯৬২), বিভাগপূর্ব পূর্ব বাংলার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক; গ্রাম: শুক্তাগড় । ৩. দেলওয়ার হোসেন (১ এপ্রিল ১৯৪৫ - ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮১), বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধা ও ৬ নম্বর সেক্টরের অধীন দিনাজপুরের সাব-সেক্টর কমান্ডার; গ্রাম: গোপালপুর। ৪. হুমায়ূন কবির (২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৮ - ৬ই জুন ১৯৭২) কবি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক; গ্রাম: স্যাকরাইল।



রাজাপুর উপজেলার পুরাকীর্তিসমূহ

১. মাহমুদ জামে আকন্দ মসজিদ/ মামুজামা মসজিদ, গালুয়া ২. মিয়াবাড়ি মসজিদ, গালুয়া, ৩. ইন্দ্রপাশার কেল্লা, ৪. খানবাড়ি মসজিদ, আংগারিয়া, ৫. সাতুরিয়া মিয়া বাড়ি, ৬. ডহরশঙ্কর মসজিদ, ৭. শুক্তাগড় শেখ শাহাবুদ্দীনের মাজার ও মসজিদ


রাজাপুর উপজেলার সামন্ত পরিবার

১. সাতুরিয়ার জমিদার মিয়া পরিবার:


রাজাপুর উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগণ

১. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, সাতুরিয়া মিয়াবাড়ী, শের-এ-বাংলার একান্ত সচিব, ঢাকায় নিহত। ২. আবুল কালাম বাবুল গালুয়া এমকম ছাত্র, মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে রাজাপুর থানায় অকথ্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। ৩. ইপিআর কাজী আবুল হোসেন, সাতুরিয়া, যশোরে নিহত। ৪. সিপাহী মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, মনোহরপুর, ১ নভেম্বর বানারিপাড়া যুদ্ধে শহীদ। ৫. শেখররঞ্জন বিশ্বাস, বিকম ছাত্র, মনোহরপুর। ৬. শ্যামলাল হালদার, ছাত্র, কানুনিয়া। ৭. প্রিয়নাথ এতবর, তারাবুনিয়া। ৮. আশ্রাব আলী হাওলাদার, আদাখোলা। ৯. সূর্যকান্ত সমাদ্দার, নৈকাটি। ১০. নির্মলচন্দ্র দে, ছাত্র, রাজাপুর। ১১. নিখিলরঞ্জন দাস, ছাত্র, রাজাপুর। ১২. লালমোন বিবি, শুক্তাগড়। ১৩. পুতুলচন্দ্র দত্ত, মনোহরপুর। ১৪. কার্তিকচন্দ্র দত্ত, মনোহরপুর। ১৫. ঊষাকান্ত বিশ্বাস, নৈকাঠি। ১৬. কালীপদ, নৈকাঠি। ১৭. মফাজ্জেল হোসেন সাঙ্গর। ১৮. আবদুর রহমান গাজী, বড় কৈবর্তখালী। ১৯. এসমাইল খাঁ, তারাবুনিয়া। ২০. রহমান খান, তারাবুনিয়া। ২১. আবদুর রাজ্জাক, সাঙ্গর, থানা সংঘর্ষে নিহত। ২২. আবদুর রশীদ সরদার, চানকাটি। ২৩. নেছার উদ্দীন হাওলাদার, সাংগর। ২৪. আবদুল মান্নান হাওলাদার, নৈকাঠি। ২৫. চন্দ্র শেখর বিশ্বাস, মনোহরপুর। ২৬. সিপাহী হারুন অর রশীদ, ১ নভেম্বর বানারিপাড়া থানা যুদ্ধে শহীদ। ২৭. ফিরোজ কবীর, স্যাকরাইল; ১৩ নভেম্বর দরগাবাড়ির পুলের নিচে যুদ্ধে শহীদ। ২৮. আবুল হোসেন তালুকদার, মনোহরপুর।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০। ২। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। ৩। রুসেলি রহমান চৌধুরী, বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ৪। বাংলাপিডিয়া।