বুজুর্গ উমেদপুর পরগণা

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:২১, ১৩ জুন ২০১৮ পর্যন্ত সংস্করণে ("সম্রাট আওরঙ্গজেব মগ-পর্তুগীজদের সাথে যুদ্ধে কৃতিত্ব প্র..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

সম্রাট আওরঙ্গজেব মগ-পর্তুগীজদের সাথে যুদ্ধে কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য চন্দ্রদ্বীপ পরগণা ও সরকার বাজুয়া হতে নতুন একটি পরগণা সৃষ্টি করে শায়েস্তা খানের পুত্র বুজুর্গ উমেদকে প্রদান করেন। তাঁর নামে পরগণার নাম হলো বুজুর্গ উমেদপুর। বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী, বেতাগী, আমতলী, বরগুনা, পাথরঘাটা, বামনা প্রভৃতি এ পরগণার অন্তর্গত ছিল। নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর শাসনের শেষ ভাগে আগাবাকের খান বুজুর্গ উমেদপুর পরগণা লাভ করেন। ১৭৫৩ খৃৃস্টাব্দে আগাবাকের নিহত হলে রাজবল্লভ বুজুর্গ উমেদপুর দখল করে নেন। রাজবল্লভের প্রথম কাছারি বারৈকরণে ছিল। তার পুত্র গোপাল কৃষ্ণ ঝালকাঠির সুতালরীতে কাছারি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন তার মৃত্যু হয়। পিতার মৃত্যুর পর পীতাম্বর সেন জমিদারী পরিচালনা করেন। তার সময় উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি কালেক্টর মিঃ মেসি সরকারের পক্ষে বুজুর্গ উমেদপুর পরগণা নিলামে ক্রয় করেন। ১৮০১ খৃৃস্টাব্দে জমিদারী বিক্রির পর অধীনস্থ তালুকগুলো বিক্রি হয়। তখন তালুকের সংখ্যা ছিল ৫৯৪টি। ১৮৭৬ খৃৃস্টাব্দে পৃথক তালুকের সংখ্যা ছিল ৪০৭টি এবং রাজস্ব ছিল ২,৬৫,৮৯৫ টাকা।

বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার জমিদার পরিবারসমূহ: ১. রাজবল্লভ পরিবার, ২. শিবপুর তালুকের ফ্রেরাফেলডা আলজোস পরিবার, ৩. বামনার সৈয়দ পরিবার, ৪. বামনার চৌধুরী পরিবার, ৫. পাথরঘাটার চৌধুরী পরিবার, ৬. নিয়ামতির সিকদার পরিবার, ৭. চালিতাবুনিয়ার মির পরিবার, ও ৮. বিঘাইর মিয়া পরিবার।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।