বরিশাল জেলা বোর্ড

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:১৮, ২৪ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত সংস্করণে ("১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বাকেরগঞ্জ জেলা বোর্ড ২৫ জন সদস্য নিয়..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বাকেরগঞ্জ জেলা বোর্ড ২৫ জন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২ জন সদস্য লোকাল বোর্ড নির্বাচন করত এবং সরকার ৬ জন মনোনীত করত। নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য হতে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হতো। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জেলা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। জেলা ইঞ্জিনিয়ার মিঃ হেনরি ওব্রায়েন ১৯২০-২১ সালে বর্তমান জেলা বোর্ডের ভবন নির্মাণ করেন। তখন জেলা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন চৌধুরী মুহম্মদ ইসমাইল। এই বোর্ডের নির্মাণে ১৯২১-২২ খ্রিষ্টাব্দে বরিশালে ২৫ মাইল পিচঢালা রাস্তা এবং ৬৮৮ মাইল কাঁচা রাস্তা ছিল এবং ১৯৩০-৩১ খ্রিষ্টাব্দে ২৫ মাইল পিচঢালা এবং ৬৮৬ মাইল কাঁচা রাস্তা ছিল। জেলা বোর্ডের তত্ত¡াবধানে গ্রামে গ্রামে অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বরিশালের আনাচে কানাচে সেগুলো এখনো বোর্ড স্কুল নামে খ্যাত। বিশেষ করে খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দীন, হাশেম আলী খান ও আব্দুল ওহাব খান জেলা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তখন প্রাথমিক ও মধ্য ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়গুলো তত্ত¡বধানের জন্য ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে স্কুল বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে স্কুল বোর্ড বন্ধ হয়ে যায়। পদাধিকারবলে জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। নিম্নে জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নাম দেয়া হলো।

জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ: ১. খান বাহাদুর চৌধুরী ইসমাইল ১৯১৮-২০; ২. খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দীন ১৯২০-২৩; ৩. খান বাহাদুর চৌধুরী ইসমাইল খান ১৯২৩-২৮; ৪. নবাব সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন ১৯২৮-৩২; ৫. খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দীন ১৯৩২-৩৬; ৬. খান বাহাদুর হাশেম আলী খান ১৯৩৬-৪২; ৭. আব্দুল ওহাব খান ১৯৪২-৫২; ৮. মুহাম্মদ হোসেন চৌধুরী ১৯৫২-৫৮।

জেলা বোর্ড ৩০টি দাতব্য চিকিৎসালয় পরিচালনা করত। বোর্ড কলেরা, বসন্ত রোগের জন্য প্রতিষেধক ব্যবস্থা গ্রহণ করতো। জেলা বোর্ডের অধীনে চীফ মেডিকেল অফিসার, সেনেটারি ইন্সপেক্টর ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের ডাক্তার ও কম্পাউন্ডার ছিল।

জেলা বোর্ডের অধীনে প্রত্যেক মহকুমায় একটি লোকাল বোর্ড ছিল। মহকুমা হাকিম লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সদর মহকুমায় ১৮, পিরোজপুর ১৬, পটুয়াখালী ১০, ভোলায় ১০ সদস্যবিশিষ্ট লোকাল বোর্ড ছিল। লোকাল বোর্ড জেলা বোর্ডের অধীনে পূর্ত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত¡াবধান করত। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারত শাসন আইনের পর ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে লোকাল বোর্ড বিলুপ্ত হয়।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৯।