ফজলুল হক কলেজ, চাখার

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৮:০৮, ২৬ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত সংস্করণে ("বি এম কলেজের পরে এতদঞ্চলের সবচেয়ে ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত কল..." দিয়ে পাতা তৈরি)

বি এম কলেজের পরে এতদঞ্চলের সবচেয়ে ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত কলেজ হলো চাখারের ফজলুল হক কলেজ। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাচনের সময় বাকেরগঞ্জ জেলায় আর একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছিল। এ কে ফজলুল হক পটুয়াখালী মহকুমা শহরে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পটুয়াখালীতে উদ্যোগের অভাবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো কলেজটি চাখারে প্রতিষ্ঠা হবে। এভাবেই চাখারে এ কে ফজলুল হকের নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা।


১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে জুলাই মাসে এ কে ফজলুল হক চাখার কলেজের ভিত্তি স্থাপন করেন। কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে লুৎফুল খবির কঠোর পরিশ্রম করেন। বাকেরগঞ্জ জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাশেম আলী খান কলেজ উন্নয়নের জন্য বোর্ডের তহবিল হতে চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ করেন। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর বাংলার গর্ভনর জন হার্বার্ট চাখার কলেজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গায়ক আব্বাস উদ্দিন, মিসেস হার্বার্ট ও আরও অনেক সুধীজন চাখারে আগমন করেন। ফজলুল হকের বাল্যবন্ধু আফছার উদ্দিন তালুকদার নিষ্ঠার সাথে ভবণ নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেন। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন খলিসাকোটা নিবাসী শ্রী উপেন্দ্রনাথ গুপ্ত। তারপর শ্রী কালীপদ ঘোষ, শেখ ফজলুল রহমান ও মহিউদ্দীন আহম্মেদ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পল্লী অঞ্চলে কলেজ প্রতিষ্ঠা করে শেরেবাংলা শিক্ষার আলো কৃষকদের দ্বারে পৌঁছে দিলেন। ১৯৭৮ সালে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়।


ফজলুল হক কলেজের প্রথম গভনিং বডির সদস্যবৃন্দ: ১. এ. কে. ফজলুল হক, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি; ২. যোগেন্দ্রনাথ সেন এমএসসি, সদস্য; ৩. উপেন্দ্রনাথ গুপ্ত, অধ্যক্ষ/ সচিব; ৪. লুৎফল খবীর এমএ, সদস্য; ৫. খান বাহাদুর সৈয়দ মোহম্মদ আফজাল, সদস্য; ৬. এস এইচ চৌধুরী, এসডিও, পিরোজপুর; ৭. খান সাহেব এ খালেক, স্কুল পরিদর্শক; ৮. ফজলে আহমেদ, ৯. সৈয়দ আজিজুল হক; ১০. এ এম মহিউদ্দীন আহমেদ; ১১. শরফুদ্দিন মজুমদার, ১২. আবদুর রশীদ, চাখার, ১৩. উপেন্দ্রনাথ দাশ, খালিশকোটা, ১৪. শখানাথ গুপ্ত, ১৫. ডাঃ সতীন্দ্রনাথ সেন, ১৬. জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ, বানারীপাড়া, ১৭. মতিলাল রায়, উজিরপুর।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫