হেরম্বনাথ চট্টোপাধ্যায়

Barisalpedia থেকে

বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী হেরম্বনাথ চট্টোপাধ্যায়ের (১.৩.১৯২৫ - ১১.৮.১৯৯৯) আদি নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে। পিতা যদুনাথ; মাতা মাতঙ্গিনী।

হেরম্বনাথ কলকাতা সংস্কৃত কলেজের কৃতী ছাত্র। ওই কলেজ থেকে সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে বি.এ. এবং ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃতে প্রথম শ্রেণিতে এম.এ. পাশ করেন। সংস্কৃত ছাড়া পালি ও বাঙলা ভাষাতেও এম.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পালিতে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কৃষ্ণনগর কলেজে অধ্যাপক জীবনের শুরু। পরবর্তীকালে কলকাতার গভর্নমেন্ট সংস্কৃত কলেজে বদলি হয়ে আসেন এবং ওই কলেজ থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এখানে যোগ দেবার পর তিনি সংস্কৃত বিভাগ থেকে পালি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাজ করেন। অধ্যাপনার অবসরে তিনি প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি, গ্রিফিথ বৃত্তি-সহ স্বর্ণপদক লাভ করেন। ‘ল অফ ডেট ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ গবেষণাপত্রের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ.ডি এবং ‘ফরম্স্ অফ ম্যারেজ ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ গবেষণাপত্রের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.ফিল. ডিগ্রি পান। বুদাপেস্ট বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি.এসসি. ডিগ্রি দেয়। সংস্কৃত ও পালি ভাষায় তাঁর পারদর্শিতার জন্য তিনি এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসেবে যান। রয়াল ডেনিস সোসাইটির উদ্যোগে প্রবর্তিত প্রকল্প ‘দি ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল পলি ডিকশনারি’র তিনি ডিরেক্টরপদে নির্বাচিত হন। হিন্দু ও বৌদ্ধ শাস্ত্রের উপর বেশ কয়েকখানি গ্রন্থ সম্পাদনাও করেছেন। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ‘সত্যবাদ’, ‘ব্যবহারতত্ত্বম’, ‘ব্যবহারমাত্রক’, ‘পরার্থনাবাদ’ প্রভৃতি। ১৯৭৮-১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত তিনি সংস্কৃত সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক পদে আসীন ছিলেন।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।