হরসুন্দরী দেবী

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:২৫, ১২ জুন ২০১৮ পর্যন্ত সংস্করণে ("বরিশাল বিভাগে অতি ঐতিহাসিক এক সহমরণের সাধ্বীর নাম হরসুন..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

বরিশাল বিভাগে অতি ঐতিহাসিক এক সহমরণের সাধ্বীর নাম হরসুন্দরী দেবী। তিনি ছিলেন কীর্তিপাশার জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণরামের প্রপৌত্র কালী প্রসন্ন কুমারের স্ত্রী। সহমরণের বেদীটি কীর্তিপাশার জমিদার বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যাওয়ার পথে রাস্তার ডান পাশে এখনো দৃশ্যমান।

১৮২৮ সালে হরসুন্দরী দেবী তাঁর স্বামী কালী প্রসন্ন কুমারের মৃতদেহের সাথে সকলের নিষেধ সত্ত্বেও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মি. গ্যারেটের উপস্থিতিতে চিতায় আরোহণ করেছিলেন। ১৮৩৫ সালে বেন্টিঙ্ক সতীদাহ প্রথা আইন করে নিষিদ্ধ করেছিলেন। এই ঘটনা ঘটেছিল তার ৭ বছর আগে। মৃত্যুকালে কালী প্রসন্ন কুমারের বয়স ছিল ২২ এবং তাঁর স্ত্রী ছিল ষোড়শী। অপরদিকে কালীপ্রসন্ন কুমার ছিলেন রোহিণী কুমার সেনের দাদার বাবা অর্থাৎ পরদাদা। আর ড. তপন রায়চৌধুরী ছিলেন কালীকুমার তথা হরসুন্দরী দেবীর পঞ্চম অধস্তন পুরুষ।

তপন রায়চৌধুরী তাঁর ‘রোমন্থন’ গ্রন্থে তাঁর পঞ্চম ঊর্ধতন এই ঠাকুরমাকে নিয়ে তাঁর বংশের সকলের গৌরবের কথা অনেক শ্লেষের সাথে ব্যক্ত করেছেন।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।