"সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("শায়েস্তাবাদ জমিদার পরিবারের মির মোয়াজ্জেম হোসেনের পু..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
শায়েস্তাবাদ জমিদার পরিবারের মির মোয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র সৈয়দ/মির মুহাম্মদ হোসেন ছিলেন এতদঞ্চলের একজন প্রখ্যাত প-িত ব্যক্তি। তবে স্কুলে তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি নিজের চেষ্টায় বাংলা, ইংরেজী, উর্দু, ফার্সী ও আরবী ভাষায় পা-িত্য অর্জন করেন। ইংরেজী সাহিত্যে তার মতো প-িত বাংলাদেশে বিরল ছিল। তিনি এক সুবৃহৎ লাইব্রেরী গড়ে তুলেছিলেন। তার লাইব্রেরী উপমহাদেশে বিখ্যাত ছিল। লন্ডন টাইমস পত্রিকা এক সংখ্যায় তার ইংরেজী ভাষার দখল ও লাইব্রেরীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিল। ইংল্যান্ডের নামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে তার এই মর্মে চুক্তি ছিল যে, ইংরেজী সাহিত্যের কোনো বই প্রকাশিত হবার সাথে সাথে তারা সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেনের লাইব্রেরীতে উক্ত বইয়ের এক কপি পাঠিয়ে দিতো। এ কথা ড. তপন রায়চৌধুরী তাঁর বাঙালনামায় উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মদ হোসেন পেশাগত জীবনে সাব-রেজিষ্ট্রার ও বাকেরগঞ্জ জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চৌধুরী পদবি গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৩০ খৃৃস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।
+
শায়েস্তাবাদ জমিদার পরিবারের মির মোয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র সৈয়দ/মির মুহাম্মদ হোসেন ছিলেন এতদঞ্চলের একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি। তবে স্কুলে তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি নিজের চেষ্টায় বাংলা, ইংরেজী, উর্দু, ফার্সী ও আরবী ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ইংরেজী সাহিত্যে তার মতো পণ্ডিত বাংলাদেশে বিরল ছিল। তিনি এক সুবৃহৎ লাইব্রেরী গড়ে তুলেছিলেন। তার লাইব্রেরী উপমহাদেশে বিখ্যাত ছিল। লন্ডন টাইমস পত্রিকা এক সংখ্যায় তার ইংরেজী ভাষার দখল ও লাইব্রেরীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিল। ইংল্যান্ডের নামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে তার এই মর্মে চুক্তি ছিল যে, ইংরেজী সাহিত্যের কোনো বই প্রকাশিত হবার সাথে সাথে তারা সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেনের লাইব্রেরীতে উক্ত বইয়ের এক কপি পাঠিয়ে দিতো। এ কথা ড. তপন রায়চৌধুরী তাঁর বাঙালনামায় উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মদ হোসেন পেশাগত জীবনে সাব-রেজিষ্ট্রার ও বাকেরগঞ্জ জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চৌধুরী পদবি গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৩০ খৃৃস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।

১০:০১, ২৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

শায়েস্তাবাদ জমিদার পরিবারের মির মোয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র সৈয়দ/মির মুহাম্মদ হোসেন ছিলেন এতদঞ্চলের একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি। তবে স্কুলে তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি নিজের চেষ্টায় বাংলা, ইংরেজী, উর্দু, ফার্সী ও আরবী ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ইংরেজী সাহিত্যে তার মতো পণ্ডিত বাংলাদেশে বিরল ছিল। তিনি এক সুবৃহৎ লাইব্রেরী গড়ে তুলেছিলেন। তার লাইব্রেরী উপমহাদেশে বিখ্যাত ছিল। লন্ডন টাইমস পত্রিকা এক সংখ্যায় তার ইংরেজী ভাষার দখল ও লাইব্রেরীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিল। ইংল্যান্ডের নামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে তার এই মর্মে চুক্তি ছিল যে, ইংরেজী সাহিত্যের কোনো বই প্রকাশিত হবার সাথে সাথে তারা সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেনের লাইব্রেরীতে উক্ত বইয়ের এক কপি পাঠিয়ে দিতো। এ কথা ড. তপন রায়চৌধুরী তাঁর বাঙালনামায় উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মদ হোসেন পেশাগত জীবনে সাব-রেজিষ্ট্রার ও বাকেরগঞ্জ জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চৌধুরী পদবি গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৩০ খৃৃস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।