"সৈয়দ আজিজুর রহমান (নওয়াব মিয়া)"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("একটানা প্রায় তিন দশক বরিশাল জেলা বোর্ড এবং লোকাল বোর্ডে..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
একটানা প্রায় তিন দশক বরিশাল জেলা বোর্ড এবং লোকাল বোর্ডের সদস্য; যুক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য; এবং প্রাদেশিক চিফ হুইপ। পিতা: সৈয়দ আলতাফুর রহমান। জন্ম: ১৯০১ সাল। মৃত্যু: ১৯৫৬ সাল। গ্রাম: বাটামারা, থানা: মুলাদী, জেলা: বরিশাল।
+
একটানা প্রায় তিন দশক বরিশাল জেলা বোর্ড এবং লোকাল বোর্ডের সদস্য; যুক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য; এবং প্রাদেশিক চিফ হুইপ। পিতা: সৈয়দ আলতাফুর রহমান। জন্ম: ১৯০১ সাল। মৃত্যু: ১৯৫৬ সাল। গ্রাম: বাটামারা, থানা: বোরহানউদ্দিন , জেলা: ভোলা।
  
  
 
== শিক্ষাজীবন ==
 
== শিক্ষাজীবন ==
  
১৯০১ সালে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বাটামারায় সৈয়দ আজিজুর রহমানের (নওয়াব মিয়া) জন্ম। মাত্র ৯ বছর বয়সে তাঁর পিতা সৈয়দ আলতাফুর রহমান ইন্তেকাল করেন। এরপর তিনি উজিরপুরের আগরপুর মিয়া বাড়িতে নানার কাছে থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। তিনি বরিশাল বি.এম. স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং মাত্র ১৮ বছর বয়সে বরিশাল জেলা বোর্ড এবং লোকাল বোর্ডের সদস্য হিসেবে একটানা প্রায় তিন দশক দায়িত্ব পালন করেন।  
+
১৯০১ সালে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারায় সৈয়দ আজিজুর রহমানের (নওয়াব মিয়া) জন্ম। মাত্র ৯ বছর বয়সে তাঁর পিতা সৈয়দ আলতাফুর রহমান ইন্তেকাল করেন। এরপর তিনি উজিরপুরের আগরপুর মিয়া বাড়িতে নানার কাছে থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। তিনি বরিশাল বি.এম. স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং মাত্র ১৮ বছর বয়সে বরিশাল জেলা বোর্ড এবং লোকাল বোর্ডের সদস্য হিসেবে একটানা প্রায় তিন দশক দায়িত্ব পালন করেন।  
  
 
== কর্মজীবন ==
 
== কর্মজীবন ==

১১:১১, ৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

একটানা প্রায় তিন দশক বরিশাল জেলা বোর্ড এবং লোকাল বোর্ডের সদস্য; যুক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য; এবং প্রাদেশিক চিফ হুইপ। পিতা: সৈয়দ আলতাফুর রহমান। জন্ম: ১৯০১ সাল। মৃত্যু: ১৯৫৬ সাল। গ্রাম: বাটামারা, থানা: বোরহানউদ্দিন , জেলা: ভোলা।


শিক্ষাজীবন

১৯০১ সালে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারায় সৈয়দ আজিজুর রহমানের (নওয়াব মিয়া) জন্ম। মাত্র ৯ বছর বয়সে তাঁর পিতা সৈয়দ আলতাফুর রহমান ইন্তেকাল করেন। এরপর তিনি উজিরপুরের আগরপুর মিয়া বাড়িতে নানার কাছে থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। তিনি বরিশাল বি.এম. স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং মাত্র ১৮ বছর বয়সে বরিশাল জেলা বোর্ড এবং লোকাল বোর্ডের সদস্য হিসেবে একটানা প্রায় তিন দশক দায়িত্ব পালন করেন।

কর্মজীবন

সৈয়দ আজিজুর রহমান মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে হাশেম আলী খান সাহেবের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আইনসভার সদস্য হন (যুক্ত বাংলার সময়ে)। তারপর দেশ বিভাগের পর খাজা নাজিমুদ্দিন ও অন্যান্যদের সঙ্গে ঢাকা চলে আসেন। এখানে এসে তিনি পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি হন। তিনি প্রাদেশিক চীফ হুইপ ছিলেন প্রায় সাত বছর।

সমাজসেবা

সৈয়দ আজিজুর রহমানের কর্ম জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। জেলা বোর্ডের সদস্য থাকাকালে তিনি রাস্তাঘাট ও অন্যান্য সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর সমসাময়িক রাজনীতিকরা ছিলেন তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, খান বাহাদুর নুরুজ্জামান, কবি মোজাম্মেল হক প্রমুখ। তৎকালীন বৃহত্তর বরিশাল এবং রাজধানী পর্যায়ে তিনি ছিলেন ভোলার একমাত্র যোগ্য প্রতিনিধি। ঢাকাতে অবস্থানকালে ভোলার যে কোন লোকের আশ্রয়স্থল ছিলেন তিনি। ছেচল্লিশের মন্বন্তরের সময় তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে লঙ্গরখানা খুলে এক মাস খাবার বিতরণ করেন। তাঁর উদ্যোগ দেখেই সরকার পরে এলাকার বিভিন্ন স্থানে লঙ্গরখানা খোলে। তাঁর বড় জামাতা ক্যাপ্টেন (অবঃ) কবিরুদ্দিন বরিশালের খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিনের তৃতীয় পুত্র।

মৃত্যু

তিনি অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী থেকে ১৯৫৬ সালে মারা যান।


তথ্যসূত্র: রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ইউনিভার্সিটি বুক পাবলিশার্স, ঢাকা। ২০০৬।