"সেলিমাবাদ পরগণা"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("সেলিমাবাদ পরগণা সৃষ্টি হয় ১৬১১ সালে। তৎকালীন বাকলা-চন্..." দিয়ে পাতা তৈরি)
(কোন পার্থক্য নেই)

২২:৩৪, ১১ জুন ২০১৮ তারিখের সংস্করণ

সেলিমাবাদ পরগণা সৃষ্টি হয় ১৬১১ সালে। তৎকালীন বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ ও বর্তমান বরিশাল বিভাগের এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম পরগণা ছিল।

পরিচয়: বর্তমান ঝালকাঠি, স্বরূপকাঠি, রাজাপুর, ভা-ারিয়া, কাউখালী, পিরোজপুর, নাজিরপুর, খুলনার কচুয়া প্রভৃতি থানার অধিকাংশ এলাকা সেলিমাবাদ পরগণার অন্তর্গত ছিল। সেলিমাবাদ ১৬১১ খৃৃস্টাব্দ পর্যন্ত চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৬১১ খৃৃস্টাব্দে চন্দ্রদ্বীপ মোগল শাসনাধীনে চলে যাওয়ার পর এই রাজ্যকে কয়েকটি পরগণায় বিভক্ত করা হয়। স¤্রাট নিজ নামে সেলিমাবাদ পরগণার সৃষ্টি করেন। উল্লেখ্য স¤্রাট জাহাঙ্গীরের আর এক নাম ছিল সেলিম।

জমিদারগণ: পশ্চিম বাংলার ২৪ পরগণার দিগঙ্গার বাসুকি গোত্রীয় সেন কূলোদ্ভূত দক্ষিণ রাঢ়ীয় মৌলিক কায়স্থ আদিশুরের সভায় আগত রামনাথ সেন দিগঙ্গায় বাস করত। তার পঞ্চদশ অধস্তন কিঙ্কর ভূঁইয়ার পুত্র মদন মোহন সেলিমাবাদ পরগণার প্রথম জমিদারী লাভ করেন। মদন মোহনের বংশধরদের মধ্য থেকে পরবর্তীতে রায়েরকাঠির জমিদার গণের উদ্ভব। পরবর্তীতে এই পরগণার বিভিন্ন অংশ নিয়ে আরো অনেক জমিদার পরিবারের উদ্ভব হয়। তাঁরা হলেন: ১. ঝারকাঠির ঘোষাল পরিবার, ২. কীর্তিপাশার সেন (পরবর্তীতে রায়চৌধুরী) পরিবার, ৩. ঝালকাঠির বাসন্ডার মহলানবিস পরিবার, ৪. ঝালকাঠির কেওড়ার চৌধুরী পরিবার, ৫. স্বরূপকাঠির জলাবাড়ির বিশ^াস পরিবার, ৬. কাউখালির আমড়াঝুরির দত্ত পরিবার, ৭. বানারীপাড়ার বাইশারীর রায় পরিবার, ও ৮. রাজাপুরের সাতুরিয়ার মিয়া পরিবার।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।