সেনাপতি

Barisalpedia থেকে

১৯১২ সালের মে মাসে বরিশাল ব্যপ্টিষ্ট মিশনের খৃষ্টধর্ম প্রচার ও প্রসার সংক্রান্ত মাসিক পত্রিকা হিসেবে ‘সেনাপতি’ আত্মপ্রকাশ করে। পত্রিকাটির বার্ষিক মূল্য ছিল ১ টাকা। এর সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড ডবিøউ কেরী। বরিশাল ব্যাপ্টিষ্ট মিশন প্রেস থেকে পত্রিকাটি ছাপা হতো। সাদামাটা প্রচ্ছদের এই পত্রিকাটির প্রথম দিকের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ছিল D-112, পরে তা বদলে C-727 হয় । ডিমাই ৮/১ সাইজের এ পত্রিকাটিতে দু’কলামে লেখা ছাপা হতো। পত্রিকাটিতে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদাদিও ছাপা হতো। ৬ বছর যাবৎ পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিল বলে জান যায়। জুলাই ১৯১২ সালে পত্রিকার তৃতীয় সংখ্যা ‘সম্পাদকের নিবেদন’ শিরোনামে নিম্নরূপ বক্তব্য ছাপা হয়: ‘এই পত্রিকায় প্রকাশের নিমিত্ত পত্র, প্রবন্ধ ও সংবাদাদি মাসের ৪ঠা তারিখের পূর্বে পাঠাইতে হইবে। -লেখক মহাশয়। আপনি যতদুর সম্ভব অল্পকথায় আপানার উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট প্রকাশ করিবেন। লম্বা প্রবন্ধ দীর্ঘ প্রার্থনার ন্যায় বিরক্তিকর। লোকে টেলিগ্রাম প্রেরণের সময় যেমন খুব সতর্ক হইয়া শব্দ যোজনা করে, আপনিও তদ্রæপ, ৪০ কি ৫০ কথায় একখানা পোস্টকার্ডে সংবাদ প্রেরণ করিবেন।’ ১৯১৭ সালের মে সংখা পত্রিকার নিম্নরূপ সম্পাদকীয় বক্তব্য দেখতে পাই। ‘নূতন বন্দোবস্ত আবশ্যক। অনেকদিন যাবৎ মাসে মাসে আমাদের ব্যয় বেশী হইতেছে। কিন্তু আয় বৃদ্ধি হয় নাই। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণ যুদ্ধ, যুদ্ধ হেতু কাগজের মূল্য অসম্ভব বৃদ্ধি পাইয়াছে। আমরা এ পর্যন্ত সে সমন্ধে কিছু বলি নাই। পত্রিকার মূল্যও বৃদ্ধি করি নাই কিন্তু এখন বৃদ্ধি করা উচিত কিনা? সম্পাদকের সিদ্ধান্ত এই যে, মূল্য বৃদ্ধি না করা ভাল, বরং অন্য উপায় অবলম্বন করা উচিত। পত্রিকার পৃষ্ঠা সংখ্যা কমাইলে ব্যয়ভার লঘু হইবে এবং গ্রাহক সংখ্যা বাড়াইতে পারিলে আর কোন ভয় থাকিবে না। অতএব সেনাপতির পূর্ব মূল্যই স্থির থাকিল। ... পত্রিকার বেশ ও বিষয় পরিবর্তিত করা গেল। লোকে সর্বদাই নতুন বিষয় দেখিতে ইচ্ছা করে। একই প্রকারের লাল কাপড় কি চিরকাল পরিধান করিতে ইচ্ছা হয়? আর যখন নতুনত্বের মধ্যে সৌন্দর্যের বিকাশ দেখা যায়, তখন আর কথা কি? আশা করি, ইহাতে বর্তমান গ্রাহকগণ অসন্তুষ্ট হইবেন না এবং নূতন গ্রহকদের মন আকৃষ্ট হইবে।’ জে.সি জ্যাক এই পত্রিকাটির প্রচার সংখ্যা ২২০ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।


তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমি, ২০০১।