"সুহাসিনী সেন"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("স্বাধীনতা সংগ্রামে সুহাসিনী সেনের (১৯১৬-২১.৮.১৯৯৭) পৈতৃক..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
স্বাধীনতা সংগ্রামে সুহাসিনী সেনের (১৯১৬-২১.৮.১৯৯৭) পৈতৃক বাস ঝালকাঠি থানার বাউকাঠি গ্রামে। (সংসদ বাঙালি চরিতাভিধানে ভুলক্রমে ঝাউকাঠি লিখিত হয়েছে)। পিতা ললিতমোহন সেনগুপ্ত।  
+
স্বাধীনতা সংগ্রামী সুহাসিনী সেনের (১৯১৬-২১.৮.১৯৯৭) পৈতৃক বাস ঝালকাঠি থানার বাউকাঠি গ্রামে। (সংসদ বাঙালি চরিতাভিধানে ভুলক্রমে ঝাউকাঠি লিখিত হয়েছে)। পিতা ললিতমোহন সেনগুপ্ত।  
  
 
সুহাসিনী সেনের শিক্ষা বরিশাল শহরে, সরকারি সদর গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও বরিশাল বি.এম. কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। ছাত্রীজীবনেই ব্রিটিশ-বিরোধী সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন। বরিশালের প্রখ্যাত দেশকর্মী মনোরমা (বসু) মাসিমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে তাঁর প্রকৃত গুরু ছিলেন মণিকুন্তলা সেন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে বরিশাল ছেড়ে এসে শ্রীরাম বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ নেন। পরবর্তীকালে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভাটপাড়া বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে কোন্নগর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৪৪ বছর শিক্ষকতার পর ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে অবসর নিয়ে বারাসতে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। অবিবাহিতা, মানবদরদি, ছাত্রীবৎসল তিনি সক্রিয়ভাবে এ-রাজ্যের শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যা তিনি মহিলা আন্দোলনেও অংশ নিয়েছেন। মৃত্যুর পূর্বে একটি ইচ্ছাপত্র মারফত তিনি দেহদান করে যান মেডিক্যাল কলেজে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় এটাই দ্বিতীয় মরণোত্তর দেহদানের ঘটনা।
 
সুহাসিনী সেনের শিক্ষা বরিশাল শহরে, সরকারি সদর গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও বরিশাল বি.এম. কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। ছাত্রীজীবনেই ব্রিটিশ-বিরোধী সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন। বরিশালের প্রখ্যাত দেশকর্মী মনোরমা (বসু) মাসিমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে তাঁর প্রকৃত গুরু ছিলেন মণিকুন্তলা সেন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে বরিশাল ছেড়ে এসে শ্রীরাম বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ নেন। পরবর্তীকালে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভাটপাড়া বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে কোন্নগর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৪৪ বছর শিক্ষকতার পর ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে অবসর নিয়ে বারাসতে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। অবিবাহিতা, মানবদরদি, ছাত্রীবৎসল তিনি সক্রিয়ভাবে এ-রাজ্যের শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যা তিনি মহিলা আন্দোলনেও অংশ নিয়েছেন। মৃত্যুর পূর্বে একটি ইচ্ছাপত্র মারফত তিনি দেহদান করে যান মেডিক্যাল কলেজে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় এটাই দ্বিতীয় মরণোত্তর দেহদানের ঘটনা।

২৩:৪৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

স্বাধীনতা সংগ্রামী সুহাসিনী সেনের (১৯১৬-২১.৮.১৯৯৭) পৈতৃক বাস ঝালকাঠি থানার বাউকাঠি গ্রামে। (সংসদ বাঙালি চরিতাভিধানে ভুলক্রমে ঝাউকাঠি লিখিত হয়েছে)। পিতা ললিতমোহন সেনগুপ্ত।

সুহাসিনী সেনের শিক্ষা বরিশাল শহরে, সরকারি সদর গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও বরিশাল বি.এম. কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। ছাত্রীজীবনেই ব্রিটিশ-বিরোধী সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন। বরিশালের প্রখ্যাত দেশকর্মী মনোরমা (বসু) মাসিমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে তাঁর প্রকৃত গুরু ছিলেন মণিকুন্তলা সেন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে বরিশাল ছেড়ে এসে শ্রীরাম বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ নেন। পরবর্তীকালে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভাটপাড়া বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে কোন্নগর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৪৪ বছর শিক্ষকতার পর ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে অবসর নিয়ে বারাসতে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। অবিবাহিতা, মানবদরদি, ছাত্রীবৎসল তিনি সক্রিয়ভাবে এ-রাজ্যের শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যা তিনি মহিলা আন্দোলনেও অংশ নিয়েছেন। মৃত্যুর পূর্বে একটি ইচ্ছাপত্র মারফত তিনি দেহদান করে যান মেডিক্যাল কলেজে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় এটাই দ্বিতীয় মরণোত্তর দেহদানের ঘটনা।



তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান