সুপ্রকাশ রায় (সুধীরচন্দ্র ভট্টাচার্য)

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৩:১০, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত সংস্করণে ("স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বামপন্থী ইতিহাস গবেষক সুপ্রকাশ রায..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বামপন্থী ইতিহাস গবেষক সুপ্রকাশ রায়ের (১৯১৫- ২১.১২.১৯৯০) জন্ম বর্তমান আগৈলঝাড়ার গৈলা গ্রামে।

গৈলা স্কুল ও বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষা। ছাত্রাবস্থায় বিপ্লবী যুগান্তর দলে যোগ দেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কারাবাসকালে মার্কসবাদে আকৃষ্ট হয়ে সেই বিষয়ে পড়াশোনা করেন। কারামুক্তির পর ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। সক্রিয় শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হয়ে ট্রাম মজদুর ইউনিয়নের একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ খ্রিস্টাব্দে পার্টির কলকাতা জেলা ইউনিটের সদস্য ও জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে তিনি গোপনে পার্টির কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।

এসময় পার্টি-ঘোষিত নীতির সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য দেখা দেয় এবং তিনি অভাব-অনটনে জর্জরিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে হেয়ার স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। গোপাল হালদার ও চিন্মোহন সেহানবিশের প্রেরণায় তিনি ইতিহাস নিয়ে গবেষণা ও লেখা শুরু করেন। সুপ্রকাশ রায় নামে প্রকাশিত তাঁর গ্রন্থ: ‘ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’, ‘ভারতের বৈপ্লবিক সংগ্রামের ইতিহাস’, ‘বিদ্রোহী ভারত’, ‘ভারতের জাতীয়তাবাদী বিপ্লবের ইতিহাস’, ‘মাও সে তুং’, ‘পরিভাষা কোষ’ (১ম খন্ড)। কাফি খাঁ নামে লিখেছেন ‘তেলেঙ্গানা বিপ্লব’ প্রভৃতি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিজন সেন নাম দিয়ে প্রবন্ধ লিখতেন।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান