"সুন্দরবন কমিশনার নিয়োগ"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("'''সুন্দরবন কমিশনার নিয়োগ-১৭৮৪''' ১৭৮১ খ্রিঃ বাকেরগঞ্জে সি..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''সুন্দরবন কমিশনার নিয়োগ-১৭৮৪'''
 
 
১৭৮১ খ্রিঃ বাকেরগঞ্জে সিভিল জজ নিয়োগ করা হলেও তিনি জেলার দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন অঞ্চলের বিদ্রোহীদের দমন করতে ব্যর্থ হন। কোম্্পানির বিদ্রোহীদের ডাকাত এবং তাদের নেতাদের সর্দার ডাকাত আখ্যা দেয়। সুষ্ঠুভাবে রাজস্ব আদায় ও বাণিজ্য করার জন্য গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংস ১৭৮৪ খ্রিঃ বাকেরগঞ্জে একজন কমিশনার নিয়োগ করেন।৮ বাকেরগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের অধিকাংশ অঞ্চল সুন্দরবনে আবৃত ছিল। বিদ্রোহীরা সুন্দরবনে লুকিয়ে থাকত এবং মাঝেমধ্যে ইংরেজ কুঠি ও বাণিজ্যতরী আক্রমণ করত। তাই তাদের দমনের জন্য হেষ্টিংস সুন্দরবন কমিশনার নামে একজন ইংরেজ কর্মচারী বারৈকরণে প্রেরণ করেন। ১৭৮৪ খ্রিঃ দুর্ধর্ষ মিঃ লজ সুন্দরবনের কমিশনার হয়ে আসেন। তার গ্রেফতারের ক্ষমতা ছিল। তিনি বিদ্রোহী ও অপরাধীতের গ্রেফতার করে ঢাকা ও মুর্শিদাবাদে পাঠাতেন। সিভিল জজ দেওয়ান বিচার করতেন। মিঃ লজ একই সাথে সিভিল জজের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৭৮৮ খ্রিঃ ক্রিস্টোফার কিটিং রাফটনের স্থলে সিভির জজ হয়ে আসেন। তিনি লজের নিকট হতে সিভিল জজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিটিং ১৭৮৮ খ্রিঃ নভেম্বর মাসে বদলি হয়ে বীরভুম জেলায় চলে যান। পুনরায় লজ কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৭৯০ খ্রিঃ হিল্ডম্যান লজের স্থলে সুন্দরবন কমিশনার নিযুক্ত হন। ১৭৯২ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে হিল্ডম্যানের মৃত্যু হলে মিডলটন কমিশনার নিযুক্ত হন। এ সংবাদ কলিকাতা গেজেটে প্রকাশিত হয়। গভর্নর-ইন-কাউন্সিল মিঃ স্যামুয়েল মিডলটনকে উইলিয়াম হিল্ডম্যানের স্থলে ডাকাত দমনের জন্য সুন্দরবনের কমিশনার নিযুক্ত করেন। এ গেজেটে হিল্ডম্যানের মৃত্যু খবর প্রকাশিত হয়। বারৈকরণে তার মৃত্যু হয়েছিল। মিডলটন সিভিল জজ, সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করতেন। সিভিল জজের ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা ছিল। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ নম্বর রেগুলেশন অনুসারে ১৭৯৪ খ্রিঃ সুন্দরবন কমিশনারকে ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
 
১৭৮১ খ্রিঃ বাকেরগঞ্জে সিভিল জজ নিয়োগ করা হলেও তিনি জেলার দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন অঞ্চলের বিদ্রোহীদের দমন করতে ব্যর্থ হন। কোম্্পানির বিদ্রোহীদের ডাকাত এবং তাদের নেতাদের সর্দার ডাকাত আখ্যা দেয়। সুষ্ঠুভাবে রাজস্ব আদায় ও বাণিজ্য করার জন্য গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংস ১৭৮৪ খ্রিঃ বাকেরগঞ্জে একজন কমিশনার নিয়োগ করেন।৮ বাকেরগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের অধিকাংশ অঞ্চল সুন্দরবনে আবৃত ছিল। বিদ্রোহীরা সুন্দরবনে লুকিয়ে থাকত এবং মাঝেমধ্যে ইংরেজ কুঠি ও বাণিজ্যতরী আক্রমণ করত। তাই তাদের দমনের জন্য হেষ্টিংস সুন্দরবন কমিশনার নামে একজন ইংরেজ কর্মচারী বারৈকরণে প্রেরণ করেন। ১৭৮৪ খ্রিঃ দুর্ধর্ষ মিঃ লজ সুন্দরবনের কমিশনার হয়ে আসেন। তার গ্রেফতারের ক্ষমতা ছিল। তিনি বিদ্রোহী ও অপরাধীতের গ্রেফতার করে ঢাকা ও মুর্শিদাবাদে পাঠাতেন। সিভিল জজ দেওয়ান বিচার করতেন। মিঃ লজ একই সাথে সিভিল জজের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৭৮৮ খ্রিঃ ক্রিস্টোফার কিটিং রাফটনের স্থলে সিভির জজ হয়ে আসেন। তিনি লজের নিকট হতে সিভিল জজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিটিং ১৭৮৮ খ্রিঃ নভেম্বর মাসে বদলি হয়ে বীরভুম জেলায় চলে যান। পুনরায় লজ কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৭৯০ খ্রিঃ হিল্ডম্যান লজের স্থলে সুন্দরবন কমিশনার নিযুক্ত হন। ১৭৯২ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে হিল্ডম্যানের মৃত্যু হলে মিডলটন কমিশনার নিযুক্ত হন। এ সংবাদ কলিকাতা গেজেটে প্রকাশিত হয়। গভর্নর-ইন-কাউন্সিল মিঃ স্যামুয়েল মিডলটনকে উইলিয়াম হিল্ডম্যানের স্থলে ডাকাত দমনের জন্য সুন্দরবনের কমিশনার নিযুক্ত করেন। এ গেজেটে হিল্ডম্যানের মৃত্যু খবর প্রকাশিত হয়। বারৈকরণে তার মৃত্যু হয়েছিল। মিডলটন সিভিল জজ, সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করতেন। সিভিল জজের ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা ছিল। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ নম্বর রেগুলেশন অনুসারে ১৭৯৪ খ্রিঃ সুন্দরবন কমিশনারকে ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

০২:৩৮, ১৪ জুন ২০১৭ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

১৭৮১ খ্রিঃ বাকেরগঞ্জে সিভিল জজ নিয়োগ করা হলেও তিনি জেলার দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন অঞ্চলের বিদ্রোহীদের দমন করতে ব্যর্থ হন। কোম্্পানির বিদ্রোহীদের ডাকাত এবং তাদের নেতাদের সর্দার ডাকাত আখ্যা দেয়। সুষ্ঠুভাবে রাজস্ব আদায় ও বাণিজ্য করার জন্য গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংস ১৭৮৪ খ্রিঃ বাকেরগঞ্জে একজন কমিশনার নিয়োগ করেন।৮ বাকেরগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের অধিকাংশ অঞ্চল সুন্দরবনে আবৃত ছিল। বিদ্রোহীরা সুন্দরবনে লুকিয়ে থাকত এবং মাঝেমধ্যে ইংরেজ কুঠি ও বাণিজ্যতরী আক্রমণ করত। তাই তাদের দমনের জন্য হেষ্টিংস সুন্দরবন কমিশনার নামে একজন ইংরেজ কর্মচারী বারৈকরণে প্রেরণ করেন। ১৭৮৪ খ্রিঃ দুর্ধর্ষ মিঃ লজ সুন্দরবনের কমিশনার হয়ে আসেন। তার গ্রেফতারের ক্ষমতা ছিল। তিনি বিদ্রোহী ও অপরাধীতের গ্রেফতার করে ঢাকা ও মুর্শিদাবাদে পাঠাতেন। সিভিল জজ দেওয়ান বিচার করতেন। মিঃ লজ একই সাথে সিভিল জজের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৭৮৮ খ্রিঃ ক্রিস্টোফার কিটিং রাফটনের স্থলে সিভির জজ হয়ে আসেন। তিনি লজের নিকট হতে সিভিল জজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিটিং ১৭৮৮ খ্রিঃ নভেম্বর মাসে বদলি হয়ে বীরভুম জেলায় চলে যান। পুনরায় লজ কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৭৯০ খ্রিঃ হিল্ডম্যান লজের স্থলে সুন্দরবন কমিশনার নিযুক্ত হন। ১৭৯২ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে হিল্ডম্যানের মৃত্যু হলে মিডলটন কমিশনার নিযুক্ত হন। এ সংবাদ কলিকাতা গেজেটে প্রকাশিত হয়। গভর্নর-ইন-কাউন্সিল মিঃ স্যামুয়েল মিডলটনকে উইলিয়াম হিল্ডম্যানের স্থলে ডাকাত দমনের জন্য সুন্দরবনের কমিশনার নিযুক্ত করেন। এ গেজেটে হিল্ডম্যানের মৃত্যু খবর প্রকাশিত হয়। বারৈকরণে তার মৃত্যু হয়েছিল। মিডলটন সিভিল জজ, সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করতেন। সিভিল জজের ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা ছিল। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ নম্বর রেগুলেশন অনুসারে ১৭৯৪ খ্রিঃ সুন্দরবন কমিশনারকে ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়।