সাইদুল আরেফিন (র.)-এর মসজিদ, কালিশুরি, বাউফল

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৭:২৩, ২৩ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত সংস্করণে (" হযরত সাইয়েদুল আরেফীন (রঃ) ঠিক কোন সময়ে এই অঞ্চলে আগমন কর..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)
হযরত সাইয়েদুল আরেফীন (রঃ) ঠিক কোন সময়ে এই অঞ্চলে আগমন করেন তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। তবে ধারনা করা হয় যে, বিশ্বখ্যাত তৈমুর লং-এর এশিয়া অভিযানের শেষের দিকে অর্থাৎ তেরোশ আটানব্বই সালে সুদূর পারস্য থেকে তিনি বাংলাদেশ অঞ্চলে আগমন করে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। এই অঞ্চলে তার আগমন এবং প্রচারকেন্দ্র স্থাপন সম্পর্কে  জনশ্রুতি রয়েছে যে, একদা তিনি নদী তীরবর্তী  পথে যাওয়ার সময়ে চাল ধোয়ায় ব্যস্ত জনৈকা তরুণীর কাছে ইশারায় খাওয়ার কথা বলতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাচ্ছিল্য প্রকাশ করে। পরবর্তীতে তরুণী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে যে, হঠাৎ করে তার চাল ফুটতে শুরু করছে। অবস্থা দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত তরুণী চিৎকার করে তার বাড়ির লোকজনদের জড়ো করে। তারা অলৌকিক সেই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে এবং হযরত সাইয়েদুল আরেফীনের (রঃ)-এর পরিচয় পেয়ে তার কাছে থেকে ইসলাম গ্রহণ করে। কালি নামের শুরি বংশোদ্ভূত সেই তরুণীর নামানুসারে পরবর্তী সময়ে সেই স্থানের নাম কালিশুরি নামে পরিচিত হতে শুরু করে। হযরত সাইয়েদুল আরেফীন কালিসুরিতে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তার সম্মানে সেই মসজিদের নামকরণ করা হয় হযরত সাইয়েদুল আরেফীন মসজিদ। কালিসুরি গ্রামে হয়রত সাইয়েদুল আরেফীন (রঃ)-এর ধর্ম প্রচারকে কেন্দ্র করে এককালে এই অঞ্চলে একটি বিখ্যাত মেলা অনুষ্ঠিত হতো বলে জানা যায়। 

তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।