"সহযোগী"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("‘সহযোগী’ বরিশাল থেকে ১৮৯০ সালে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
‘সহযোগী’ বরিশাল থেকে ১৮৯০ সালে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। ১৮৯০ সালে মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতার সম্পাদনায় ‘সহযোগী’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি ছিল অত্যন্ত সুলিখিত এবং এটি বরিশালবাসী জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। পত্রিকাটি সম্পর্কে শরৎকুমার রায় লিখেছেন: ‘সহযোগী’র সম্পাদক পরলোকগত মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা মহাশয়ের সুলিখিত পত্রিকাখানি এক সময়ে বরিশালবাসী জনসাধারণের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছিল।’
 
‘সহযোগী’ বরিশাল থেকে ১৮৯০ সালে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। ১৮৯০ সালে মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতার সম্পাদনায় ‘সহযোগী’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি ছিল অত্যন্ত সুলিখিত এবং এটি বরিশালবাসী জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। পত্রিকাটি সম্পর্কে শরৎকুমার রায় লিখেছেন: ‘সহযোগী’র সম্পাদক পরলোকগত মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা মহাশয়ের সুলিখিত পত্রিকাখানি এক সময়ে বরিশালবাসী জনসাধারণের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছিল।’
  
১৩৩৯ সালের ফাল্গুন সংখ্যা মাসিক ‘ব্রহ্মবাদী’তে পাই- ‘এই দিনেই [স্বদেশী প্রকাশিত হওয়ার দিনে] তিনি [মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা?] ‘সহযোগী’ নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা বাহির করিয়াছিলেন, অর্থের প্রয়োজন হওয়ায়, পতœী মনোরমার হস্তে যে দু’খানি সোনার বালা ছিল, তাহাই বন্ধক রাখিয়া কাজ আরম্ভ করা হইল। এ বালা আর জীবনে মহাজনের গৃহ হইতে মুক্তি লাভ করে নাই। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন নিজে মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা এবং শ্রীযুক্ত সত্যানন্দ দাশ বিএ ছিলেন সহসম্পাদক। তখনকার দিনে এই কাগজের প্রভাব প্রবল হইয়াছিল, কেননা সকল বিষয়েই মনোরঞ্জন বাবু অগ্রগতি ছিলেন। . . . দুঃখের বিষয় অল্প দিনের ভিতরেই (এক বৎসর না হইতে) এই ‘সহযোগী’র অস্তিত্ব বিলীন  হইয়া গেল।’
+
১৩৩৯ সালের ফাল্গুন সংখ্যা মাসিক ‘ব্রহ্মবাদী’তে পাই- ‘এই দিনেই [স্বদেশী প্রকাশিত হওয়ার দিনে] তিনি [মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা?] ‘সহযোগী’ নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা বাহির করিয়াছিলেন, অর্থের প্রয়োজন হওয়ায়, পত্নী মনোরমার হস্তে যে দু’খানি সোনার বালা ছিল, তাহাই বন্ধক রাখিয়া কাজ আরম্ভ করা হইল। এ বালা আর জীবনে মহাজনের গৃহ হইতে মুক্তি লাভ করে নাই। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন নিজে মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা এবং শ্রীযুক্ত সত্যানন্দ দাশ বিএ ছিলেন সহসম্পাদক। তখনকার দিনে এই কাগজের প্রভাব প্রবল হইয়াছিল, কেননা সকল বিষয়েই মনোরঞ্জন বাবু অগ্রগতি ছিলেন। . . . দুঃখের বিষয় অল্প দিনের ভিতরেই (এক বৎসর না হইতে) এই ‘সহযোগী’র অস্তিত্ব বিলীন  হইয়া গেল।’
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমী, ২০০১।
 
তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমী, ২০০১।

১২:০০, ১৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

‘সহযোগী’ বরিশাল থেকে ১৮৯০ সালে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। ১৮৯০ সালে মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতার সম্পাদনায় ‘সহযোগী’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি ছিল অত্যন্ত সুলিখিত এবং এটি বরিশালবাসী জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। পত্রিকাটি সম্পর্কে শরৎকুমার রায় লিখেছেন: ‘সহযোগী’র সম্পাদক পরলোকগত মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা মহাশয়ের সুলিখিত পত্রিকাখানি এক সময়ে বরিশালবাসী জনসাধারণের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছিল।’

১৩৩৯ সালের ফাল্গুন সংখ্যা মাসিক ‘ব্রহ্মবাদী’তে পাই- ‘এই দিনেই [স্বদেশী প্রকাশিত হওয়ার দিনে] তিনি [মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা?] ‘সহযোগী’ নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা বাহির করিয়াছিলেন, অর্থের প্রয়োজন হওয়ায়, পত্নী মনোরমার হস্তে যে দু’খানি সোনার বালা ছিল, তাহাই বন্ধক রাখিয়া কাজ আরম্ভ করা হইল। এ বালা আর জীবনে মহাজনের গৃহ হইতে মুক্তি লাভ করে নাই। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন নিজে মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা এবং শ্রীযুক্ত সত্যানন্দ দাশ বিএ ছিলেন সহসম্পাদক। তখনকার দিনে এই কাগজের প্রভাব প্রবল হইয়াছিল, কেননা সকল বিষয়েই মনোরঞ্জন বাবু অগ্রগতি ছিলেন। . . . দুঃখের বিষয় অল্প দিনের ভিতরেই (এক বৎসর না হইতে) এই ‘সহযোগী’র অস্তিত্ব বিলীন হইয়া গেল।’


তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমী, ২০০১।