সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর

Barisalpedia থেকে

ঐতিহাসিকভাবে বিএম কলেজ ও চাখার ফজলুল হক কলেজের পরে বরিশাল বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী কলেজ পিরোজপুরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ। কলেজটি ১৯৫৭ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়।

সোহরাওয়ার্দি কলেজ পিরোজপুর.jpg

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও নামকরণ

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের প্রাক্কালে ফ্রন্ট নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নির্বাচনী প্রচারণায় পিরোজপুরে এলে পিরোজপুরবাসীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলে ধরলে, তিনি কথা দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে এই আসনের প্রার্থী জয়ী হলে এবং যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করলে তাদের দাবি পূরণ করা হবে। তিনি তার কথা রেখেছিলেন। কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ ছিল ১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘পিরোজপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষা কনফারেন্স’ নামে একটি কনফারেন্সের আয়োজন করা। বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও প্রখ্যাত প-িত প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁর সভাপতিত্বে তৎকালীন প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী সৈয়দ আজিজুল হক কনফারেন্সটির উদ্বোধন করেন। এক্ষেত্রে প্রধান আয়োজক ছিলেন নূরউদ্দিন আহমেদ এমএলএ, জয়নুল আবেদীন মোক্তার, নিজাম উদ্দিন হায়দার বিএল, মকবুল আহমেদ বিএল, উপেন্দ্রনাথ ঘোষ বিএ, মোবারক আলী মিয়া মোক্তার, আব্দুল হাকিম মিয়া মোক্তার প্রমুখ। এই কনফারেন্সে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় জয়নুল আবেদীন এমএলএকে। তৎকালীন এসডিও ফজলুর রহমান ইপিসিএস ১৯৫৬ সালের ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সভা আহ্বান করেন। টাউন হলে অনুষ্ঠিত এই সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্থানীয় ৮ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পিরোজপুর মহকুমার ৫ জন প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য এবং ১৫ জন বেসরকারি সদস্য সমন্বয়ে একটি অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করা হয়। এসডিও ফজলুর রহমান কমিটির চেয়াম্যান নিযুক্ত হন। কমিটির প্রথম অধিবেশনেই আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি জনাব জয়নুল আবেদীন মোক্তারকে সেক্রেটারী নির্বাচিত করা হয়। ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি এসডিও’র কোর্ট রুমে কলেজ অর্গানাইজিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কলেজের ‘নামকরণ’। আফতাব উদ্দিন আহমেদ বিএল সাহেবের প্রস্তাব অনুসারে সর্বসম্মতিক্রমে কলেজের নামকরণ করা হয় ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর’। সংক্ষেপে এইচ.এস.এস কলেজ। সোহরাওয়ার্দী তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৮ সালের ৮ অক্টোবর তাঁর মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানে মার্শাল ল জারি করা হয়। মার্শাল ল’র প্রকোপে ১৯৬০ সালে কলেজ গভর্নিং বডির এক সিদ্ধান্তক্রমে কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘পিরোজপুর কলেজ’ রাখা হয়। ১৯৮০ সালের ১ মার্চ কলেজটিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন বলে ‘পিরোজপুর সরকারি কলেজ’ নামে জাতীয়করণ করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে অত্র কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোঃ জয়নুল আবেদীনকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি শয্যাশায়ী থাকায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তদীয় কনিষ্ঠ পুত্র মোঃ মুনিরুজ্জামান নাসিম। কলেজের অন্যতম এ প্রতিষ্ঠাতা উক্ত লিখিত বক্তব্যে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর’ নামে পুনরায় কলেজের নামকরণের অন্তিম ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু তখন ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী’ নামে অন্যত্র কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ‘হোসেন শহীদ’ বাদ পড়ে যায়। বর্তমানে কলেজটি তাই ‘সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর’ নামেই পরিচিত।

কার্যক্রম ও অবকাঠামো

১৯৫৭ সালের মে মাসে সিলেকশন কমিটি একজন অধ্যক্ষসহ তিজন অধ্যাপক নিযুক্ত করেন। সৈয়দ আবুল ফজল ওয়াহিদ ০২/০৭/১৯৫৭ তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কলেজের প্রথম তথা প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষে যথারীতি ছাত্রছাত্রী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। জুলাই মাসের তিন তারিখে কলেজ কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু স্থান নির্বাচন কমিটি কলেজের নিজস্ব ঘরবাড়ি তৈরির জন্য নিদিষ্ট কোনো স্থান সম্পর্কে তখন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় স্থানীয় টাউন স্কুল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে সাইট সিলেকশন কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সুপারিশক্রমে শেরে বাঙলা এ কে ফজলুল হক সাহেবের খালার নামে প্রতিষ্ঠিত শামসুন্নেছা হাই মাদ্রাসার প্রকৃত জমিতে দু’খানা পরিত্যক্ত টিনের ঘর এবং নবনির্মিত গোলপাতার ঘরে কলেজ স্থানন্তরিত করা হয়। ১৯৫৭ সালের ২৫ নভেম্বর শামসুন্নেছা হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের তরফ হতে খান বাহাদুর জনাব মোহাম্মদ আফজাল মিয়া মাদ্রাসার ৩.৩০ একর জমির সম্পূর্ণটাই কলেজের নামে দানপত্র করে দেন। পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল হাইস্কুলের পরিত্যক্ত ভূমিতে কলেজ হোস্টেলের জন্য আরো দু’খানা গোলপাতার ঘর নির্মিত হয়। সেখানে পরিত্যক্ত দুটি টিনের ঘর কলেজ ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯৫৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নতুন স্থানে কলেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান। অনুষ্ঠানে শেরে বাংলার নাতনি, যুক্তফ্রন্টের দলীয় এবং পিরোজপুরের প্রথম মহিলা এমপি রাজিয়া বানুও উপস্থিত ছিলেন। কলেজের অনুষ্ঠানিক গৃহ প্রবেশ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় ১০ আগস্ট ১৯৫৮ সালে। উদ্বোধন করেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এএসএম ফজলুর রহমান। ১৯৬১ সালের মে মাসের প্রচ- ঝড়ে কলেজের কাঁচা ঘরগুলো বিধ্বংস্ত হলে হোস্টেলের জন্য দুটো টিনের ঘর নির্মাণ করা হয় এবং চালা ঘর তুলে কলেজের ক্লাসসমূহ চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে কলেজের নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য পাকিস্তান আমলে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উন্নয়নের জন্য কলেজটিকে সরকারি প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয় এবং ডেভেলপমেন্ট গ্রান্টের সাহায্যে একটি ভবন নির্মিত হয়, যা বর্তমানে প্রধান ভবন নামে পরিচিত। ২০০৭ সালে সিডরের আঘাতে কলেজের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বেশ কিছু বড় গাছ উপড়ে যায়। লম্বা টিনসেড ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ওমান সরকারের প্রতিনিধি বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে কলেজের বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে ওমান সরকারের সাহায্যে একটি সাইক্লোন শেল্টারসহ একটি বিল্ডিং নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং ২০০৯ সালে তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এই নবনির্মিত বিল্ডিংসহ কলেজে দুটো অনার্স বিল্ডিং, একটি সাইন্স বিল্ডিং ও প্রধান ভবনসহ পাঁচটি ভবন রয়েছে। ৩টি দ্বিতল ও দুটি তিনতলা বিশিষ্ট। ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে আইএসসি ও ডিগ্রি কোর্স এবং ১৯৭১-৭২ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি কোর্স চালুর মাধ্যমে কলেজটিকে একটি পূণাংঙ্গ প্রথম শ্রেণীভুক্ত ডিগ্রি কলেজে উন্নীত করা হয়। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৮০ সালের ১ মার্চ থেকে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয় এবং ১৬/০৫/১৯৮০ তারিখে কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজটিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট হস্তান্তর করেন। কলেজে ১৯৯৩-৯৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে কলেজটিতে তিনটি বিভাগে ১৪ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে, যা তৎকালীন সুযোগ্য অধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন এবং কয়েকজন তরুণ প্রভাষকের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। এ ক্ষেত্রে পিরোজপুরের কৃতী সন্তান বিশিষ্ট আইনজীবী মরহুম আব্দুস সালাম তালুকদারের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বাংলা বিভাগে ২৫টি চেয়ার প্রদানসহ অনার্স কোর্স চালুর ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব জনাব সিরাজ উদ্দীন আহমেদের সহযোগিতাও প্রসংসনীয়।

বেসরকারি পর্যায়ের অধ্যক্ষবৃন্দের তালিকা

১. এসএএফ ওয়াহিদ (২০-০৭-১৯৫৭ থেকে ০৫-০৩-১৯৫৯); ২. এইচএমএ কুদ্দুস (১৯-০৫-১৯৫৯ থেকে ০৯-০৭-১৯৬১); ৩. মকসুদ আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত) (১০-০৭-১৯৬১ থেকে ২৮-০৬-১৯৬৪); ৪. মোসলেম আলী মিয়া (২৯-০৬-১৯৬৪ থেকে ০১-০৫-১৯৬৫); ৫. সৈয়দ আহমদ আলী (০২-০৫-১৯৬৫ থেকে ২৩-০৬-১৯৬৫); ৬. মোসলেম আলী মিয়া (২৪-০৬-১৯৬৫ থেকে ০৮/০৯/১৯৬৫); ৭. মুহাম্মদ দরবেশ আলী খান (০৯-১০-১৯৬৫ থেকে ২১-০৮-১৯৭২); ৮. প্রফুল্ল কুমার ভাবুক (ভারপ্রাপ্ত) (২২-০৮-১৯৭২ থেকে ০৩-০৩-১৯৭৫); ৯. মোঃ তমিজ উদ্দিন (০৪-০৩-১৯৭৫ থেকে ২৯-০২-১৯৮০)।

সরকারি পর্যায়ে অধ্যক্ষবৃন্দের তালিকা

১. মোঃ তামিজ উদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) (০১-০৩-১৯৮০ থেকে ০৭-০২-১৯৮২); ২. মোঃ মর্তুজা মিয়া (০৮-০২-১৯৮২ থেকে ১০-০৮-১৯৮২); ৩. মোঃ মাহফুজুর রহমান সিকদার (ভারপ্রাপ্ত) (১১-০৮-১৯৮২ থেকে ২৯-০৪-১৯৮৪); ৪. প্রফেসার শেখ সালেহ আহমদ (০২-০৮-১৯৮৪ থেকে ৩০-১২-১৯৯৬); ৫. প্রফেসর এসএম সালেহ (চলতি দায়িত্ব) (৩১-১২-১৯৯৬ থেকে ১৫-০৮-১৯৯৭); ৬. প্রফেসর এসএম সালেহ (১৬-০৮-১৯৯৭ থেকে ৩০-০৮-১৯৯৭); ৭. আইউব আলী খান (ভারপ্রাপ্ত) (৩১-০৮-১৯৯৭ থেকে ২৮-০৮-১৯৯৭); ৮. প্রফেসর মুঃ জয়নুল আবেদীন (২৯-০৯-১৯৯৭ থেকে ১১-১১-২০০০); ৯. সুলতানা আহমদ (চলতি দায়িত্ব) (১২-১১-২০০০ থেকে ১১-০২-২০০১); ১০. শাহ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান (১২-০২-২০০১ থেকে ১৬-০৪-২০০১); ১১. প্রফেসর শাহ মোহাম্মদ মুস্তাপিজুর রহমান (১৭-০৪-২০০১ থেকে ০১-১১-২০০১); ১২. প্রফেসর রাধাশ্যাম আচার্য্য (ভারপ্রাপ্ত) (০২-১১-২০০১ থেকে ১২-০১-২০০২); ১৩. প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুল হক (১৩-০১-২০০২ থেকে ২৩-০৩-২০০৩); ১৪. প্রফেসর মোঃ সুলতান আহমদ (২৪-০৩-২০০৩ থেকে ১৪-০১-২০০৪); ১৫. রেনু সুলতানা (ভারপ্রাপ্ত) (১৫-০১-২০০৪ থেকে ২১-০২-২০০৪); ১৬. প্রফেসর মোঃ মোস্তাকুন নবী (২২-০২-২০০৪ থেকে ২৭-১২-২০০৭); ১৭. রেনু সুলতানা (ভারপ্রাপ্ত) (২৮-১২-২০০৭ থেকে ০৯-০১-২০০৮); ১৮. প্রফেসর মোঃ আব্দুল হালিম (১০-০১-২০০৮ থেকে ২৬-০৪-২০০৮); ১৯. রেনু সুলতানা (ভারপ্রাপ্ত) (২৭-০৫-২০০৮ থেকে ২০-০৭-২০০৮); ২০. প্রফেসর টিএম হোসেনে আরা সুলতানা (২১-০৭-২০০৮ থেকে ২৮-০৫-২০০৯); ২১. রেনু সুলতানা (ভারপ্রাপ্ত) (২৯-০৫-২০০৯ থেকে ০৮-০৬-২০০৯); ২২. প্রফেসর সরোজ কুমার দেব (০৭-০৭-২০০৯ থেকে ৩০-০৫-২০১০); ২৩. প্রফেসর রেনু সুলতানা (৩১-০৫-২০১০ থেকে ০১-০১-২০১১); ২৪. প্রফেসর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (০২-০১-২০১১ থেকে ২৭-০৯-২০১১); ২৫. প্রফেসর গনেশ চন্দ্র অধিকারী


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।