সমীর সেনগুপ্ত

Barisalpedia থেকে

বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও জীবনীকার সমীর সেনগুপ্তের জন্ম (২১.১২.১৯৪০-২৩.১২.২০১১) বরিশাল শহরে মাতুলালয়ে। পিতা ড. শিশিরচন্দ্র সেন; মাতা লুলু দেবী।

সমীর সেনগুপ্ত ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে হুগলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে স্কুল ফাইনাল পাশ করে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির থেকে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। পরে অর্থনীতি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. (১৯৫৮) এবং এম.এ. পাশ করেন তুলনামূলক সাহিত্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৬০)। তাঁর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দু-জন শিক্ষক কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এবং বুদ্ধদেব বসুর প্রিয় ছাত্র সমীর সেনগুপ্ত সাহিত্য, শিল্প ও সংগীতের প্রিয় ছাত্র সমীর সেনগুপ্ত সাহিত্য, শিল্প ও সংগীতের নানা শাখায় সচ্ছন্দ ও সাবলীল ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের গানের দুষ্প্রাপ্য রেকর্ডের সংগ্রাহক। তাত্ত্বিক আলোচক হিসেবেও তাঁর খ্যাতি আছে। কর্মজীবন শুরু হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম, পরে দে’জ মেডিক্যাল সংস্থায়। শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর পরিচিত আছে। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ৩৬। এগুলির মধ্যে তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল: ‘রবীন্দ্রনাথের আত্মীয়স্বজন’ (সাহিত্য সংসদ, ২০০৫), ‘রবীন্দ্রসূত্র বিদেশিরা’ (সাহিত্য সংসদ, ২০১০), ‘সমকাল ও রবীন্দ্রনাথ’ (১৯৯১), ‘মিকেলাঞ্জেলো’ (জীবনী, ১৯৯৮), ‘বিপ্লবী আমির হায়দার খান’(২০০০), ‘শক্তি চট্টোপাধ্যায়’ (সাহিত্য সাধক চরিতমালা, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, ২০০২); ছোটোদের জন্য লিখেছেন ‘লালুর গল্প’ (১৯৯৯), ‘কাছের ঘোড়া’ (রূপকথা, শিশু সাহিত্য সংসদ, ১৯৯৯৯), ‘যখন ছিলাম ছোটো’ (২০০৫),; সম্পাদিত গ্রন্থ: ‘কুড়ি বছরে কুড়িটি’ (মায়া সেনগুপ্ত প্রকাশিত, ১৯৭৯), ‘সে তার প্রতিচ্ছবি’ (১৯৮৪), ‘অগ্রন্থিত শক্তি চট্টোপাধ্যায়’(১৯৯০), ‘শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পদ্যসমগ্র’ (১ম কন্ড ১৯৯৬, ৩য় খন্ড ১৯৯৫ এবং ৪র্থ কন্ড ১৯৯৫), ‘দুই বাংলার আধুনিক কবিতার উদ্ধৃতিসংগ্রহ’ (২০০৩), ‘বঙ্কিম কণিকা’ (শিশু সাহিত্য সংসদ, ২০০১) প্রভৃতি। তাঁর স্ত্রী মায়া সেনগুপ্ত সমীরের সাহিত্য রচনার অন্যতম প্রেরণাদাত্রী।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান