শৈলেন্দ্র বিশ্বাস

Barisalpedia থেকে

শৈলেন্দ্র বিশ্বাস বানারীপাড়ার ইলুহার গ্রামে ১২ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য সংসদ চরিতাভিধানে গ্রামের নাম উলুহার লিখিত রয়েছে, কিন্তু বরিশালে কোনো উলুহার গ্রামের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তাঁর মৃত্যু ৬ অক্টোবর ১৯৭২। তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও বিপ্লবী ছিলেন।

তাঁর পিতার নাম দেবেন্দ্রলাল। ১৩ বছর বয়সে শৈলেন্দ্র বিশ্বাস ম্যাট্রিক ও ১৫ বছর বয়সে আই.এ. পাশ করে স্বদেশি আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে পড়া বন্ধ রাখেন। পরে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ. এবং এম.এ. পাশ করেন। তার আগে ১৯৩৬ খৃস্টাব্দে রৌপ্যপদক-সহ ‘কাব্যবিনোদ’ উপাধি পান। রাজনীতিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েকবার কারাবরণও করেন। ১৯৪১ খৃস্টাব্দে ভারতীয় সৈন্য বিভাগে স্থলবাহিনীতে যোগ দেন এবং ক্রমে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে তিনি শিক্ষকতার কাজ গ্রহণ করেন। দেশবিভাগের পর কয়েক বছর পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহ জেলার ভুঁইয়াপুর কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। তাঁর রচিত ‘কালি ও কলম’ গ্রন্থটি ১৩৫৩বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়। ‘পুরাতনী’ তাঁর অপর গ্রন্থ। এ.টি দেব-এর পুস্তক প্রকাশনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি শিশু সাহিত্য সংসদের সঙ্গে যুক্ত হন। সেখান থেকে তাঁর সম্পাদনায় ‘সংসদ বাঙ্গালা অভিধান’, ‘সংসদ ইংলিশ বেঙ্গলি ডিকশনারি’, ‘সংসদ বেঙ্গল-ইংলিশ ডিকশনারি’ প্রকাশিত হয়। ছোটোদের জন্য ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’ ছাড়া আরও কয়েকখানি বইও তিনি লেখেন।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।