"শরৎ চন্দ্র গুহ"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("শরৎ চন্দ্র গুহ জাগুয়া গ্রামে ১৮৭২ সনে ৯ই মে জন্ম গ্রহণ ক..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
শরৎ চন্দ্র গুহ জাগুয়া গ্রামে ১৮৭২ সনে ৯ই মে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মনিচন্দ্র গুহ। তিনি বিএম স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ১৮৮৯ সনে বিএম স্কুল হতে এন্ট্রাস পাশ করেন। তিনি ১৮৯৪ সনে কলকাতা ডাফ কলেজ হতে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এম. এ পাশ করেন। তিনি ১৮৯৭ সনে রিপন কলেজ হতে বিএল পাশ করেন। বরিশালে ওকালতি শুরু করেন। তিনি বরিশাল জনসভা বা বরিশাল জিলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। অশ্বিনী কুমার দত্ত ছিলেন সম্পাদক। তিনি ১৯০৫ সনে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি স্বদেশী মামলা পরিচালনা করতেন। ১৯২১ সনে বরিশালে প্রাদেশিক কংগ্রেসে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে যে অভ্যার্থনা কমিটি হয় তার সভাপতি ছিলেন অশ্বিনী কুমার দত্ত এবং সম্পাদক হলেন শরৎ চন্দ্র গুহ। তিনি কংগ্রেস সম্মেলনে অনেক বার বরিশালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৯ সনে মথুরা নাথ সেনের মৃত্যুর পর তিনি বরিশাল সদর গার্লস স্কুলের সেক্রেটারী হন এবং ১৯৫৩ সন পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। তিনি বি এম কলেজ ও অনেক বিদ্যালয়ের কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন। শরৎ চন্দ্র ১৯৩৭ সনে বরিশাল-ফরিদপুর নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ভোটে হেরে যান। তিনি ১৯৩৭ সনে নিজ গ্রামে শরৎ চন্দ্র ইনষ্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অশ্বিনী কুমার টাউন হল নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি একাধিক বার বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সনে দেহ ত্যাগ করেন।
+
শরৎ চন্দ্র গুহ বরিশাল সদর থানার জাগুয়া গ্রামে ১৮৭২ সনে ৯ই মে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বরিশাল জিলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এবং একাধিক বার বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তার পিতা মনিচন্দ্র গুহ। তিনি বিএম স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ১৮৮৯ সনে বিএম স্কুল হতে এন্ট্রাস পাশ করেন। তিনি ১৮৯৪ সনে কলকাতা ডাফ কলেজ হতে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এম. এ পাশ করেন। তিনি ১৮৯৭ সনে রিপন কলেজ হতে বিএল পাশ করেন। বরিশালে ওকালতি শুরু করেন। তিনি বরিশাল জনসভা বা বরিশাল জিলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। অশ্বিনী কুমার দত্ত ছিলেন সম্পাদক। তিনি ১৯০৫ সনে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি স্বদেশী মামলা পরিচালনা করতেন। ১৯২১ সনে বরিশালে প্রাদেশিক কংগ্রেসে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে যে অভ্যার্থনা কমিটি হয় তার সভাপতি ছিলেন অশ্বিনী কুমার দত্ত এবং সম্পাদক হলেন শরৎ চন্দ্র গুহ। তিনি কংগ্রেস সম্মেলনে অনেক বার বরিশালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৯ সনে মথুরা নাথ সেনের মৃত্যুর পর তিনি বরিশাল সদর গার্লস স্কুলের সেক্রেটারী হন এবং ১৯৫৩ সন পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। তিনি বি এম কলেজ ও অনেক বিদ্যালয়ের কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন। শরৎ চন্দ্র ১৯৩৭ সনে বরিশাল-ফরিদপুর নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ভোটে হেরে যান। তিনি ১৯৩৭ সনে নিজ গ্রামে শরৎ চন্দ্র ইনষ্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অশ্বিনী কুমার টাউন হল নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি একাধিক বার বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সনে দেহ ত্যাগ করেন।
  
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: রফিকুল ইসলাম। বরিশাল দর্পণ। ঢাকা ১৯৯০।
 
তথ্যসূত্র: রফিকুল ইসলাম। বরিশাল দর্পণ। ঢাকা ১৯৯০।

১০:৩৬, ২ মে ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

শরৎ চন্দ্র গুহ বরিশাল সদর থানার জাগুয়া গ্রামে ১৮৭২ সনে ৯ই মে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বরিশাল জিলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এবং একাধিক বার বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তার পিতা মনিচন্দ্র গুহ। তিনি বিএম স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ১৮৮৯ সনে বিএম স্কুল হতে এন্ট্রাস পাশ করেন। তিনি ১৮৯৪ সনে কলকাতা ডাফ কলেজ হতে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এম. এ পাশ করেন। তিনি ১৮৯৭ সনে রিপন কলেজ হতে বিএল পাশ করেন। বরিশালে ওকালতি শুরু করেন। তিনি বরিশাল জনসভা বা বরিশাল জিলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। অশ্বিনী কুমার দত্ত ছিলেন সম্পাদক। তিনি ১৯০৫ সনে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি স্বদেশী মামলা পরিচালনা করতেন। ১৯২১ সনে বরিশালে প্রাদেশিক কংগ্রেসে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে যে অভ্যার্থনা কমিটি হয় তার সভাপতি ছিলেন অশ্বিনী কুমার দত্ত এবং সম্পাদক হলেন শরৎ চন্দ্র গুহ। তিনি কংগ্রেস সম্মেলনে অনেক বার বরিশালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৯ সনে মথুরা নাথ সেনের মৃত্যুর পর তিনি বরিশাল সদর গার্লস স্কুলের সেক্রেটারী হন এবং ১৯৫৩ সন পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। তিনি বি এম কলেজ ও অনেক বিদ্যালয়ের কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন। শরৎ চন্দ্র ১৯৩৭ সনে বরিশাল-ফরিদপুর নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ভোটে হেরে যান। তিনি ১৯৩৭ সনে নিজ গ্রামে শরৎ চন্দ্র ইনষ্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অশ্বিনী কুমার টাউন হল নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি একাধিক বার বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সনে দেহ ত্যাগ করেন।



তথ্যসূত্র: রফিকুল ইসলাম। বরিশাল দর্পণ। ঢাকা ১৯৯০।