"লতা (গ্রাম)"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("মেহেন্দিগঞ্জ থানার লতা গ্রাম একটি প্রাচীন জনপদ। তেরো শত..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
(কোন পার্থক্য নেই)

০১:৫৪, ৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

মেহেন্দিগঞ্জ থানার লতা গ্রাম একটি প্রাচীন জনপদ। তেরো শতকে কেশব সেনের তা¤্র শাসনে লতা গ্রামের উল্লেখ আছে। এ গ্রামে দত্ত ও নাগ বংশ কুলীন কায়স্থ পরিবারের বাস ছিল। দত্ত বংশের চন্দ্র শেখর দত্ত কালী ভক্ত সাধক পুরুষ ছিলেন। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে তারা মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মনসা ও ল²ী গোবিন্দ বিগ্রহ স্থাপন করেন। গঙ্গারাম দত্তের পুত্র কালী শংকর রায় অল্প বয়সে য²া রোগে আক্রান্ত হন। গঙ্গারামের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী পুত্রের রোগমুক্তি ও স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য সহমরণের লক্ষ্যে জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিয়ে পড়েন। কথিত আছে তারপর পুত্র কালী শংকর রোগমুক্ত হন। কালী শংকরের পুত্র দ্বীপচন্দ্র দত্ত। তার দুই পুত্র মহিমা চন্দ্র ও অখিল চন্দ্র দত্ত। অখিল দত্ত অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেট ও উলানিয়া জমিদারীর ম্যানেজার ছিলেন। তাদের খারিজা তালুক ও জমিদারী ছিল। এ বংশ ইংরেজী ১৭৩১ খৃৃস্টাব্দ থেকে বৃত্তি পেত। স্বদেশী ও স্বাধীনতা আন্দেলনে লতা গ্রামের অবদান উল্লেখযোগ্য। দত্ত বংশের ডাঃ অনন্ত মোহন দত্ত ও জিতেন্দ্র মোহন দত্ত কৃতী সন্তান ছিলেন। জিতেন্দ্র মোহন দত্ত ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। লতা গ্রামের গান্ধী আশ্রম বিখ্যাত ছিল। এখানে শত শত হিন্দু-মুসলমান চরকায় সুতা কাটত। ১৯৫০ খৃৃস্টাব্দে বরিশালে দাঙ্গার ফলে লতা গ্রামের বর্ধিষ্ণু হিন্দু সম্প্রদায় ভারতে চলে যায়।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।