মোগল আমলে বাকলার কয়েকটি পরিবার

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৩:১৮, ১৩ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সংস্করণে ("মোগল আমলে বরিশালে কয়েকটি পরিবার সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈ..." দিয়ে পাতা তৈরি)

মোগল আমলে বরিশালে কয়েকটি পরিবার সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে সমাজে বিশেষ স্থান দখল করে ছিল। বাকলা চন্দ্রদ্বীপের বিশিষ্ট পরিবারগুলোর মধ্যে দনুজমর্দন প্রতিষ্ঠিত চন্দ্রদ্বীপ-রাজবংশ সর্বশ্রেষ্ঠ ছিল। এ বংশের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশের পরেই পিরোজপুর মহকুমার রায়েরকাঠির রায় বংশের স্থান। তারা হুগলী জেলার দিগঙ্গার কিংকর ভূঁইয়ার বংশধর এবং দক্ষিল রাঢ়ীয় কায়স্থ। কিংকর ভূঁইয়ার পুত্র মদনমোহন স¤্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট হতে সেলিমাবাদে পরগণা লাভ করেন। মদনমোহন ১৬১৮ খ্রিস্টাব্দে ছবি খাঁর সাথে সেলিমাবাদে আগমন করেন।১ তার পুত্র শ্রীনাথ রায় নবাবের নিকট হতে রাজা উপাধি লাভ করেন। তার পুত্র শ্রীরাম মগ-পর্তুগীজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খ্যাতি অর্জন করেন। শ্রীরামের পুত্র রাজা রুদ্রনারায়ণ সপরিবারে রােেয়রকাঠিতে বসবাস শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র নরোত্তম নারায়ণ রাজা হন। তার পুত্র শত্রাজিতের সময় তাদের জমিদারী বিশেষ উন্নতি হয়। তার পুত্র জয়নারায়ণের সাথে আগাবাকেরের যুদ্ধ হয়েছিল। তার পুত্র শিবনারায়ণ।

মোগল আমলে বরিশালের তৃতীয় প্রভাবশালী পরিবার নলচিড়ার সৈয়দ বা মিয়া বংশ। এ অঞ্চলে আগত প্রথম মুসলমানের মধ্যে তারা অন্যতম। এ বংশের আদি পুরুষ সৈয়দ উলফত গাজী স¤্রাট জাহাঙ্গীরের উজির ছিলেন তার পূর্বপুরুষ ভাগ্যান্বেষণে মধ্য এশিয়া হতে বিহারের গাজীপুরে আগমন করেন। স¤্রাট জাহাঙ্গীর তাকে নাজিরপুর পরগণার জমিদারী প্রদান করেন। তার পুত্র সৈয়দজান মুলাদী থানার তেরচর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। খুব সম্ভব তার অপর নাম সৈয়দ কুতুব শাহ। তিনি একজন বিখ্যাত পীর ছিলেন। তিনি তেরচর হতে নলচিড়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তার পুত্র হোসেনজান। হোসেনজানের পুত্র সৈয়দ আইনইদ্দন। তার পুত্র সৈয়দ সামসউদ্দিন। সামসউদ্দিনের পুত্র হোসেন উদ্দিন। হোসেন উদ্দিনের পুত্র সৈয়দ ইমাম উদ্দিন। নলচিড়ার মিয়ারা তার বংশধর। চাখারের মজুমদার বংশের আদি পুরুষ শের খাঁ ও চলবন খাঁ। শের খাঁর পুত্র মেহেদী ও শরফুদ্দীন মজুমদার। তারা শায়েস্তাবাদ হতে চাখারে বসতি স্থাপন করেন। মেহেদী মজুমদারের জামাতা মীর কুতুবউদ্দিন। মীর কুতুবের দুই কন্যাকে বিয়ে করেন মীর আতাউল্লা ও আতিকুরøা। আতিকুল্লার বংশধর চাখারের গোতারের বাড়ী এবং আতাউল্লার বংশধর শরীফ বাড়ী। মুজমদারগণ জমিদারদের নিকট হতে চৌদ ও কর আদায় করত। তাই চাখার নাম হয়েছে। চাখারের পূর্ব নাম ছিল কিসমত দরিয়াবাদ। ধামুরার মজুমদাররা চলবন খাঁর বংশধর। মেহেদী মজুমদারের কন্যা আমেনা খাতুনকে বিয়ে করেন মোহাম্মদ হানিফ। ঢাকার মকিমপুর নিবাসী সৈয়দ সলিমউদ্দিন মোহাম্মদ হানিফের কন্যাকে বিয়ে করে শায়েস্তাবাদে বসতি স্থাপন করেন। আমেনা খাতুন শায়েস্তাবাদ পরগণা ১৭৬৪ খ্রিঃ সলিমউদ্দিনের পুত্র সৈয়দ আসাদ আলীকে দান করেন। শায়েস্তাবাদের সৈয়দ (নবাব) পরিবার তার বংশধর।২

বাকেরগঞ্জ থানার শায়েস্তানগর ও আওরঙ্গপুর পরগণার জমিদারদের আদি পুরুষ রাম গোপাল রায় চৌধুরী। তিনি ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে শায়েস্তানগরের জমিদারী লাভ করেন এবং গারুরিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রামগোবিন্দ ভ্রাতাদের বঞ্চিত করে সমস্ত পরগণা আত্মসাত করেন। তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জানকী বল্লভ মুর্শিদকুলী খাঁ ও সুবেদার আজিমউসশানের নিকট হতে ১৬৯৯ খ্রিঃ আওরঙ্গপুর পরগণার জমিদারী লাভ করেন। ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বালিগ্রাম থেকে কলসকাঠি গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। কলসকাঠির জমিদার পরিবার তার বংশধর। রাজা রামচন্দ্রের শরীররক্ষক রামমোহন মাল উজিরপুরে বসতি স্থাপন করেন। তার পুত্র কৃষ্ণজীবন বীরযোদ্ধা ছিলেন। তার পুত্র দুর্গা শরন। দুর্গা শরণের পুত্র রতেœশ্বর রায় নিজ বুদ্ধিবলে ১৭২৪ খ্রিঃ নবাব আলীবর্দী খাঁর নিকট হতে রতনদি-কালিকাপুর পরগণার জমিদারী লাভ করেন। রামমোহন মালের বংশ বাকেরগঞ্জ জেলার চারটি ঐতিহাসিক হিন্দু পরিবারের মধ্যে ান্যতম। অন্য তিনটি হলো চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশ, রায়েরকাঠির রায় ও কলসকাঠির জমিদার। গুহ পরিবার কচুয়া হতে বানারীপাড়ায় বসতি স্থাপন করেন। এ বংশের জিতা মিত্র চন্দ্রদ্বীপ রাজার সেনাধ্যক্ষ, প্রতাপাদিত্য, সৃষ্টিধর গুহ ও নযানন্দ নবাবের কর্মচারী ছিলেন। দেহেরগতির বসু বংশ ঐতিহ্যবাহী পরিবার। তারা রাজা পরমানন্দ বসুর বংশধর। গাভার ঘোষ বংশ চন্দ্রদ্বীপ রাজার সীল রক্ষক ছিলেন বলে তাদের পদবি দস্তিদার হয়। লাখুটিয়ার রায় বংশের প্রতিষ্ঠাতা রামচন্দ্র খাঁ মোগর কর্মচারী ছিলেন। তিনি ভূমি লাভ করে বাউফল থানার পুরী গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তার প্রপৌত্র ঘনশ্যাম চন্দ্রদ্বীপ রাজবাড়ীর খানসামা ছিলেন। ব্রাহ্মোত্তর ভূমি লাভ করে তিনি লাখুটিয়ায় বসতি স্থাপন করেন। নারায়ণ চক্রবর্তী রাজা প্রতাপ নারায়ণ ও উদয় নারায়নের দেওয়ান ছিলেন। তিনি রহমতপুরে বসতি স্থাপন করেন। রহমতপুরের চক্রবর্তীরা তার বংশধর। বাটাজোড়ের দত্ত পরিবার নবারে চাকরি করে মজুমদার উপাধি লাভ করেন। বৈরনাথ দত্ত ১৬ শতকের শেষ ভাগে বাটাজোড়ে বসতি স্থাপন করেন। মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত তার বংশধর। কীর্তিপাশার জমিদারদের পূর্বপুরুষ দুর্গাদাস সেন বিক্রমপুর থেকে এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। তিনি ও তার পুত্র রাজারাম রায়েরকাঠির জমিদার জয় নারায়ণের দেওয়ান ছিলেন এবং মজুমদার উপাধি লাভ করেন। নলছিটির দেউলির রামহরি গুপ্তের পৌত্র নরেন্দ্র নারায়ণের কন্যাকে বিক্রমপুরের রামকৃষ্ণ বিয়ে করে হাবেলী সেলিমাবাদ পরগণার জমিদারী হস্তগত করেন। পোনাবালিয়া, কুলকাঠি, বারৈকরণ, দেওরী ও কেওরার চৌধুরী বংশের আদি পুরুষ রামকৃষ্ণ রায় চৌধুরী। রামৃকষ্ণের পুত্র শ্রীরাম পোনাবালিয়ায় বসতি স্থাপন করেন। স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে তিনি শ্যামরাইলের বিখ্যাত শিবলিঙ্গ প্রাপ্ত হন। তার পুত্র রামভদ্র মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। রামাকান্ত রায় শাহজাদপুর পরগণার জমিদারী লাভ করে সিদ্ধকাঠিতে বসতি স্থাপন করেন। তার পৌত্র চন্দ্রশেখর মগদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হন। সিদ্ধকাঠির চৌধুরীরা তার বংশধর।৩

গৌরনদী থানার সেরালের সেরনিয়াবাত পরিবারের পূর্বপুরুষ ফিরোজ খাঁ পাঠান অশ্বারোহী সৈন্যের অধিনায়ক ছিলেন। মোগলদের সাথে পরাজয়ের পর তিনি সেরালে আগমন করেন। ১৮ শতকের প্রথম ভাগে কাজী মহম্মদ নূর দিল্লী থেকে এ অঞ্চলে আসেন। তিনি সেরনিয়াবাত পরিবারে বিয়ে করে সেরালে বসতি স্থান করেন। সেরাল ও কসবার কাজীরা তার বংশধর। মোগলদের সাথে পরাজয় বরণ করে আর একজন পাঠান সেনাধ্যক্ষ শাহ আশরাফ জান চাঙ্গুলিয়া আগমন করেন। তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। তার পুত্র মোহাম্মদ আমিন জাহান খান নবাব কর্তৃক এ অঞ্চলের সর্দার নিযুক্ত হন। তার পুত্র সর্দার মোহাম্মদ হানিফ জাহান খান ১৮ শতকের শেষ ভাগে আগরপুরে বসতি স্থাপন করেন। আগরপুরের শহীদ আফতাফ উদ্দীন মিয়ার পরিবার ও চাঙ্গুরিয়ায় সরদার আশরাফ জানের বংশধর। শাহ সাজেন্দের বংশধর ফকির শাহাবুদ্দিন মোগল আমলে রাজাপুরে বসতি স্থাপন করেন। সাতুরিয়ার মিয়ারা তার বংশধর। গাভার সরদারদের পূর্বপুরুষ শেখ বেরাহিম মোগল আমলে একজন বিশিষ্ট ভূস্বামী ছিলেন। গাভার ঘোষদের আদিপুরুষ রামকৃষ্ণ ঘোষ ও তার ছয় পুত্র শেখ বেরাহিমের পুত্র শেখ গরীবের নিকট থেকে ভূমি লাভ করে গাভা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব জনাব মুজিবল হক বেরাহিমের বংশধর। শেখ হেদায়েত উরøাহ ভূমি লাভ করে নবাবী আমলে নারায়ণপুরে বসতি স্থাপন করেন। তার বাড়িতে প্রাচীন ঝিটকি আছে। কড়াপুরের মালদার খাঁ ও মোহাম্মদ হায়াত চন্দ্রদ্বীপ রাজাকে নবাবের কারাগার থেকে উদ্ধার করে অনেক তালুক লাভ করেন। কড়াপুর মিয়ারা তাদের বংশধর।

গৈলা-ফুল্লশ্রী গ্রামে কয়েকটি বৈদ্য পরিবার মোগল ও নবাবী আমলে শিক্ষা-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ স্থান দখল করে। দাশেরবাড়ী ও রামমোহন দাশেরবাড়ী কবি বিজয় গুপ্তের মাতুল রাঘবেন্দ্র দাশের বংশধর। যুদল দাশ, কবিরাজ বাড়ী, বকশী বাড়ী রাঘবেন্দ্রের ভ্রাতা ত্রিলোচন দাশের অধস্তন। মুন্সী বাড়ীর আদিপুরুষ রামচন্দ্র দাশ বিক্রমপুরের পোড়াগাছা হতে গৈলা আসেন। মুন্সী বংশের রামলোচন দাশ, কাশীনাথ দাশ ও রাম দাশ নবাবের চাকরি করতেন। ইদিলপুর জমিদারদের পূর্বপুরুষ রঘুনন্দ চৌধুরী চাঁদ রায় কেদার রায়ের সেনাপতি ছিলেন। উত্তর শাহবাজপুরের আদি জমিদার চাঁদ রায় মোগল সেনাপতি সংগ্রাম শাহের সাথে যুদ্ধ করে জমিদারী লাভ করেন। মাহিলারার সেন বংশের আদিপুরুষ সৈয়াল সেন বিক্রমপুরের পোড়াগাছা থেকে মাহিলারায় বসতি স্থাপন করেন। তার বংশধর রুপরাম সেন নবাব আলীবর্দী খানের দরবারে চাকরি করতেন। তিনি মাহিলারা সরকার মঠের প্রতিষ্ঠাতা। নলচিড়ার ভট্টাচার্য বংশ সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্মানিত পরিবার। মোগল আমলে তারা সংস্কৃত চর্চা করে বাকলার গৌরব বৃদ্ধি করেন। বাগধার সমদ্দার বংশের পূর্বপুরুষ মথুরানাথ সমদ্দার নবাবের কর্মচারী ছিলেন। নবাব তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে সমজদার উপাধিতে ভূষিত করেন।

শেখ ইয়ার মোহাম্মদ বাগদাদ থেকে নবাবী আমলে বাংলাদেশে আগমন করেন। নবাব তাকে কাজী পদে নিযুক্ত করে বাকলায় প্রেরণ করেন। তিনি মেহেন্দিগঞ্জের কালিকাপুরে বসতি স্থাপন করেন। খান সাহেব এফাজউদ্দিন ও মহিউদ্দিন আহমেদ তার বংশধর। ঝালকাঠির রুন্সী গ্রামের রাজাদের পূর্বপুরুষ যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের বংশধর। প্রবাদ আছে দিল্লীতে মুসলমানদের রান্নার ঘ্রাণ নিয়ে তিনি ধর্মচ্যুত হয়ে মুসলমান হন। রুন্সী গ্রামের নাম তাদের পূর্বপুরুষের নামে। দিল্লীর ইব্রাহিম লোদীর এক বংশধর নবাবী আমলে স্বরূপকাঠির শেহাঙ্গলে বসতি স্থাপন কােরন। খান বাহাদুর হাশেম আলী খান তার বংশধর। পটুয়াখালীর শ্রীরামপুরের মিয়াবাড়ীর আদিপুরুষ শিবানন্দ মজুমদার। তিনি মুর্শিদকুলী খানের খাজাঞ্জী ছিলেন। তিনি নবাব দরবারে গরুর মাংসের ঘ্রাণ নিয়ে জাতিচ্যুত হন। মুসলমান হয়ে তিনি শিবন খাঁ ও তার পুত্র কালী মজুমদার কালে খাঁ নাম ধারণ করেন। তারা ভূমি লাভ করে শ্রীরামপুরে বসতি স্থাপন করেন। কালে খাঁ নামে কালিকাপুর গ্রামের নাম হয়েছে। শিবন খাঁর পূর্বে রুপচন্দ্র দেবশর্মা নামে নামে এক ব্রাহ্মণ ও তার পুত্র মাধবচন্দ্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে শ্রীরামপুরে বাস করতেন। শহীদ কবি রফিকুল ইসলাম তার বংশধর। মানপাশার সর্দারের পূর্বপুরুষ চান ঠাকুর ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি শেবাঙ্গলের কাজীদের নিকট জব্দ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নবাবী আমলে মীর চাঁদ আলী পারস্য থেকে নলছিটি থানার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামে আগমন করেন। তিনি ও তার বংশধর পাহলান টোর্না নামে বাদশাহী লাখেরাজ ভোগ করতেন। বামনার চালিতাবুনিয়ার মীর পরিবার তার বংশধর। সুবাদার মুর্শিদ কুলী খাঁর শাসনামলে সর্দারি লাভ করে মহদি খাঁ ও কাবিল খাঁ নামে দুই ভাই নলছিটির নন্দিকাটি গ্রামে আগমন করেন। তারা আফগানিস্তানের আধিবাসী। নন্দীকাঠির সর্দার পরিবার মহদি খাঁর বংশধর। ১৮ শতকের প্রথম ভাগে শেরেবাংলা ফজলুল হকের আদিপুরুষ কাজী মোহাম্মদ মোর্তজা বাউফলের বিলবিলাস গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। শেখেরহাটের শেখ পরিবার শাহ খুদগীরের বংশধর। রাজা কন্দর্প নারায়ণের সাথে যুদ্ধে রহমত খাঁ নিহত হলে তার পুত্রগণ রহমতপুর ও বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। রহমতপুরের সাবেক স্পীকার আব্দুল ওহাব খাঁ ও দুর্গাপাশার মিয়ারা রহমত খাঁর বংশধর। লবণসারার সৈয়দ বংশ সৈয়দকাঠির সৈয়দ ফকিরের বংশধর।

বাইশারীর রায়, নথুল্লাবাদের মীর বহু বসু, চাঁদশীর বসু, বাকাইর ঘোষ, বসু, খলিসাকোঠার রায়, ফুল্লশ্রীর মজুমদার, মিশ্র, সেন, মুলাদীর ইচরির দত্ত চৌধুরী, তেরআনার খন্দকার, শিরযুগ ও শেহাঙ্গলের খাঁ, সুগন্ধিয়ার সর্দার, পিরোজপুরের সর্দার, কানকির সৈয়দ, চৌদ্দবুড়িয়ার খন্দকার, বেতাগী থানার কাউনিয়ার খাঁ, আমিরাবাদের খাঁ, শেহাঙ্গলের কাজী, সুজাবাদের সৈয়দ, হিজলার সৈয়দখালীর সৈয়দ, তেঁতুলিয়ার জমাদার ও কাজী, মেহেন্দিগঞ্জের সমসেরাবাদের কাজী, গাছুয়ার মিয়া প্রভৃতি পরিবার মোগল ও নবাবী আমলে বাকলা সমাজে সম্মানিত ও প্রতিপত্তিশালী ছিল।৪


তথ্য নির্দেশ

১. রোহিণী রায় চৌধুরী, বাকলা ২. H. Beveridge, District of Bakerganj ৩. বৃন্দাবন পুততু-, চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস ৪. খোসাল চন্দ্র রায়, বাখরগঞ্জের ইতিহাস