মুহম্মদ ফাজেল

Barisalpedia থেকে

মূল নাম ‘মুহম্মদ’, কাব্যনাম: ‘ফাযেল’। তাঁর আদি নিবাস ছিল ফরিদপুরে, পরবর্তী সময় বরিশালে বসতি স্থাপন করেন; শিক্ষা-দীক্ষা লাভ করেন ঢাকায়; মৃত্যুবরণ করেন বরিশালে চলতি শতকের প্রথম দশক থেকে তৃতীয় দশকের মধ্যে কোন এক সময়। মৃত্যু-তারিখের ন্যায় তাঁর জন্ম-তারিখও অজ্ঞাত। মুহম্মদ ফাজেল বরিশালের দারোগা ছিলেন। তাঁর পিতা মুহম্মদ ইয়ার ছিলেন বরিশালের ফৌজদারি আদালতের পেশকার।

হাকিম হাবীবুর রহমানের ভাষায়, তিনি দীর্ঘায়ু পেয়ে ইন্তেকাল করেন। সারাদেশের বিশেষত ঢাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে তাঁর প্রত্যক্ষ পরিচয় ছিল বলে মনে হয়। ১৮৫৪ সালে ঢাকার খাজা আলীমুল্লার এবং ১২৮৩/১৮৬৬ সালে ঢাকার রইস মির্যা গুলাম পীরের মৃত্যু হলে মুহম্মদ ফাযেল তাঁদের জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং ‘আব্্জাদ’ হরফের হিসাবে কবিতাকারে তাঁদের মৃত্যু-তারিখ লিপিবদ্ধ করেন।

মুহম্মদ ফাজেল ফার্সিতে কবিতা লিখতেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘দিওয়ান-এ-ফাজেল’- এ ৫৩টি গজল, ২টি কাসিদা ও ১টি মসনবি রয়েছে। দিওয়ান-এ-ফাজেলের প্রথম কবিতাটি বসন্ত ঋতুর প্রশস্তিসূচক। একটি মসনবিতে তিনি ১৮৫৯ সালের ঝড়ের করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন। তাঁর আরেকটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘কানযুস সায়াদাত’। এটি ১৮৮৫ সালে কানপুরের আহমদী মুদ্রণালয় থেকে প্রকাশিত। গ্রন্থদুটি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও কোলকাতা সাঈদি প্রেস থেকে ১৮৮৯ সালে তাঁর আরেকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল যার নাম ‘মসনবি-এ-লতিফা’।



তথ্যসূত্র: বাকেরগঞ্জ জেলার ইতিহাস (সাইফ উদ্দিন সম্পাদিত)