"মুকুন্দ দাস"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
(রাজনৈতিক গান ও নাটক রচনা)
(মৃত্যু)
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ২টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
 
== পরবর্তী জীবন ==
 
== পরবর্তী জীবন ==
  
মুকুন্দদাস কারাবসে থাকাকালীন তাঁর স্ত্রী সুভাষিণী দেবীর মৃত্যু ঘটে। মুক্তিলাভের পর চিত্তরঞ্জন দাশ ও সুভাষচন্দ্র বসু তাঁকে সান্ত্বনা দেন ও উদ্বুদ্ধ করেন যার ফলে তিনি পুনরায় রচনায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দের ১৮ই মে শুক্রবার মুকুন্দদাস মৃত্যু বরণ করেন।
+
মুকুন্দদাস কারাবসে থাকাকালীন তাঁর স্ত্রী সুভাষিণী দেবীর মৃত্যু ঘটে। মুক্তিলাভের পর চিত্তরঞ্জন দাশ ও সুভাষচন্দ্র বসু তাঁকে সান্ত্বনা দেন ও উদ্বুদ্ধ করেন যার ফলে তিনি পুনরায় রচনায় মনোনিবেশ করেন।তিনি কাশীপুরে কালীমন্দিরটি নির্মাণ করেন। ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দের ১৮ই মে শুক্রবার মুকুন্দদাস মৃত্যু বরণ করেন।তাঁর ছবি আজো ঢাকা আহসান মঞ্জিলে রক্ষিত আছে।
  
 
== রচনা ==
 
== রচনা ==
২০ নং লাইন: ২০ নং লাইন:
  
 
== মৃত্যু ==
 
== মৃত্যু ==
মে ১৮, ১৯৩৪
+
মে ১৮, ১৯৩৪ তারিখে কোলকাতায়।
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
 
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

১২:২০, ১৭ জুন ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

মুকুন্দ দাস (ফেব্রুয়ারি ২২, ১৮৮৭ - মে ১৮, ১৯৩৪) বাঙালি কবি যাকে চারণ কবি বলেও অভিহিত করা হয়। মুকুন্দ দাস স্বদেশী ও অসহযোগ আন্দোলনের সময় বহু স্বদেশী বিপ্লবাত্মক গান ও নাটক রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন স্বদেশী যাত্রার প্রবর্তক।

মুকুন্দ দাস.jpg

জন্ম ও শৈশব

ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণার বানরী গ্রামে ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দের ২২শে ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার গুরুদয়াল দের ঔরসে শ্যামাসুন্দরী দেবীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার দেওয়া নাম ছিল যজ্ঞেশ্বর দে এবং ডাক নাম ছিল যজ্ঞা। তাঁর জন্মের পরে ঐ গ্রাম পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেলে তাঁরা সপরিবারে গুরুদয়ালের চাকরিস্থল বরিশাল শহরে চলে আসেন। বরিশালের ব্রজমোহন স্কুলে তার শিক্ষা শুরু হয়। ১৯ বছর বয়সে বীরেশ্বর গ্রামে এক বৈষ্ণবের কন্ঠে গান শুনে কীর্তনের দলে যোগ দেন। পরে একটি কীর্তনের দল গঠন করেন। ১৯০২ সাল রামানন্দ গোসাঁইজী বা হরিবোলানন্দ নামে এক ত্যাগী সাধুর কাছে দীক্ষা গ্রহণ এবং বরিশালের অশ্বিনীকুমার দত্তের কাছে স্বদেশী মন্ত্রে দীক্ষা গ্রহণ করেন। অতঃপর চারণ কবি রূপে আত্মপ্রকাশ। দেশাত্ববোধক সঙ্গীত ও নাটক রচয়িতা। ‘স্বদেশী যাত্রা’ নামে একটি অভিনব যাত্রার উদ্ভাবক, প্রবর্তক, প্রচারক ও অভিনেতা ছিলেন। বরিশালে বৈষ্ণব সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূত যজ্ঞেশ্বরের গলায় হরিসংকীর্তন ও শ্যামাসঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে দীক্ষা দিয়ে তাঁর নাম রাখেন মুকুন্দদাস। উনিশ বছরের বয়সের মধ্যে মুকুন্দদাস সাধন-সঙ্গীত নামে একশখানি গান সমৃদ্ধ একখানি বই রচনা করেন।

রাজনৈতিক গান ও নাটক রচনা

বরিশালের অশ্বিনীকুমার দত্তের সংস্পর্শে মুকুন্দদাস রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। বিদেশী পণ্য বর্জন আন্দোলনে (১৯০৫-১৯১১) বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেন। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করার আন্দোলনের সময় মুকুন্দদাস একের পর এক গান, কবিতা ও নাটক রচনা করে বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে নূতন উদ্দীপনার সঞ্চার করেন। গ্রামে গ্রামে দেশাত্মবোধক গান ও স্বদেশী যাত্রাভিনয়ের জন্য ইংরেজ সরকারের কোপানলে পড়েন। ১৯০৮-এ গ্রেফতার ও জামিনে মুক্তি লাভ করেন। অশ্বিনী কুমারের আগ্রহে মুকুন্দদাস ‘মাতৃপূজা’ নামে একটি নাটক রচনা করেন। দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীতে নবগ্রামে এই নাটকের প্রথম প্রকাশ্য যাত্রাভিনয় হয়। ‘মাতৃপূজা’ সংকলনে ইংরেজ বিদ্বেশী গান প্রকাশিত হওয়ায় তিন বছর কারাদন্ড ও জরিমানা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে পৈতৃক দোকান বিক্রি করেন। মাতৃপূজা নাটকটি সরকার বাজেয়াপ্ত করে। করাবাসের সময়ে স্ত্রী সুভাষিণী দেবীর মৃত্যু হয়। ‘বরিশাল হিতৈষী’পত্রিকায় মুকুন্দ দাস লিখতেন। যাত্রাগানে সারা বরিশাল মাতিয়ে রাখতেন। কাজী নরুল ইসলাম এবং রবন্দ্রিনাথ ঠাকুর কর্তৃক যখাক্রমে ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে’ ও ‘চারণ সম্রাট মুকুন্দ’ উপাধিতে ও ‘সম্মান’ আখ্যায় ভূষিত হন। অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০-১৯২২) ও আইন অমান্য আন্দোলন (১৯৩০) কালে যাত্রাপালা গেয়ে জনসাধারণের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করেন।

পরবর্তী জীবন

মুকুন্দদাস কারাবসে থাকাকালীন তাঁর স্ত্রী সুভাষিণী দেবীর মৃত্যু ঘটে। মুক্তিলাভের পর চিত্তরঞ্জন দাশ ও সুভাষচন্দ্র বসু তাঁকে সান্ত্বনা দেন ও উদ্বুদ্ধ করেন যার ফলে তিনি পুনরায় রচনায় মনোনিবেশ করেন।তিনি কাশীপুরে কালীমন্দিরটি নির্মাণ করেন। ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দের ১৮ই মে শুক্রবার মুকুন্দদাস মৃত্যু বরণ করেন।তাঁর ছবি আজো ঢাকা আহসান মঞ্জিলে রক্ষিত আছে।

রচনা

মুকুন্দদাসের রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাতৃপূজা, সমাজ, আদর্শ, পল্লীসেবা, সাথী, কর্মক্ষেত্র, ব্রহ্মচারিণী, পথ ইত্যাদি।

মৃত্যু

মে ১৮, ১৯৩৪ তারিখে কোলকাতায়।


তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া