মাহমুদিয়া মাদ্রাসা, বরিশাল

Barisalpedia থেকে

বরিশাল বিভাগের কওমী মাদ্রাসাসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ নাম মাহমুদিয়া মাদ্রাসা, বরিশাল। এর প্রকৃত নাম ‘জামিয়া ইসলামিয়া মাহমূদিয়া, বরিশাল’। তবে লোকমুখে ইহা মাহমুদিয়া মাদ্রাসা বা বরিশাল বেলতলা মাদ্রাসা হিসেবেই অধিক পরিচিত। এর অবস্থান বেলতলা, আমানতগঞ্জ, বরিশাল। প্রতিষ্ঠা সন ১৯৪৭।

প্রতিষ্ঠার আদি পর্ব

১৯৪৭ইং সনে ভারত পাকিস্তান বিভক্তির উত্তেজনার বছর বরিশাল জেলার ৪ জন কৃতী সন্তান বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ, হিন্দুস্তান হতে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। তাঁরা হচ্ছেন, হযরত মাওঃ হাজী নেছার উদ্দীন, হযরত মাওঃ আব্দুল মান্নান, হযরত মাওঃ আঃ কাদের ও হযরত মাওঃ নূর আহমেদ। এই চারজন একত্রে বসে দেওবন্দের মাদানী মসজিদে পরামর্শ করলেন যে, বাংলাদেশে ফেরার পর বরিশাল শহরে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুকরণে একটি খালেছ দ্বীনি মাদ্রাসা কায়েম না করে কেউ বাড়ী যাবেন না। তাদের এ পরামর্শে হযরত মাওঃ ইসহাক সাহেবও ছিলেন তখন তিনি জামাতে উলা পড়তেন। এ পরামর্শ ও সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা তাঁদের শায়খ ও মুর্শিদ আওলাদে রাসূল শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানী (রহঃ) এর নিকট ব্যক্ত করলে হযরত শায়খ মাদানী অত্যন্ত খুশী ও আনন্দিত হলেন।

অতঃপর হযরত মাওঃ আব্দুল কাদের সাহেব অন্য তিন সাথীর দেশে পৌঁছার এক বছর আগে দেশে চলে আসেন। শায়খুল ইসলাম মাদানী (রহঃ) একদিন জোহরের নামাজের পরে দেওবন্দের মসজিদে অবশিষ্ট তিন মুরুব্বীকে সকল ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে দাঁড় করালেন এবং বললেন যে, নেছারুদ্দীন, আব্দুল মান্নান ও নূর আহমদ এই তিনজন দেশে গিয়ে দারুল উলুম দেদওবন্দের অনুকরণে একটি মাদরাসা গড়ার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তোমারা সবাই আল্লহর দরবারে দোয়া কর আল্লাহ তায়ালা যেন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাওফীক দান করেন। ইতিমধ্যে হযরত মাওঃ হাজী নেছার উদ্দিন ও মাওঃ নূর আহমাদ সাহেব দেশে পৌছে মাওঃ আঃ কাদের সাহেবকে সাথে নিয়ে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী হাজী ওমর শাহ (বটতলা) জামে মসজিদের তৎকালীন ইমাম মৌলভী নাজমুল হকের সাথে পরামর্শ করে প্রাথমিক পর্যায়ে মাদ্রাসার তালিমী কাজ বটতলা মসজিদেই শুরু করেন। হযরত মাওঃ আব্দুল মান্নান সাহেব আরও ছয় মাস শায়খ মাদানীর খেদমতে থাকার পর দেশে ফিরে সাথীদের সাথে মাদ্রাসা গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হন। মাওঃ হাজী নেছার উদ্দিন ও তার সাথীরা বরিশাল পশু হাসাতাল রোডে বসবাসকারী আওলাদে রাসূল (সাঃ) সাইয়্যেদ মাহমুদ মোস্তফা আল মাদানীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের দেওবন্দে বসে গৃহীত পরিকল্পনার কথা জানান এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওমর হাজীর (বটতলা) মসজিদে তালীমী কাজ শুরু করার বিষয়টিও তাঁর কাছে তুলে ধরেন।

তিনি একথা শুনে আল্লাহ্র দরবারের শুকরিয়া আদায় করে সার্বিক সহযোগিতার ওয়াদা করেন। নতুন মাদ্রাসা সূচনাকারী এই ব্যক্তিগণ আরো সমর্থন ও সহযোগিতা লাভ করেন বরিশালের বিশিষ্ট বুযুর্গ চক বাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব হযরত মাওঃ মোহাম্মাদ ইয়াছীন বেগ (রহঃ) সাহেবের থেকে।

১৯৪৭ সনের ১৩ই ডিসেম্বর স্থানীয় চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে বৃহত্তর বরিশাল জেলার সমস্ত পীর সাহেবান, দেওবন্দ থেকে পড়ে আসা আলেমগণ, বরিশাল শহরের মসজিদের ইমামগণ এবং ইসলাম দরদী কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি উদ্দিষ্ট মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরামর্শ সভা আহবান করেন। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন আওলাদে রসূল হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ মাহমূদ মোস্তফা আল- মাদানী সাহেব। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোহম্মাদ ইয়াছীন সাহেব; মাওলানা মাহাতাব উদ্দিন, পীরসাাহেব গালুয়া; মাওলানা মাকছুদুল্লাহ, পীরসাহেব তালগাছিয়া; মাওলানা সিরাজুদ্দিন আনোয়ারী, হরিণপালা; মাওলানা নূরুল হুদা মাহ্মূদী, মুশুরিয়া; নওয়াবজাদা সৈয়দ ফজলে রব্বি চৌধুরী (শায়েস্তাবাদ); আলহাজ্জ অবদুল ওহাব খান, স্পীকার, পাকিস্তান কেন্দ্রীয়; খান বাহাদুর লতিফ চৌধুরী; জনাব আশরাফ আলী সর্দার, উকিল; জনাব আজাহারুদ্দিন আহমদ, কানুনগো; জনাব হাবিবুল্লাহ মিয়া, ওভারশিয়ার, আমানতগঞ্জ; জনাব আফসারুদ্দিন তালুকদার, বাংলা বাজার; প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

সভায় অবিলম্বে বরিশাল শহরে দারুল উলুম দেওবন্দের অনুকরণে একটি খালেছ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়েম করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং উহার নাম রাখা হয়- মাহ্মূদিয়া মাদ্রাসা। এ নাম করণের কয়েকটি কারণ ছিল: (১) রসূলুল্লাহ (ছঃ) এর এক নাম ছিল মাহমূদ; তাই তাঁর দিকে নিসবত করে বরকত হাসিল করা। (২) দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রথম উস্তাদ হযরত মাওলানা মোল্লা মাহ্মূদ এবং প্রথম শাগরেদ শায়খুল হিন্দ হযরত মাওলানা মাহমূদুল হাসান দেওবন্দী (রহঃ) এর রূহানী ফয়েজ হাসিল করা। (৩) হযরত মাওলানা সাইয়েদ মাহ্মূদ মোস্তফা আল মাদানীর আন্তরিক দোয়া লাভ করা।

উক্ত সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, মাদ্রাসার জন্য কোন স্থায়ী স্থান না পাওয়া পর্যন্ত বটতলা বাজার হাজী ওমর সাহেবের জামে মসজিদে অস্থায়ীভাবে মাদ্রাসার ছাত্র ভর্তি করে তালীম শুরু হবে এবং স্থায়ী জায়গা তালাশ করা হবে। মাদানী সাহেবের বাসায় জনাব মাওলানা হাজী নেছারুদ্দিন সাহেব এবং হাবিবুল্লাহ মিয়ার বাসায় জনাব মাওলানা আঃ কাদের সাহেব জায়গির থাকবেন। আলহাজ্ব আজহারুদ্দিন কানুনগো সাহেবের বাসায় হুজুরদের থাকার জন্য একটি ঘর খালি করে দিবেন। সভায় উপস্থিত অন্যান্যরা বিভিন্ন হারে চাঁদা দানের ওয়াদা করেন। মাহ্মূদিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হিসাবে সর্ব প্রথম ভর্তি হন আওলাদে রসূল হযরত মাওলানা সাইয়েদ মাহমূদ মোস্তফা আল মাদানী সাহেবের প্রথম পুত্র সাইয়েদ মাসউদ মাদানী। কিছুদিনের মধ্যে আরো বহু ছাত্র ভর্তি হলো। বটতলা জামে মসজিদে তালীম চলতে লাগলো। হুজুরদের কোন বেতন ভাতা ছিলনা। তাঁরা বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও চাউল ডাইল এনে নিজ হাতে পাক করে খেতেন।

মাদ্রাসার নিজস্ব ভূমি ও ভবন

একদিন হযরত মাদানী সাহেব ও হযরত মাওলানা ইয়াছিন সাহেবসহ মাদ্রাসার শিক্ষকগণ সরেজমিনে মাদ্রাসার স্থান সন্ধনের জন্য বের হলেন। তাঁরা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থান রিক্সযোগে পরিদর্শন করে আমানতগঞ্জে মাদ্রাসার বর্তমান স্থানে অবতরণ করলেন। স্থানটিতে তখন প্রায় ৫০ বিঘা উঁচু জমি, মাঝে মাঝে ১০টি পুকুর। একটি বড় সাইন বোর্ডে লেখাছিল “বিজয় নগর”। সেখানে হিন্দুদের জন্য সংরক্ষিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পাক-ভারত দেশ বিভাগ হওয়ায় হিন্দুরা এলাকা ছেড়ে শহরে অথবা ভারতে চলে যাওয়ায় উক্ত পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গিয়েছিল এবং জমিটি বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা খোঁজা হচ্ছিল। আল্লাহ্তায়ালার মেহেরবাণীতে কিছুদিনের মধ্যেই প্রথমে ৩৪ শতাংশ জমি পুকুরসহ ১০০০/- টাকায় হিন্দু মালিকের নিকট হতে ক্রয় করা হলো। আলেকান্দার হাজী আফসারুদ্দিন তালুকদার জমি ক্রয়ের জন্য সর্বপ্রথম ৫০০/- টাকা দান করেন। ১৫ শত টাকা হাজী আদম আলী সাহেব ঝণ হিসেবে দান করেন। বাংলাদেশ টোব্যাকো লিমিটেড বরিশালের এজেন্ট জে, আহমেদ এর পিতা জনাব আফসারউদ্দিন তালুকদার সাহেব মাদ্রাসার প্রথম জমি ক্রয়ের জন্য এককালীন ৫০০/- টাকা দান করেন। তবে টাকা দান করার সময তিনি সন্দিহান ছিলেন যে, হয়তঃ তার টাকা গুলি বৃথা যাবে। তাই তিনি টাকা দেয়ার সময় পূর্বে শর্ত আরোপ করলেন যে, মাদ্রাসা না করে চলে গেলে তার টাকা ফেরত দিয়ে যেতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে মাদ্রাসার মালিকানায় ৫টি পুকুরসহ ২৫ বিঘা জমি খরিদ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আলহাজ্ব হযরত মাওলানা নেছারুদ্দিন সাহেব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

মাদরাসা কম্পাউন্ডে হিন্দুদের পরিত্যক্ত সামনের দোতলা টিনশেড ঘরটিতে জনাব মাওলানা আঃ কাদের সাহেব, সামনের অন্য দোতলা ঘরটিতে জনাব ছদর সাহেব হুজুর এবং পিছনের দোতলা টিনের ঘরে জনাব মাওলানা হাজী নেছারুদ্দিন সাহেব সপরিবারে বসবাস করতেন। তারা বাড়ী হতে টাকা - পয়সা, চাউল - ডাইল এনে আহার করতেন এবং বিনা বেতনে কাজ করতেন।

মাদ্রাসার পদ ও দায়িত্ব বন্টন

এভাবে বৎসরাধিককাল অতিবাহিত হওয়ার পর ১৪-০২-১৯৪৯ তারিখে ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে প্রথম পদ বন্টন করা হয়। জনাব মাওলানা আঃ কাদের সাহেব মোহতামিম, জনাব মাওলানা হাজী নেছারুদ্দিন সাহেব নায়েবে মোহতামিম, জনাব মাওলানা আবদুল মান্নান সাহেব ছদরুল মোদার্রেছীন ও নাজেমে তা’লীমাত, জনাব মাওলানা নূর আহমদ সাহেব নায়েবে নাজেম মনেনীত হন। এর পর থেকেই জনাব মাওলানা আবদুল মান্নান সাহেব ছদর সাহেব হুজুর নামে প্রসিদ্ধ হন।

১৯৫১ সনে বরিশালে বসন্ত মহামারীতে বহুলোক মারা যায়। মাদ্রাসার নায়েবে নাজেম জনাব মাওলানা নূর আহমদ সাহেব (পটুয়াখালী) বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে তাকে দাফন করা হয়। তার শূন্যস্থলে জনাব মাওলানা হাফেজ আবদুল রহমান ছাহেবকে মুদার্রিছ ও বোর্ডিং সুপার নিয়োগ হন। ১৯৫৩ সনে মাওলানা মোঃ এছহাক ছাহেব মাদরাসার শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ হন। মাদরাসার সাবেক নাজেমে তা’লীমাত ও বর্তমানে মোহাদ্দেছ হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি ছদর ছাহেব হুজুরের ভাগ্নি জামাতা।


দাওরায়ে হাদীসের সূচনা

১৯৫৮ ইং সনে মাহ্মূদিয়া মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদীস শুরু হয়। হযরত সদর সাহেব হুজুর তখন থেকেই বোখারী শরীফ ২য় জিলদ দরস দিতেন। জামিয়া মাহ্মূদিয়া কায়েমের সাত বছরের মাথায় মাওঃ আব্দুল কাদের সাহেবের চলে যাওয়ার পর ১৯৫৪ ইং সনে সাবেক নায়েবে মোহ্তামিম মাওঃ নেছার উদ্দীন হাজী সাহেব হুজুরকে সর্বসম্মতিক্রমে মোহ্তামিম হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি মৃত্যু পযর্ন্ত এ গুরু দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। হযরত মাওঃ আব্দুল মান্নান ছদর ছাহেব হুজুর তো প্রথম থেকেই নাজেমে তা’লিমাত ও ছদরুল মুদারেছীনের গুরু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। ১৯৫৮ইং সনে দাওরায়ে হাদীস চালু করার সূচনা থেকে শায়খুল হাদীসের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন। এই দুই মুরুব্বীই তাদের মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত একই মায়ের সন্তানের মত এখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করে মাদ্রাসার উন্নতির জন্য কাজ করেন।

মাদ্রাসার শিক্ষার বিষয়াদি

বর্তমানে জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া বরিশালের প্রতিষ্ঠানিক পদ্ধতি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে নি¤েœাক্তশাস্ত্র সমূহের শিক্ষা প্রদান করা হয়।

১. কুরআন মাজীদ, হাদীস শরীফ, উসূলে হাদসি, তাফসীর,উসূলে তাফসীর, ফিকহ্, (ইসলামী আইন) উসূলে ফিকহ্, ইসলামী দর্শন, ইসলামী নীতি শাস্ত্র, ইতিহাস, সীরাত, তর্কশাস্ত্র, ইসলামী অর্থনীতি, তাজবীদ ইত্যাদি। ২. আরবী সাহিত্য, আরবী ব্যাকরণ, অলংকার শাস্ত্র, বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকারণ, প্রয়োজনীয় অংক, ইংরেজী, ইতিহাস ও ভূগোল ইত্যাদি।

৩. তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ও মতবাদের অধ্যয়ন।


মাদ্রাসার বর্তমান বিভাগসমূহ

বর্তমান জামিয়ার কর্মতৎপরতা সর্বমোট ৮টি বিভাগ বা দপ্তর নিয়ে পরিচালিত: ১। আবাসিক ও অনাবাসিক নূরানী এবং নাদিয়া বিভাগ

২। তাহফীজুল কুরআন বিভাগ

৩। কিতাব বিভাগ

জামিয়ার প্রধান ও বৃহত্তম বিভাগ এটি। এতে বর্তমানে ৬টি স্তর রয়েছে ঃ-

ক) ইবতেদায়ী প্রাইমারী স্তর।

খ) মুতাওয়াসইসতাহ্ মাধ্যমিক স্তর।

গ) ছানুবী উচ্চ মাধ্যমিক স্তর।

ঘ) ফযীলত বা স্নাতক স্তর।

ঙ) তাকলীম বা দাওরায়ে হাদীস বা স্নাতকোত্তর স্তর।

চ) ফতোয়া বিভাগ।

৪। ফাতাওয়া ও ফারায়েয বিভাগ

৫। প্রকাশনা

৬। কুতুব খানা

৭। লিল্লাহ বোর্ডিং

৮। আবাসিক ছাত্রাবাস

এই সকল বিভাগ বা দপ্তর নিয়ে জামিয়া মাহমুদিয়া বরিশাল বিভাগে বিশুদ্ধ দ্বীন চর্চায় ও শিক্ষায় নিরত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।


তথ্যউৎস: মাহমুদিয়া স্মারক, ২০০৪