মাখন রাজা

Barisalpedia থেকে

মাখন রাজার মূল নাম সতীন্দ্র নারায়ণ। মাধবপাশার জমিদারি মূলত নৃসিংহ নারায়নের হাতে শেষ হলেও লোকেরা সাধারণত মাখন রাজাকে এ বংশের শেষ রাজা হিসেবে জানে।


পরিচয়

তিনি উপেন্দ্র নারায়ণের পুত্র। উপেন্দ্র নারায়ণের পিতার নাম দেবেন্দ্র নারায়ণ। দেবেন্দ্র নারায়ণের পিতা নৃসিংহ নারায়ণ ছিলেন মূলত মাধবপাশার শেষ রাজা। মাখন রাজা বিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। মাখন রাজা দারিদ্র্যের মধ্যে রাজবাড়িতে ছিলেন। রাজবাড়ির অন্য সদস্যরা কলকাতায় চলে গেছেন। রাজবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ১৯৫৩ খৃৃস্টাব্দেও রাজবাড়িতে অনেক দালান ছিল। মাখন রাজাও ছিলেন। মাখন রাজা একটি দালানে বাস করতেন। এ দালানটি বিশ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত।


চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশের বংশধরেরা

নৃসিংহ নারায়ণের সাথে রাজপরিবার শেষ হলেও বংশ লোপ পায়নি। রাজা রামচন্দ্রের ভ্রাতা রাঘবেন্দ্রের বংশধর পশ্চিমবঙ্গের টাকী ও অপর ভ্রাতা রামেশ্বরের বংশধর জালালপুরে আছে। রামচেেন্দ্রর পুত্র কীর্তিনারায়ণ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ঝালকাঠির কেওড়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। কেওড়ার বাকলাই পরিবার তার বংশধর। উদয় নারায়ণের ভ্রাতা রাজনারায়ণ প্রতাপপুরে বাস করতেন। এ বংশের ব্রজসুন্দর মিত্র চন্দ্রদ্বীপের রাজবংশের ইতিহাস লিখেছেন।


উপসংহার

১৯৫০ খৃৃস্টাব্দে দাঙ্গার পর এ বংশের সদস্যরা কলকাতায় চলে যায়।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।