মহিউদ্দিন আহমেদ

Barisalpedia থেকে

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের প্রাক্তন উপনেতা বা ডেপুটি লিডার। পিতা: আজহার উদ্দীন আহমদ। জন্ম: ১৫ জানুয়ারী ১৯২৫ সাল। মৃত্যু: ১২ এপ্রিল ১৯৯৭ সাল। গ্রাম: গুলিশাখালী, থানা: মঠবাড়িয়া, জেলা: পিরোজপুর।

মহিউদ্দীন আহমেদ ১৯৩৭ সাল থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী সব আন্দোলন, মুসলিম ছাত্রলীগ তথা মুসলিম লীগের পাকিস্তান অর্জনের আন্দোলন, পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলের ভাষা আন্দোলন, পাঞ্জাবী শাসকগোষ্ঠী ও তাদের এ দেশীয় দোসরচক্রের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে পঞ্চাশের দশকের সব আন্দোলন, আইয়ুব-মোনেমের শাসন বিরোধী ষাটের দশকের সব আন্দোলন, তথা উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান এবং স্বায়ত্বশাসন-স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রাম ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একজন শক্তিশালী সংগঠক হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ আমলে আগাগোড়া রাজনীতিতে প্রগতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ১৪ বছর কারাগারে কাটাতে হয়। তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের নদীয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও অন্যতম প্রধান সংগঠক, মুসলিম লীগের বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, কৃষক ফেডারেশনের মহাসচিব, গণতন্ত্রী দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, অবিভক্ত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ওয়ালী) কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ)-এর অন্যতম নেতা ও সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের পরে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি হন। আশির দশকে তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম-এর একজন সিনিয়র সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মঠবাড়িয়া হতে এম. এল. এ. এবং ১৯৭৩, ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ডেপুটি লিডার ছিলেন। ১২ এপ্রিল ১৯৯৭ তারিখে এই বর্ষীয়সী নেতা মৃত্যু বরণ করেন।



তথ্যসূত্র: রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ইউনিভার্সিটি বুক পাবলিশার্স, ঢাকা। ২০০৬।