"মনীন্দ্রকুমার ঘোষ"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("বিদ্যোৎসাহী ও সহশিক্ষা প্রচলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বি..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
বিদ্যোৎসাহী ও সহশিক্ষা প্রচলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বিখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষের পিতা। জন্মতারিখ অজ্ঞাত। মৃত্যু: ১৬ আগস্ট ১৯৮৯। গ্রাম: বানারীপাড়া সদর, থানা: বানারীপাড়া,  জেলা: বরিশাল।  
 
বিদ্যোৎসাহী ও সহশিক্ষা প্রচলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বিখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষের পিতা। জন্মতারিখ অজ্ঞাত। মৃত্যু: ১৬ আগস্ট ১৯৮৯। গ্রাম: বানারীপাড়া সদর, থানা: বানারীপাড়া,  জেলা: বরিশাল।  
  
কলকাতার গুপ্ত লেনে কামিনী কুমার ঘোষ প্রতিষ্ঠিত আদর্শ বিদ্যালয়ে ১৯২৬ সালে মনীন্দ্র কুমার ঘোষ-এর কর্মজীবন শুরু হয়। একমাসের মধ্যে তিনি মহেশতলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। সেখান থেকে প্রধান শিক্ষক রূপেই মাতৃভূমি বরিশালের গৌরনদী থানার চন্দ্রহার গ্রামের কৈলাশ চন্দ্র রমেশ চন্দ্র বিদ্যালয়ে চলে আসেন। ত্রিশের দশকে প্রচলিত রীতি লঙ্ঘন করে তিনি এই স্কুলে সহশিক্ষা প্রচলন করেন। ১৯১৯-৩০-এর সহ শিক্ষা নিয়ে টিচার্স জার্নালে বহু প্রবন্ধ লেখা হয়। এ সম্পর্কে তার মত ছিল ঈড়-বফঁপধঃরড়হ রং নবঃঃবৎ ঃযধহ হড়-বফঁপধঃরড়হ. শিক্ষানুসারে এবং ব্যাকরণ চর্চায় তিনি আচার্য সূনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং কালিদাস রায়ের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। চন্দ্রহার থেকে তিনি পাবনা জেলার পাকশিতে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠে চলে যান। ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যান এবং খড়গপুরের ইন্দা হাই স্কুলে যোগ দেন। পরে কলকাতার বেনু পুকুর বিদ্যাপীঠ থেকে ১৯৬৩-তে অবসর নেন। সমগ্র জীবনে বিদ্যাচর্চা এবং বিদ্যার প্রসারে কোন বিরুদ্ধতার কাছে তিনি নত হননি। আবেদনপত্র পূরণ করার শর্ত থাকায় ভারত সরকারের কৃতী শিক্ষকের সম্মানপত্র তিনি গ্রহণ করেননি। ১৯৭৩-এ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাঁকে বিশিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সম্মান দেয়। একাধিক ব্যাকরণ গ্রন্থ এবং বাংলা শব্দ ও ধ্বনি নিয়ে তিনি বহু প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে ‘সাময়িকী’, ‘বাংলা বানান’ প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর পুত্র। ১৯৮৯ সালের ১৬ আগষ্ট তার মৃত্যু হয়।
+
কলকাতার গুপ্ত লেনে কামিনী কুমার ঘোষ প্রতিষ্ঠিত আদর্শ বিদ্যালয়ে ১৯২৬ সালে মনীন্দ্র কুমার ঘোষ-এর কর্মজীবন শুরু হয়। একমাসের মধ্যে তিনি মহেশতলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। সেখান থেকে প্রধান শিক্ষক রূপেই মাতৃভূমি বরিশালের গৌরনদী থানার চন্দ্রহার গ্রামের কৈলাশ চন্দ্র রমেশ চন্দ্র বিদ্যালয়ে চলে আসেন। ত্রিশের দশকে প্রচলিত রীতি লঙ্ঘন করে তিনি এই স্কুলে সহশিক্ষা প্রচলন করেন। ১৯১৯-৩০-এর সহ শিক্ষা নিয়ে টিচার্স জার্নালে বহু প্রবন্ধ লেখা হয়। এ সম্পর্কে তার মত ছিল Co-education is better than no-education. শিক্ষানুসারে এবং ব্যাকরণ চর্চায় তিনি আচার্য সূনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং কালিদাস রায়ের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। চন্দ্রহার থেকে তিনি পাবনা জেলার পাকশিতে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠে চলে যান। ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যান এবং খড়গপুরের ইন্দা হাই স্কুলে যোগ দেন। পরে কলকাতার বেনু পুকুর বিদ্যাপীঠ থেকে ১৯৬৩-তে অবসর নেন। সমগ্র জীবনে বিদ্যাচর্চা এবং বিদ্যার প্রসারে কোন বিরুদ্ধতার কাছে তিনি নত হননি। আবেদনপত্র পূরণ করার শর্ত থাকায় ভারত সরকারের কৃতী শিক্ষকের সম্মানপত্র তিনি গ্রহণ করেননি। ১৯৭৩-এ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাঁকে বিশিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সম্মান দেয়। একাধিক ব্যাকরণ গ্রন্থ এবং বাংলা শব্দ ও ধ্বনি নিয়ে তিনি বহু প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে ‘সাময়িকী’, ‘বাংলা বানান’ প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর পুত্র। ১৯৮৯ সালের ১৬ আগষ্ট তার মৃত্যু হয়।
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ইউনিভার্সিটি বুক পাবলিশার্স, ঢাকা। ২০০৬।
 
তথ্যসূত্র: রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ইউনিভার্সিটি বুক পাবলিশার্স, ঢাকা। ২০০৬।

১২:২২, ১৮ জুন ২০১৬ তারিখের সংস্করণ

বিদ্যোৎসাহী ও সহশিক্ষা প্রচলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বিখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষের পিতা। জন্মতারিখ অজ্ঞাত। মৃত্যু: ১৬ আগস্ট ১৯৮৯। গ্রাম: বানারীপাড়া সদর, থানা: বানারীপাড়া, জেলা: বরিশাল।

কলকাতার গুপ্ত লেনে কামিনী কুমার ঘোষ প্রতিষ্ঠিত আদর্শ বিদ্যালয়ে ১৯২৬ সালে মনীন্দ্র কুমার ঘোষ-এর কর্মজীবন শুরু হয়। একমাসের মধ্যে তিনি মহেশতলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। সেখান থেকে প্রধান শিক্ষক রূপেই মাতৃভূমি বরিশালের গৌরনদী থানার চন্দ্রহার গ্রামের কৈলাশ চন্দ্র রমেশ চন্দ্র বিদ্যালয়ে চলে আসেন। ত্রিশের দশকে প্রচলিত রীতি লঙ্ঘন করে তিনি এই স্কুলে সহশিক্ষা প্রচলন করেন। ১৯১৯-৩০-এর সহ শিক্ষা নিয়ে টিচার্স জার্নালে বহু প্রবন্ধ লেখা হয়। এ সম্পর্কে তার মত ছিল Co-education is better than no-education. শিক্ষানুসারে এবং ব্যাকরণ চর্চায় তিনি আচার্য সূনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং কালিদাস রায়ের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। চন্দ্রহার থেকে তিনি পাবনা জেলার পাকশিতে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠে চলে যান। ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যান এবং খড়গপুরের ইন্দা হাই স্কুলে যোগ দেন। পরে কলকাতার বেনু পুকুর বিদ্যাপীঠ থেকে ১৯৬৩-তে অবসর নেন। সমগ্র জীবনে বিদ্যাচর্চা এবং বিদ্যার প্রসারে কোন বিরুদ্ধতার কাছে তিনি নত হননি। আবেদনপত্র পূরণ করার শর্ত থাকায় ভারত সরকারের কৃতী শিক্ষকের সম্মানপত্র তিনি গ্রহণ করেননি। ১৯৭৩-এ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাঁকে বিশিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সম্মান দেয়। একাধিক ব্যাকরণ গ্রন্থ এবং বাংলা শব্দ ও ধ্বনি নিয়ে তিনি বহু প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে ‘সাময়িকী’, ‘বাংলা বানান’ প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর পুত্র। ১৯৮৯ সালের ১৬ আগষ্ট তার মৃত্যু হয়।


তথ্যসূত্র: রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ইউনিভার্সিটি বুক পাবলিশার্স, ঢাকা। ২০০৬।