মঠবাড়িয়া কুঠিবাড়ি, পিরোজপুর

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:০১, ২২ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত সংস্করণে ("বিশদ পরিচয় পাওয়া না গেলেও মঠবাড়িয়া অঞ্চলে সাপলেজা গ..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

বিশদ পরিচয় পাওয়া না গেলেও মঠবাড়িয়া অঞ্চলে সাপলেজা গ্রামে এই কুঠিবাড়ি অবস্থিত। এওয়ার্ড পেরি কাসপার এই কুঠির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। নীলকরদের অত্যাচারে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল জর্জরিত হলেও বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চল তার বাইরে ছিলো বলে সাধারণভাবে মনে করা হয়। কিন্তু সুন্দরবন সংলগ্ন এই স্থাপনাটি এই অঞ্চলে যে ইংরেজ আমলে নীলচাষ করা হতো তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়, বরিশালের ঠাকুর ষ্টেটের পশ্চিম পার্শ্বের বর্তমানে লুপ্ত হওয়া বাড়িটি নীলকর মনরোর বাসস্থান বলে কোনো কোনো স্থানীয় ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে উল্লেখিত নীলকর বরিশালের কোন স্থানে নীলচাষ শুরু করেছিলো তার কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া তদানীন্তন কালের বারৈকরন অর্থাৎ বর্তমানের নলছিটি অঞ্চলে আরো একজন নীলকরের নাম জানা যায়। কলভিন নামের এই নীলকর সম্ভবত বন্দোবস্ত নেওয়া কোনো জমিতেই সেই অভিশপ্ত নীলের চাষ করেছিলো বলে অনুমান করা অযৌক্তিক নয়। সুন্দরবন সংলগ্ন সাপলেজা কুঠিবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা এওয়ার্ড পেরি কাসপার এই প্রকার পত্তনি গ্রহণ করা একজন কুঠিয়াল বা জমিদার। কুঠিয়াল কাসপার এখানে কখোনও বসবাস না করে, তার অতি বিশ্বস্ত কর্মচারি সুরেশ চন্দ্র সুর এবং সতীশ চন্দ্রের মাধ্যমে জমিদারি পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। ফসল তোলা শেষ হলে জমিদার কাসপার নির্দিষ্ট দিনে খাজনা সংগ্রহ করে চলে যেত। কুঠিয়াল কাসপার এই অঞ্চলে প্রায় বিস্মৃত হলেও তার পিতার নাম বহন করা সাপলেজা পোষ্ট অফিসটি আজো শিলারগঞ্জ পোস্ট অফিস নামে পরিচিতি ধারণ করে আছে।


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।