বেভারিজ, এইচ

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৩:২৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংস্করণে

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

মূল নাম হেনরি বেভারিজ (Henry Beveridge) বা সংক্ষেপে এইচ বেভারিজ। ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা বৃটিশ এই ব্যক্তি বরিশালের ইতিহাস লেখকদের মাঝে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ও মান্য।

জন্ম ও শিক্ষা

তাঁর জন্ম ১৮৩৭ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি স্কটল্যান্ডে। তাঁর লেখাপড়া প্রথমে গøাসগো রয়াল সার্কাস স্কুলে, পরে এডিনবার্গ একাডেমিতে এবং সবশেষে গøাসগো কলেজে।

কর্মজীবন

১৮৫৬ সালে তিনি বেলফাস্টের কুইনস কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৮৫৭ সালে তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৮৫৮ সালে তিনি কোলকাতায় পদায়িত হন। ট্রেনিং শেষে তিনি ময়মনসিংহে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। ১৮৬১ সালে তাঁর কর্মস্থল ছিল ঝিনাইদহ, ১৮৬২ সালের জানুয়ারিতে যশোর, ১৮৬২ সালের এপ্রিলে নদীয়া, ১৮৬৩ সালের জানুয়ারিতে মেদিনীপুর এবং ১৮৬৩ সালের ফেব্রæয়ারিতে সিলেট। ১৮৬৩ সালের নভেম্বরে মনিপুরে তাঁর পোস্টিং হয় বিশেষ কর্মকর্তা হিসেবে। এখান থেকে কুচবিহারে বদলি হন জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে। তারপর একে একে তাঁর বদলি ঘটে ঢাকা, নোয়াখালি, হুগলি, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সবশেষে আবার বরিশালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ১৮৭১ সালে। বরিশাল থেকে ১৮৭৫ সালে কর্ম পরিবর্তন করে বিচার বিভাগে প্রবেশ করেন। ১৮৭৬ সালে তিনি রংপুরের সেশন জজ হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি পাবনা, ২৪ পরগণা, ফরিদপুর, বীরভূম, হুগলি ও মুর্শিদাবাদের সেশন জজ ছিলেন। ১৮৯৩ সালে চাকুরি থেকে অবসর নেন। ১৮৯০ থেকে ১৮৯১ মেয়াদে তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গলের সভাপতি ছিলেন।

বাকেরগঞ্জের ইতিহাস রচনা

১৮৭১ থেকে ১৮৭৫ পর্যন্ত বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালে তিনি ‘দি ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ: ইটস হিস্ট্রি এন্ড স্ট্যাটিস্টিকস’ গ্রন্থটি রচনা করেন। বাকেরগঞ্জের ইতিহাস চর্চায় এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। পরবর্তী সময়ে যাঁরাই বাকেরগঞ্জের ইতিহাস নিয়ে কাজ করেছেন এই গ্রন্থটিকে তাঁরা অনেকটা ভিত্তি ধরে অগ্রসর হয়েছেন।

পারিবারিক জীবন

বেভারিজের স্ত্রী ছিলেন এ্যানেট এ্যাকরয়েড (অহহবঃঃব অশৎড়ুফ)। ইনি অত্যন্ত বিদুষী এক মহিলা ছিলেন। তিনি বেডফোর্ড কলেজের গ্রাজুয়েট ছিলেন। তিনি তুর্কী ভাষা থেকে বাবুরনামা এবং ফার্সি ভাষা থেকে হুমায়ুননামা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। তাঁদের ছিল দুই সন্তান। মেয়ে এ্যানেট জিনি এবং ছেলে উইলিয়াম বেভারিজ। ছেলে উইলিয়াম বেভারিজ একজন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ছিলেন।

মৃত্যু

জীবনে তিনি ইংল্যান্ডের সারে অঞ্চলের অন্তর্গত শটারমিল শহরে তিনি অবসর জীবন যাপন করেন। সেখানেই ১৯২৯ সালের ৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যু বরণ করেন।



তথ্যউৎস: উইকিপিডিয়া।