বেটি (Battye)

Barisalpedia থেকে

১৮০৭ খৃৃস্টাব্দে মি. বেটি জজ-ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব গ্রহণ করে বরিশাল আগমন করেন। তিনি জেলখানার সংস্কার, পুল ও রাস্তা নির্মাণ করেন। তিনি একজন কঠোর কর্মচারী ছিলেন। ১৮১১ খৃৃস্টাব্দে বাটার খালের পুলটি পুননির্মাণ করেন। মি. উইন্টল বান্দ রোড নির্মাণকালে পুলটি নির্মাণ করেছিলেন। বেটি পুলটি নির্মাণ করে একটি মার্বেল পাথর স্থাপন করেন। পুলের সাথে পাথরটি এখনও আছে। পাথরে ইংরেজী, বাংলা ও ফরাসী ভাষায় লেখা আছে, ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে পুল পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। বেটির নামানুসারে বরিশাল নদী হতে শহরের মধ্যে প্রবাহিত খালটি বাটার খাল এবং পুলটিকে বেটার পুল বলা হয় থাকে। পূর্বে জমিদার ও তালুকদাররা তাদের কোষা নৌকা নদীতে না রেখে বাটার খালে রাখতেন। এ খালের পূর্ব গৌরব এখন নেই। বেটি নাজিরের পুল ও শরোডে একটি পুল নির্মাণ করেন। তিনি পানীয়জলের জন্য কয়েকটি পুকুর খনন করেন। বেটির শাসনামলে ১৮১২ খৃৃস্টাব্দে কোটালীপাড়া ও মির্জাগঞ্জ থানা সৃষ্টি হয়। কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া ও কালকিনী নিয়ে গঠিত কোটালীপাড়া বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। দক্ষিণ অঞ্চলে সুন্দরবন কেটে বসত বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান বেতাগী, পটুয়াখালী নিয়ে মির্জাগঞ্জ থানা গঠন করা হয়। ১৮১২ খৃৃস্টাব্দে বাকেরগঞ্জ জেলায় ১৪টি থানা ছিল। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি বেটির এক পত্রে দেখা যায় ঐ বছর নলচিড়া থানা মেহেন্দিগঞ্জে স্থানান্তরিত করা হয়। বেটির সময় বরিশাল জেলখানায় এক বিদ্রোহ দেখা দেয়। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলখানায় কয়েদীরা বিদ্রোহ করে। ইংল্যান্ডের বোর্ড অব ডাইরেক্টর বিদ্রোহ দমনের জন্য প্রশংসা করে বেটিকে পত্র দিয়েছল।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।