বীণা কাঞ্জিলাল

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৩:২১, ১৮ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত সংস্করণে ("সমাজসেবী ও বাম আন্দোলনের নেত্রী বীণা কাঞ্জিলালের (৬.২.১৯৩..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

সমাজসেবী ও বাম আন্দোলনের নেত্রী বীণা কাঞ্জিলালের (৬.২.১৯৩৫ - ১৩.৪.১৯৯৭) আদি নিবাস বরিশাল। পিতা বঙ্কিম সেনচৌধুরী; মাতা পরিমলহাসিনী।

বীণার স্বামী বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ তুষার কাঞ্জিলাল। বর্ধমানের হরিসভা বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের সূচনা। স্কুলজীবনেই সাম্যবাদের ভাবাদর্শে দীক্ষিত হন এবং বিনয় চৌধুরী, হরেকৃষ্ণ কোঙার প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তেরো বছর বয়সে ‘নিষিদ্ধ’ কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সমর্থক থাকার অভিযোগে কারারুদ্ধ হন। জেলে রাজবন্দিদের যথোপযুক্ত মর্যাদার দাবিতে ২৩ দিন অনশন পালনের পর পুলিশের অত্যাচারে সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়ে একবছর সেখানে তাঁকে থাকতে হয়। মুক্তি পেয়ে আবার সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কলেজ ইউনিয়নের সম্পাদক, ছাত্র ফেডারেশন ও মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির সদস্য ছিলেন। পাঁচের দশকের উত্তাল দিনগুলিতে বর্ধমানের বাম আন্দোলনে যুক্ত থেকে আরও দু-বার তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। এই বাম আন্দোলনের সূত্রেই তুষার কাঞ্জিলালের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও বিবাহ হয়। ২৯.২.১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তাঁদের বিয়ের সময় তিনি কালিনগর গার্লস স্কুলে যোগ দেন। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে রাঙাবেলিয়া মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাত্রী। তাঁরই উদ্যোগে এই সমিতি মেয়েদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা ও চেতনার বিকাশে সুন্দরবনের অনগ্রসর অঞ্চলে এক উল্লেখযোগ ভূমিকা নেয়। সুন্দরবনের জীবন নিয়ে তিনি গান রচনা করেছেন, সুর দিয়েছেন এবং ছাত্র-ছাত্রী কর্মীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন। নিরক্ষরদের জন্য তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘মুকুল’ আদৃত হয়েছে।


তথ্যসূত্র: বাঙালি চরিতাভিধান (প্রথম খন্ড)। কোলকাতা সাহিত্য সংসদ। ২০১৩।