"বিশ্বেশ্বর তর্করত্ন, মহামহোপাধ্যায়"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("লেখক ও মহামহোপাধ্যায়। জন্ম ৬ মাঘ ১২৭৮ বঙ্গাব্দ। মৃত্যু..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
− | লেখক ও মহামহোপাধ্যায়। জন্ম ৬ মাঘ ১২৭৮ | + | লেখক ও মহামহোপাধ্যায়। জন্ম ৬ মাঘ ১২৭৮ বঙ্গাব্দ (১৮৭১ খৃস্টাব্দ?) । মৃত্যু ২০ মাঘ ১৩২১ বঙ্গাব্দ (১৯১৪ খৃ.?)। জন্মস্থান বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া গ্রাম। পিতা নৈয়ায়িক পণ্ডিত দুর্গাচরণ ন্যায়রত্ন। |
− | শিক্ষা শুরু পিতার চতুষ্পাঠীতে। পরবর্তীতে ভট্টপল্লির রাখালদাস ন্যায়রত্ন এবং কাশীর মহামহোপাধ্যায় প্রমথনাথ তর্কভূষণের নিকট। শিক্ষাশেষে স্বগৃহে পিতার চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করতে থাকেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নবদ্বীপ চৈতন্য চতুষ্পাঠীতে ও বর্ধমান বিজয় চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করেন। কলসকাঠি গ্রামের জমিদার দুর্গাপ্রসন্ন রায়চৌধুরীর ‘তুলাপুরুষ দান’ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত | + | শিক্ষা শুরু পিতার চতুষ্পাঠীতে। পরবর্তীতে ভট্টপল্লির রাখালদাস ন্যায়রত্ন এবং কাশীর মহামহোপাধ্যায় প্রমথনাথ তর্কভূষণের নিকট। শিক্ষাশেষে স্বগৃহে পিতার চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করতে থাকেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নবদ্বীপ চৈতন্য চতুষ্পাঠীতে ও বর্ধমান বিজয় চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করেন। কলসকাঠি গ্রামের জমিদার দুর্গাপ্রসন্ন রায়চৌধুরীর ‘তুলাপুরুষ দান’ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত পাণ্ডিত্য বিচার-সভায় তিনি কাশীধাম থেকে আগত বিখ্যাত পণ্ডিত বিশ্বনাথ ঝাঁকে বিচারে পরাজিত করেন। ক্রমে তিনি বর্ধমানরাজ বিজয়চাঁদ মহতাব প্রতিষ্ঠিত ‘বিদ্বৎসমাজ’ সভার সম্পাদক হন ও মহারাজের প্রকাশিত মহাভারত-সেরেস্তার কার্যভার গ্রহণ করেন। ‘চন্দ্রদূতম’ এবং ‘ভারতীয় দর্শন সমাজ ও বেদান্তের আবশ্যকতা’ নামক গ্রন্থ দু-খানি তাঁরই রচনা। ১৯১১ খৃস্টাব্দে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন। |
---- | ---- | ||
তথ্যসূত্র: বাঙালি চরিতাভিধান (প্রথম খন্ড)। কোলকাতা সাহিত্য সংসদ। ২০১৩। | তথ্যসূত্র: বাঙালি চরিতাভিধান (প্রথম খন্ড)। কোলকাতা সাহিত্য সংসদ। ২০১৩। |
০৫:৫৬, ১৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ
লেখক ও মহামহোপাধ্যায়। জন্ম ৬ মাঘ ১২৭৮ বঙ্গাব্দ (১৮৭১ খৃস্টাব্দ?) । মৃত্যু ২০ মাঘ ১৩২১ বঙ্গাব্দ (১৯১৪ খৃ.?)। জন্মস্থান বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া গ্রাম। পিতা নৈয়ায়িক পণ্ডিত দুর্গাচরণ ন্যায়রত্ন।
শিক্ষা শুরু পিতার চতুষ্পাঠীতে। পরবর্তীতে ভট্টপল্লির রাখালদাস ন্যায়রত্ন এবং কাশীর মহামহোপাধ্যায় প্রমথনাথ তর্কভূষণের নিকট। শিক্ষাশেষে স্বগৃহে পিতার চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করতে থাকেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নবদ্বীপ চৈতন্য চতুষ্পাঠীতে ও বর্ধমান বিজয় চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করেন। কলসকাঠি গ্রামের জমিদার দুর্গাপ্রসন্ন রায়চৌধুরীর ‘তুলাপুরুষ দান’ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত পাণ্ডিত্য বিচার-সভায় তিনি কাশীধাম থেকে আগত বিখ্যাত পণ্ডিত বিশ্বনাথ ঝাঁকে বিচারে পরাজিত করেন। ক্রমে তিনি বর্ধমানরাজ বিজয়চাঁদ মহতাব প্রতিষ্ঠিত ‘বিদ্বৎসমাজ’ সভার সম্পাদক হন ও মহারাজের প্রকাশিত মহাভারত-সেরেস্তার কার্যভার গ্রহণ করেন। ‘চন্দ্রদূতম’ এবং ‘ভারতীয় দর্শন সমাজ ও বেদান্তের আবশ্যকতা’ নামক গ্রন্থ দু-খানি তাঁরই রচনা। ১৯১১ খৃস্টাব্দে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন।
তথ্যসূত্র: বাঙালি চরিতাভিধান (প্রথম খন্ড)। কোলকাতা সাহিত্য সংসদ। ২০১৩।