"বিদ্যাসুন্দরী"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("চন্দ্রদ্বীপের রাজা জয়দেবের কনিষ্ঠা কন্যা ছিলেন বিদ্যা..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
  
 
----
 
----
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খ-)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।
+
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।

২১:০৮, ২১ মার্চ ২০১৭ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

চন্দ্রদ্বীপের রাজা জয়দেবের কনিষ্ঠা কন্যা ছিলেন বিদ্যাসুন্দরী। তাঁর বয়সকাল পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ এবং ষোড়শ শতকের প্রথম ভাগ।

রাজা জয়দেব বিদ্যাসুন্দরীকে কায়স্থ পরিবারের এক সুদক্ষ যুবকের সাথে বিয়ে দেন। রাজা বিদ্যাসুন্দরীকে বোরহানউদ্দীন থানার দেউলী এলাকা প্রদান করেন। রাজা তার জন্য বোরহানউদ্দীনে প্রাসাদ নির্মাাণ করে দেন। দেউলীর গুরিন্দাবাড়ীতে বিদ্যাসুন্দরী বাস করতেন। গুরিন্দা রাজসভার উজির ছিলেন। গুরিন্দার সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে মনে হয় তিনি বিদ্যাসুন্দরীর স্বামী ছিলেন। গুরিন্দাবাড়ীতে একটি প্রাচীন দালান ও আর একটি দালানের ধ্বংসাবশেষ আছে। গুরিন্দাবাড়ীর পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদীর তীরে বিদ্যাসুন্দরী দীঘি অবস্থিত। রাণী কমলা কনিষ্ঠা বোন বিদ্যাসুন্দরীর নামে এই দীঘি খনন করেন। অনেকে বলেন মন্ত্রী গুরিন্দা এই দীঘি খনন করেছেন। বাংলাদেশের অন্যান্য দীঘির মতো বিদ্যাসুন্দরীর দীঘি নিয়েও সোনার থালাবাটির কাহিনিটি প্রচলিত আছে। দীঘিতে নাকি সোনার থালা, বাটি ও হাড়ি-পাতিল পাওয়া যেত। কোন অনুষ্ঠানের জন্য কেউ যদি এ সকল হাঁড়ি-পাতিল পাওয়ার আশা করত তাহলে নাকি এগুলো দীঘির পাড়ে উঠে আসত। অনুষ্ঠান শেষ হলে এগুলো দীঘির পাড়ে রেখে দেয়া হতো এবং রাতের অন্ধকারে এগুলো দীঘির পানিতে নেমে যেত। একবার এক দুষ্টলোক কিছু হাঁড়ি-পাতিল চুরি করে রেখে দেয়। তারপর থেকে আর কোনদিন কেউ এগুলো পেত না।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।