বার আউলিয়ার দরগাহ

Barisalpedia থেকে

স¤্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১২ জন আউলিয়া বাকেরগঞ্জ থানার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে নন্দপাড়ায় চিল্লায় বসেন। তারা খোদার ধ্যানে এতই মগ্ন ছিলেন যে, তারা আহার নিদ্রা ভুলে যান। স¤্রাট আওরঙ্গজেব এ সংবাদ শুনে আউলিয়াদের জন্য কাপড়, ঘোড়া ও টাকা পাঠিয়ে দেন। আউলিয়াগণ স¤্রাটের দান প্রত্যাখ্যান করেন। স¤্রাট এ সংবাদ শুনে তার দান ফেরত চাইলেন। আউলিয়াগণ এ কথা শুনে রাগান্বিত হয়ে রাতের অন্ধকারে একটি সুড়ঙ্গ পথে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ভক্তরা মাজারের উত্তর পাশে এই সুড়ঙ্গপথে দুধ ঢেলে দিত। স¤্রাট আওরঙ্গজেব আউলিয়াদের নিরুদ্দেশের কথা শুনে দরগা পরিচালনার জন্য তিন দরুণ তেরো কানি ভূমি লাখেরাজ প্রদান করেন।

স্থানীয় ফকির জালাল আরেফিন একজন বিখ্যাত দরবেশ ছিলেন। তিনি দরগাহ ও মাজারের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। মাছিম শাহ নামে আর একজন পীর পূর্ব থেকে এখানে বাস করতেন। তার আহবানে বারআউলিয়াগণ এ অঞ্চলে আগমন করেন। বারআউলিয়ার দরগায় তার মাজার আছে। অনেকে বলেন মাছিম শাহ ও জালাল আরেফিন এক ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু এ তথ্য ঠিক বলে মনে হয় না। স¤্রাট আওরঙ্গজেব দরগা নির্মাণ করান। তিনি পাশেই একটি মসজিদ নির্মাণ ও দীঘি খনন করান। এ দরগাকে কেন্দ্র করে শত শত ভক্তের আগমন ঘটে। দরগার পশ্চিম পাশে এক বিরাট এলাকা নিয়ে কয়েকটি দালান ছিল। মসজিদ ও বৈঠকখানা ধ্বংস হয়ে ড়েছে। এখন মাজারটি বর্তমান আছে। একটি পাকুড় গাছ মাজারটিকে অদ্ভুতভাবে ঘিরে আছে। দীঘিটি ভরে গেছে। কালু খাঁ বর্তমানে মাজারের তত্ত্বাবধানে আছেন। তার পূর্বপুরুষ মঙ্গল খাঁ ফকির নবাবী আমলে মাজারের খাদেম ছিলেন।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।