"বারৈকরন বন্দর, নলছিটি, ঝালকাঠি"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("বৃহত্তর বরিশাল অর্থাৎ প্রাচীনকালের চন্দ্রদ্বীপ, সেলিমা..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
বৃহত্তর বরিশাল অর্থাৎ প্রাচীনকালের  চন্দ্রদ্বীপ, সেলিমাবাদ, সৈয়দপুর, আওরঙ্গপুর, আজিমপুর প্রভৃতি  পরগনা সমন্বয়ে বুজুর্গ উমেদপুর নামে একটি জিলা গঠন করা হয়েছিলো। বাকেরগঞ্জের সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবনের কমিশনার মিঃ লজের এক পত্রে এই জিলার কথা উল্লেখ রয়েছে (সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, বরিশাল বিভাগের ইতিহাস ২৯৩)। বুজুর্গ উমেদপুর জিলার সদর দপ্তর  নলছিটির বারৈকরণে অবস্থিত ছিলো। আর সেই কারণে বারৈকরণ নামে এই জিলা পরিচিতি লাভ করে। ব্রিটিশ শাসনামলে বারৈকরন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়। সতেরশ বিরানব্বই সালে সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবনের কমিশনার স্যামুয়েল মিডলটন বারকৈরন থেকে প্রশাসনিক দপ্তর বাকেরগঞ্জে স্থানান্তরিত করেন। মিডলটন তার প্রশাসনিক দপ্তরের কার্যক্রম সর্বপ্রথম বাকেরগঞ্জের বুজুর্গ উমেদ খান এবং আগা বাকেরের গোলাবাড়িতে শুরু করেন। মিডলটনের এই কার্যক্রমের ফলে বারৈকরনের গুরুত্ব  ক্রমশঃ  হ্রাস পেতে থাকে এবং এক সময়ের ব্যস্ততম ভবনসমূহ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়ে যায়। বর্তমানে অতীতকালের এই জিলা সদর দপ্তরের সামান্য চিহ্নমাত্র খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । তারপরেও নলছিটির অদূরে বিলুপ্তির শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়ানো কয়েকটি মঠ-মন্দির, ধ্বসে পড়া ভবন এবং কুঠিবাড়ি নাম ধারণ করে থাকা এলাকাটি  প্রাচীনকালের জিলা সদর দপ্তরের পরিচয় বহন করে আছে।
 
বৃহত্তর বরিশাল অর্থাৎ প্রাচীনকালের  চন্দ্রদ্বীপ, সেলিমাবাদ, সৈয়দপুর, আওরঙ্গপুর, আজিমপুর প্রভৃতি  পরগনা সমন্বয়ে বুজুর্গ উমেদপুর নামে একটি জিলা গঠন করা হয়েছিলো। বাকেরগঞ্জের সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবনের কমিশনার মিঃ লজের এক পত্রে এই জিলার কথা উল্লেখ রয়েছে (সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, বরিশাল বিভাগের ইতিহাস ২৯৩)। বুজুর্গ উমেদপুর জিলার সদর দপ্তর  নলছিটির বারৈকরণে অবস্থিত ছিলো। আর সেই কারণে বারৈকরণ নামে এই জিলা পরিচিতি লাভ করে। ব্রিটিশ শাসনামলে বারৈকরন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়। সতেরশ বিরানব্বই সালে সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবনের কমিশনার স্যামুয়েল মিডলটন বারকৈরন থেকে প্রশাসনিক দপ্তর বাকেরগঞ্জে স্থানান্তরিত করেন। মিডলটন তার প্রশাসনিক দপ্তরের কার্যক্রম সর্বপ্রথম বাকেরগঞ্জের বুজুর্গ উমেদ খান এবং আগা বাকেরের গোলাবাড়িতে শুরু করেন। মিডলটনের এই কার্যক্রমের ফলে বারৈকরনের গুরুত্ব  ক্রমশঃ  হ্রাস পেতে থাকে এবং এক সময়ের ব্যস্ততম ভবনসমূহ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়ে যায়। বর্তমানে অতীতকালের এই জিলা সদর দপ্তরের সামান্য চিহ্নমাত্র খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । তারপরেও নলছিটির অদূরে বিলুপ্তির শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়ানো কয়েকটি মঠ-মন্দির, ধ্বসে পড়া ভবন এবং কুঠিবাড়ি নাম ধারণ করে থাকা এলাকাটি  প্রাচীনকালের জিলা সদর দপ্তরের পরিচয় বহন করে আছে।
 
   
 
   
 
+
[[চিত্র:Image 5.jpg]]
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।

১৩:৩৯, ২৩ মার্চ ২০১৬ তারিখের সংস্করণ

বৃহত্তর বরিশাল অর্থাৎ প্রাচীনকালের চন্দ্রদ্বীপ, সেলিমাবাদ, সৈয়দপুর, আওরঙ্গপুর, আজিমপুর প্রভৃতি পরগনা সমন্বয়ে বুজুর্গ উমেদপুর নামে একটি জিলা গঠন করা হয়েছিলো। বাকেরগঞ্জের সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবনের কমিশনার মিঃ লজের এক পত্রে এই জিলার কথা উল্লেখ রয়েছে (সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, বরিশাল বিভাগের ইতিহাস ২৯৩)। বুজুর্গ উমেদপুর জিলার সদর দপ্তর নলছিটির বারৈকরণে অবস্থিত ছিলো। আর সেই কারণে বারৈকরণ নামে এই জিলা পরিচিতি লাভ করে। ব্রিটিশ শাসনামলে বারৈকরন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়। সতেরশ বিরানব্বই সালে সহকারী কালেক্টর ও সুন্দরবনের কমিশনার স্যামুয়েল মিডলটন বারকৈরন থেকে প্রশাসনিক দপ্তর বাকেরগঞ্জে স্থানান্তরিত করেন। মিডলটন তার প্রশাসনিক দপ্তরের কার্যক্রম সর্বপ্রথম বাকেরগঞ্জের বুজুর্গ উমেদ খান এবং আগা বাকেরের গোলাবাড়িতে শুরু করেন। মিডলটনের এই কার্যক্রমের ফলে বারৈকরনের গুরুত্ব ক্রমশঃ হ্রাস পেতে থাকে এবং এক সময়ের ব্যস্ততম ভবনসমূহ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়ে যায়। বর্তমানে অতীতকালের এই জিলা সদর দপ্তরের সামান্য চিহ্নমাত্র খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । তারপরেও নলছিটির অদূরে বিলুপ্তির শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়ানো কয়েকটি মঠ-মন্দির, ধ্বসে পড়া ভবন এবং কুঠিবাড়ি নাম ধারণ করে থাকা এলাকাটি প্রাচীনকালের জিলা সদর দপ্তরের পরিচয় বহন করে আছে।

Image 5.jpg


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।