বানারিপাড়ার মারীচি মূর্তি

Barisalpedia থেকে

১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মার্চ মাধবপাশার অন্তর্গত ফুলতলা গ্রামে সিকদার বাড়ির একটি প্রাচীন দীঘি খনন করার সময় দু’টি মারীচী দেবীর মূর্তি পাওয়া যায়। একটি মূর্তির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫০ ইঞ্চি, প্রস্থ সাড়ে ১৯ ইঞ্চি এবং ভেদ দেড় ইঞ্চি। অপরটির দৈর্ঘ্য ৪৯ ইঞ্চি, প্রস্থ সাড়ে ২৫ ইঞ্চি এবং ভেদ দেড় ইঞ্চি। মারীচী দেবীর তিনটি মুখ, একটি মুখ শূকরীর। দেবীর অষ্টহস্তে বজ্র, অস্কুশ, শর, অশোকপত্র, সূচি, ধনু, পাশা ও অন্য হাত তর্জনী মুদ্রা ভঙ্গিমায়। মূর্তির মস্তকে ধ্যানী বুদ্ধ বিরোচনের মূর্তি। সারথি রাহুচালিত সপ্ত শূকরবাহিত রথে প্রত্যালীর ভঙ্গিতে দন্ডায়মান। একটি মূর্তির এক হস্তের অর্ধেক, নাসিকা ও একটি শূকর ভাঙ্গা। উভয় মূর্তির গলায়, হাতে ও কোমরে অলঙ্কার অঙ্কিত আছে। মারীচীর সাথে বরট্টালী, বদালী, বরানী ও বরাহমুখী দেবীর মূর্তি আছে। মহাযান ও বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মের উপাস্য দেবীর সংখ্যা অনেক তন্মধ্যে প্রজ্ঞাপারমিতা, মারীচী, হারীতী প্রধান। এ দেবী বিভিন্ন ধ্যানী বুদ্ধ হতে প্রসূত বিভিন্ন তারা দেবীবিশেষ। মারীচি মূর্তির নির্মাণকাল শেষ পাল যুগ বলে অনুমিত হয়।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।