"বরিশাল (সাপ্তাহিক পত্রিকা)"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("১৯২৩ সালে শ্রী সুধীরকুমার দাশগুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশ..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
১৯২৩ সালে শ্রী সুধীরকুমার দাশগুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘বরিশাল’। পরে এর সম্পাদনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শ্রী বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত। এ সম্পর্কে শ্রী সুরেশচন্দ্র গুপ্ত লিখেছেন, ‘অশি^নীকুমারের দেহাবসানের কয়েক মাস মাত্র পূর্ব্বে তাঁহার আশীর্ব্বাদ মস্তকে লইয়া শ্রীযুক্ত সুধীরকুমার দাশগুপ্তের সম্পাদকত্বে বরিশাল শহর হইতে ‘বরিশাল’ নামক আর একখানি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশিত হইয়া অদ্যাবধি শ্রীযুক্ত বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্তের সম্পাদকতে¦  দক্ষতার সহিত প্রকাশিত হইতেছে। এই কাগজে অশি^নীকুমার স্মৃতি দিবসে প্রতিবৎসর ‘অশি^নীকুমারসংখ্যা’ নামক যে কাগজখানি প্রকাশিত হয় তাহা সহ¯্র সহ¯্র অশি^নীকুমারানুরক্ত বাঙ্গালীর তৃপ্তি দান করিয়া থাকে।’
+
১৯২৩ সালে শ্রী সুধীরকুমার দাশগুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘বরিশাল’। পরে এর সম্পাদনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শ্রী বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত। এ সম্পর্কে শ্রী সুরেশচন্দ্র গুপ্ত লিখেছেন, ‘অশ্বিনীকুমারের দেহাবসানের কয়েক মাস মাত্র পূর্ব্বে তাঁহার আশীর্ব্বাদ মস্তকে লইয়া শ্রীযুক্ত সুধীরকুমার দাশগুপ্তের সম্পাদকত্বে বরিশাল শহর হইতে ‘বরিশাল’ নামক আর একখানি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশিত হইয়া অদ্যাবধি শ্রীযুক্ত বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্তের সম্পাদকতে¦  দক্ষতার সহিত প্রকাশিত হইতেছে। এই কাগজে অশি^নীকুমার স্মৃতি দিবসে প্রতিবৎসর ‘অশ্বিনীকুমারসংখ্যা’ নামক যে কাগজখানি প্রকাশিত হয় তাহা সহস্র সহস্র অশি^নীকুমারানুরক্ত বাঙ্গালীর তৃপ্তি দান করিয়া থাকে।’
  
 
বরিশাল জেলা কংগ্রেসে অপেক্ষাকৃত তরুণ দল যথেষ্ঠ শক্তিশালী হওয়ায় এবং প্রবীণদের সাথে তাদের মতপার্থক্য দেখা দিতে থাকায় ‘বরিশাল হিতৈষী’ পত্রিকা তরুণদের কর্মকান্ড সম্পর্কে  নানান বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে। ‘বরিশাল’ পত্রিকাটি ছিলো এই তরুণদের মুখপত্র। এ প্রসঙ্গে অধীর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন: ‘এমতাবস্থায় নিজেদের একখানা ‘কাগজ’ থাকা একান্ত প্রয়োজন হইয়া পড়িল। সে সময় বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত মহাশয় ‘অভ্যুদয় প্রেস’ নাম দিয়া একটি প্রেস খুলিয়াছিলেন। উক্ত প্রেস হইতেই শ্রদ্ধেয় বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত মহাশয়ের সম্পাদনায় ‘বরিশাল’ নাম দিয়া একখানা সাপ্তাহিক কাগজ বাহির করা হইল এবং উক্ত কাগজ মারফৎই দলের প্রচার এবং দুর্গামোহন বাবুর বিরূপ মন্তব্য-সমূহের উত্তর দেওয়া হইত।’
 
বরিশাল জেলা কংগ্রেসে অপেক্ষাকৃত তরুণ দল যথেষ্ঠ শক্তিশালী হওয়ায় এবং প্রবীণদের সাথে তাদের মতপার্থক্য দেখা দিতে থাকায় ‘বরিশাল হিতৈষী’ পত্রিকা তরুণদের কর্মকান্ড সম্পর্কে  নানান বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে। ‘বরিশাল’ পত্রিকাটি ছিলো এই তরুণদের মুখপত্র। এ প্রসঙ্গে অধীর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন: ‘এমতাবস্থায় নিজেদের একখানা ‘কাগজ’ থাকা একান্ত প্রয়োজন হইয়া পড়িল। সে সময় বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত মহাশয় ‘অভ্যুদয় প্রেস’ নাম দিয়া একটি প্রেস খুলিয়াছিলেন। উক্ত প্রেস হইতেই শ্রদ্ধেয় বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত মহাশয়ের সম্পাদনায় ‘বরিশাল’ নাম দিয়া একখানা সাপ্তাহিক কাগজ বাহির করা হইল এবং উক্ত কাগজ মারফৎই দলের প্রচার এবং দুর্গামোহন বাবুর বিরূপ মন্তব্য-সমূহের উত্তর দেওয়া হইত।’

১০:৪০, ১৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

১৯২৩ সালে শ্রী সুধীরকুমার দাশগুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘বরিশাল’। পরে এর সম্পাদনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শ্রী বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত। এ সম্পর্কে শ্রী সুরেশচন্দ্র গুপ্ত লিখেছেন, ‘অশ্বিনীকুমারের দেহাবসানের কয়েক মাস মাত্র পূর্ব্বে তাঁহার আশীর্ব্বাদ মস্তকে লইয়া শ্রীযুক্ত সুধীরকুমার দাশগুপ্তের সম্পাদকত্বে বরিশাল শহর হইতে ‘বরিশাল’ নামক আর একখানি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশিত হইয়া অদ্যাবধি শ্রীযুক্ত বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্তের সম্পাদকতে¦ দক্ষতার সহিত প্রকাশিত হইতেছে। এই কাগজে অশি^নীকুমার স্মৃতি দিবসে প্রতিবৎসর ‘অশ্বিনীকুমারসংখ্যা’ নামক যে কাগজখানি প্রকাশিত হয় তাহা সহস্র সহস্র অশি^নীকুমারানুরক্ত বাঙ্গালীর তৃপ্তি দান করিয়া থাকে।’

বরিশাল জেলা কংগ্রেসে অপেক্ষাকৃত তরুণ দল যথেষ্ঠ শক্তিশালী হওয়ায় এবং প্রবীণদের সাথে তাদের মতপার্থক্য দেখা দিতে থাকায় ‘বরিশাল হিতৈষী’ পত্রিকা তরুণদের কর্মকান্ড সম্পর্কে নানান বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে। ‘বরিশাল’ পত্রিকাটি ছিলো এই তরুণদের মুখপত্র। এ প্রসঙ্গে অধীর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন: ‘এমতাবস্থায় নিজেদের একখানা ‘কাগজ’ থাকা একান্ত প্রয়োজন হইয়া পড়িল। সে সময় বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত মহাশয় ‘অভ্যুদয় প্রেস’ নাম দিয়া একটি প্রেস খুলিয়াছিলেন। উক্ত প্রেস হইতেই শ্রদ্ধেয় বিজয়ভ‚ষণ দাশগুপ্ত মহাশয়ের সম্পাদনায় ‘বরিশাল’ নাম দিয়া একখানা সাপ্তাহিক কাগজ বাহির করা হইল এবং উক্ত কাগজ মারফৎই দলের প্রচার এবং দুর্গামোহন বাবুর বিরূপ মন্তব্য-সমূহের উত্তর দেওয়া হইত।’

পত্রিকাটি ৩ কলামে ছাপা হতো। পত্রিকাটি এক নাগাড়ে প্রায় ৭/৮ বছর ধরে প্রকাশিত হয়। ১৯৪০ সালে তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ জে. এল. লিউলিনের পৃষ্ঠপোষকতায় নরেন সেন এর সম্পাদনায় পত্রিকাটি পুনরায় আত্মপ্রকাশ করে। তখন পত্রিকাটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিলো সি-২৭০৮ এবং সুলভ প্রেস থেকে জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কর্তৃক পত্রিকাটি মুদ্রিত হতো। পত্রিকাটি ট্যাবলয়েড আকারে ৪ পৃষ্ঠায় সাদা কাগজে ৩ কলামে ছাপা হতো। পত্রিকাটির মূল্য ছিল এক আনা। এ পর্যায়ে পত্রিকাটি প্রতি শনিবার ছাপা হতো।


তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমি, ২০০১।